একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় আগামীকাল

ফাইল ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক: বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর রায়ের জন্য আগামীকাল রবিবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

 

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের রায়ের জন্য আগামীকাল রবিবারের কার্যতালিকায় বিষয়টি ৫৪ নম্বর ক্রমে রয়েছে। ওয়েবসাইটে থাকা কার্যতালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

 

এর আগে গত ২১ নভেম্বর এ মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিল শুনানি শেষ হয়। সেদিন বিষয়টি রায়ের জন্য সিএভি (মামলা রায়ের জন্য অপেক্ষমান) রাখেন আদালত। গত ৩১ অক্টোবর হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি শুরু হয়।

 

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন। একই সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয় অপর ১১ আসামিকে। পরে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর মামলার বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে। পাশাপাশি কারাবন্দি আসামিরা আপিল করেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এ মামলার আপিল শুনানি বিচারপতি সহিদুল করিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুরু হয়। এর মধ্যে ওই বেঞ্চ পুনর্গঠন হয়। এ কারণে নতুন বেঞ্চে আবার শুনানি শুরু হয়।

 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার শুনানি করেন। আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

 

২১ নভেম্বর মামলার শুনানি শেষ করে আইনজীবী এস এম শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো তথ্যপ্রমাণ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নেই। এ মামলার ১০ হাজার ১২ পৃষ্ঠার পেপারবুকের কোথাও তার সরাসরি কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। এটা কোর্ট গ্রহণ করেছেন। আদালত বলেছেন, এটা তারা দেখবেন।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, যেহেতু তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই সে ক্ষেত্রে তিনি বেনিফিট পাবেন।’

 

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা হয়। হামলা থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা। তবে হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতা-কর্মী। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন।

 

তদন্ত শেষে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ১১ জুন দেওয়া অভিযোগপত্রে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন ও হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। দুই বছর তদন্তের পর ২০১১ সালের ৩ জুলাই ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এর ফলে এ মামলায় মোট আসামির সংখ্যা হয় ৫২।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» যেভাবে বানাবেন ডিটক্স পানীয়

» গরমে শসার মজাদার ৫ রেসিপি

» সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত

» যে কারণে জিমেইল আর্কাইভ

» নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ কুখ্যাত চোর ভটাসহ দুইজন গ্রেফতার

» দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

» যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাত দলের সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলির সময় এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ

» ফের বিতর্কে উর্বশী

» সিলেট টেস্ট: কত রান হলে জিততে পারে বাংলাদেশ?

» যুক্তরাষ্ট্রের হামলা; এক মাসে হুতির ৫০০ সদস্য নিহত

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় আগামীকাল

ফাইল ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক: বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর রায়ের জন্য আগামীকাল রবিবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

 

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের রায়ের জন্য আগামীকাল রবিবারের কার্যতালিকায় বিষয়টি ৫৪ নম্বর ক্রমে রয়েছে। ওয়েবসাইটে থাকা কার্যতালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

 

এর আগে গত ২১ নভেম্বর এ মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিল শুনানি শেষ হয়। সেদিন বিষয়টি রায়ের জন্য সিএভি (মামলা রায়ের জন্য অপেক্ষমান) রাখেন আদালত। গত ৩১ অক্টোবর হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি শুরু হয়।

 

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন। একই সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয় অপর ১১ আসামিকে। পরে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর মামলার বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে। পাশাপাশি কারাবন্দি আসামিরা আপিল করেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এ মামলার আপিল শুনানি বিচারপতি সহিদুল করিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুরু হয়। এর মধ্যে ওই বেঞ্চ পুনর্গঠন হয়। এ কারণে নতুন বেঞ্চে আবার শুনানি শুরু হয়।

 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার শুনানি করেন। আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

 

২১ নভেম্বর মামলার শুনানি শেষ করে আইনজীবী এস এম শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো তথ্যপ্রমাণ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নেই। এ মামলার ১০ হাজার ১২ পৃষ্ঠার পেপারবুকের কোথাও তার সরাসরি কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। এটা কোর্ট গ্রহণ করেছেন। আদালত বলেছেন, এটা তারা দেখবেন।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, যেহেতু তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই সে ক্ষেত্রে তিনি বেনিফিট পাবেন।’

 

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা হয়। হামলা থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা। তবে হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতা-কর্মী। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন।

 

তদন্ত শেষে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ১১ জুন দেওয়া অভিযোগপত্রে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন ও হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। দুই বছর তদন্তের পর ২০১১ সালের ৩ জুলাই ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এর ফলে এ মামলায় মোট আসামির সংখ্যা হয় ৫২।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com