সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক:সামরিক আইন জারির ঘটনায় জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে ক্ষমা চান তিনি। খবর বিবিসির।
গত মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট ইওল জাতির উদ্দেশে ভাষণকালে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন। তার এই ঘোষণার পরপরই প্রধান বিরোধী দলসহ সাধারণ জনগণ পার্লামেন্ট ভবন ঘেরাও করে রাখে।
বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক লিবারেল পার্টি সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তার প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করলে স্পিকার ভোটাভুটির আয়োজন করেন এবং প্রেসিডেন্টের এই প্রচেষ্টাকে অবৈধ ঘোষণা করনে। পরে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে মাত্র ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে প্রেসিডেন্ট সামরিক প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
সামরিক আইন জারির পর অনুমান করা হয়েছিল যে ইউন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। তার পদত্যাগের আশঙ্কাও ছিল। কিন্তু পদত্যাগের ঘোষণা না দিয়ে বরং দেশকে স্থিতিশীল করার জন্য তার ক্ষমতাসীন দলের ওপর দায়িত্ব অপর্ণের কথা জানান প্রেসিডেন্ট। ভাষণে অভিশংসন নিয়ে কথা বলেননি ইউন।
সংক্ষিপ্ত টেলিভিশন ভাষণে ইউন বলেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত এবং সামরিক আইন জারির ঘটনায় আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।
দেশে সামরিক আইন জারির মতো এমন ঘটনা আর কখনও হবে না বলেও নিশ্চিত করেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট।