সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে। ১৯ জানুয়ারি সিডনি, মেলবোর্ন, হোবার্ট, ব্রিসবেন এবং পার্থে অস্ট্রেলিয়া বিএনপির আয়োজনে দিনব্যাপী পিকনিক, আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সমন্বয়ক রাশেদুল হক বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষকই নন, তিনি দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রতীক। তার আদর্শ আমাদের জাতীয়তাবাদী চেতনার মূলভিত্তি। প্রবাসে থেকেও আমরা তার চেতনাকে ধারণ করে দেশের উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছি। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিটি শহরে এই আয়োজন প্রমাণ করে, তার আদর্শের প্রতি প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভালোবাসা ও অঙ্গীকার কতটা গভীর। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত করা হবে।
অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হায়দার আলী বলেন, “জিয়াউর রহমান ছিলেন এমন একজন নেতা, যিনি দেশের সংকটময় মুহূর্তে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সুসংহত করেছেন। তার নেতৃত্ব এবং ত্যাগ আমাদের প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করে। এ বছর আমরা অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি প্রাদেশিক শহরে একযোগে তার জন্মবার্ষিকী উদযাপন করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। ভবিষ্যতে এটি পুরো অস্ট্রেলিয়ায় বিস্তৃত করা হবে।
সিডনির Flinders Slopes PiC_NiC Ground-এ সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সভাপতি এ এফ এম তাওহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন অত্যন্ত ধর্মভীরু রাষ্ট্রনায়ক। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে সক্ষম হয়েছিল। বাংলাদেশের জন্য জিয়াউর রহমানের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি অমি ফেরদৌস, যুবদলের সাংগঠনিক কমিটির আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন খান, সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান তুহিন, সদস্য সচিব জাহিদুর রহমান এবং আরও অনেকে। আলোচনা সভায় বক্তারা শহীদ জিয়াউর রহমানের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান, বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম এবং রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তার সাফল্যের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। সিডনির পাশাপাশি মেলবোর্ন, হোবার্ট, ব্রিসবেন এবং পার্থে স্থানীয় বিএনপির উদ্যোগে একই ধরনের আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
এসব অনুষ্ঠানে পিকনিকের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনাকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সাংস্কৃতিক ইভেন্ট গুলো পরিচালনা করেন অষ্ট্রেলিয়া বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আবিদা সুলতানা। অনুষ্ঠান শেষে শহীদ জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন অষ্ট্রেলিয়া বিএনপির কোষাধ্যক্ষ কেএম মঞ্জুরু হক আলমগীর।
উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহসভাপতি আশরাফুল ইসলাম, সেলিম লোকিয়ত, ফয়জুল চৌধুরি, মোবারক হোসেন, বাবুল তালুকদার, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস কাঞ্চন শাহীন, ইয়াসির আরাফাত সবুজ, ইঞ্জিনিয়ার কামরুল ইসলাম শামীম, শফিউল আলম, সৈয়দ সাদ সামাদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম ফারুক নাদিম, জসিম চৌধুরী, আসাদুল হক বাবু, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান লাবু।
সিনিয়র নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আরিফুল হক, আব্দুল বারেক মিয়া, ইঞ্জিনিয়ার মো. হানিফ। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানগুলোতে প্রায় ছয় শতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। আয়োজকরা জানান, প্রবাসে এই ধরনের আয়োজন জাতীয়তাবাদী চেতনার পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন