কয়েকদিনের মধ্যে বাসায় নেওয়া হতে পারে বলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।
শুক্রবার রাতে একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেলেও বিএনপি কিংবা খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের সদস্যরা কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
সূত্র জানায়, চিকিৎসক বোর্ডের সদস্যরা মনে করছেন করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে রাখা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তার শারীরিক অবস্থার খুব বেশি উন্নতি না হলেও রক্তক্ষরণ বন্ধ হওয়ায় বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।
জানা গেছে, খালেদা জিয়া নিজেও এখন আর হাসপাতালে থাকতে চাইছেন না। প্রায় আড়াই মাস ধরে এভারকেয়ার হাসপাতালে রয়েছেন তিনি।
এদিকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অনেকটা উন্নতি ঘটায় তার পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান শিথি ও নাতনী জাহিয়া রহমান ইতোমধ্যে লন্ডনে চলে গেছেন। নাতনী জাহিয়া ১৫ জানুয়ারি ও পুত্রবধূ শর্মিলা ১৬ জানুয়ারি লন্ডনে চলে যান।
খালেদা জিয়াকে গতবছর ১৩ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এভারকেয়ারের চিকিৎসক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড তার চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। ৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস ছাড়াও অনেক বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
খালেদা জিয়াকে বাসায় নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তার চিকিৎসক দলের সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই।
চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কোনো সিদ্ধান্ত হলে অবশ্যই জানতে পারবেন।
সূত্র: বাংলানিউজ