সংগৃহীত ছবি
ধর্ম ডেস্ক :পুরুষের সতর হলো নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত। শরীরে এতটুকু অংশ ঢেকে রাখা ফরজ। তবে সতর প্রকাশ পাওয়া অজু ভঙের কারণ নয়। চাই তা ইচ্ছাকৃত হোক বা অনিচ্ছাকৃত। অবশ্য ইচ্ছাকৃত সতর প্রকাশ করা গুনাহের কাজ।
অনেকের এরকম ধারণা রয়েছে যে, অজু করার পর যদি সতর অনাবৃত হয়, তাহলে অজু ভেঙে যায়। এ ধারণা সঠিক নয়।
হাঁটু সতরের অন্তর্ভুক্ত এবং তা ঢেকে রাখা অপরিহার্য এটা ঠিক আছে। কিন্তু হাঁটু বা সতরের কোনো অংশ খুলে গেলে অজু ভেঙে যায় না বা নতুন করে অজু করা আবশ্যক হয় না।
অজু ভাঙার কারণগুলো হলো—
১. পায়খানা ও পেশাবের রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া। যেমন বায়ু, পেশাব-পায়খানা, পোকা ইত্যাদি। (হেদায়া: ১/৭)
২. শরীরে যেকোনো জায়গা থেকে রক্ত বা পুঁজ বের হয়ে গড়িয়ে পড়লে অজু ভেঙে যায়। (হেদায়া: ১/১০)
৩. মুখ ভরে বমি, নাক দিয়ে রক্ত বা মজি (সহবারের আগে বের হওয়া সাদা পানি) বের হলে অজু ভেঙে যায়। (ইবনে মাজাহ: ১২২১)
৪. থুথুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হওয়া। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ১৩৩০)
৫. চিৎ বা কাত হয়ে হেলান দিয়ে ঘুমানো। (মুসনাদে আহমদ: ২৩১৫, আবু দাউদ: ২০২)
৬. পাগল, মাতাল বা অচেতন হয়ে গেলে। (মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক: ৪৯৩)
৭. নামাজে উচ্চস্বরে হাসি দিলে। (দারা কুতনি: ৬১২)
৮. নারীদের ইস্তেহাজার রক্ত বের হলে। ইস্তেহাজায় নামাজ-রোজার বিরতি হয় না; তবে প্রতি ওয়াক্তের শুরুতে নতুন অজু করে নিতে হয়। (মাজমাউল বাহরাইন পৃ. ৯৮; আদ্দুররুল মুখতার: ১/২৮৫)
অজু ভাঙার মৌলিক কারণগুলো উপরে তুলে ধরা হয়েছে। সতর প্রকাশ পাওয়া অজু ভাঙার কারণ নয়। তাই কারো সতর প্রকাশিত হয়ে গেলে বা কাপড় হাঁটুর উপরে উঠে গেলে এতে অজু ভাঙবে না।