ফাইল ছবি
আশুলিয়া প্রতিবেদকঃ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও আশপাশের এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) একেএম আওলাদ হোসেন। পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
তিনি আরও জানান, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রায় ২৩ কিলোমিটার মহাসড়কে ১১টি সেক্টরের মাধ্যমে তিন হাজার পুলিশের ৪ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সার্বিক সময় সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। পুলিশ, র্যাব, ট্রাফিকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী স্মৃতিসৌধের ভেতর ও বাইরে সতর্ক অবস্থায় থাকবে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হবে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা। নিরাপত্তাব্যবস্থা শুধু স্মৃতিসৌধকেন্দ্রিক নয়, আশপাশের যে জেলাগুলো আছে অর্থাৎ মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও গাজীপুর মেট্রো এলাকাও নিরাপত্তা বলয়ে চলে আসবে।
ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেন জানান, ১৬ ডিসেম্বর ভোর ৪টা থেকেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসা মানুষদের চলাচলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সৌধ এলাকার আশপাশের বাসিন্দাদের আগামী কয়েক দিনে বহিরাগত অথবা নতুন কোনো লোকজন এলাকায় এলে তাদের বিষয়ে থানা পুলিশকে তথ্য প্রদানের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া বিজয় দিবসের দিন যানজট এড়াতে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা বিভিন্ন ধরনের পরিবহনকে চন্দ্রা থেকে গাজীপুর হয়ে চলাচলের অনুরোধ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহম্মদ মুঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মহরম আলী, আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিকসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, লাল ইটে সাদা রঙের ছোঁয়া শুভ্রতা ছড়াচ্ছে সৌন্দর্য। বিভিন্ন স্থানে লাল টবে শোভা পাচ্ছে বাহারি ফুলের গাছ ও লেকের পানিতে নতুন করে রোপণ করা হয়েছে লাল শাপলা। জানতে চাইলে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের ইনচার্জ ও উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান লাখো শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। গত দুই সপ্তাহ ধরে ধুয়েমুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি রঙ-তুলির আঁচড়ে ও বাহারি রঙের ফুল দিয়ে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে পুরো সৌধ এলাকা। চত্বরের সিঁড়ি ও নানা স্থাপনায় লেগেছে রঙতুলির আঁচড়। নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে চারদিক সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে।
এ ছাড়া ১২ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধে সবধরনের দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সর্বসাধারণের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
Facebook Comments Box