সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেছেন, নতুন ওরেশনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা অব্যাহত থাকবে এবং ইতোমধ্যেই এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে।
টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে পুতিন বলেন, আমরা যুদ্ধক্ষেত্রে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাবো। রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য যেসব হুমকি তৈরি হচ্ছে, সেগুলোর ওপর নির্ভর করেই পরীক্ষার সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রথমবার ইউক্রেনের ওপর নিক্ষেপ করা হয়। পুতিন দাবি করেন, ইউক্রেনের যুক্তরাষ্ট্রের ব্যালিস্টিক ও যুক্তরাজ্যের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার জবাব দিতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এই নতুন হুমকির মোকাবিলায় তাদের পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে কাজ চলছে। নতুন বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে।
জেলেনস্কির মুখপাত্র জানান, প্রেসিডেন্টের দপ্তর যথারীতি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ইউক্রেনের সংসদ অধিবেশন স্থগিত করা হয়েছে রাশিয়ার সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঝুঁকির কারণে।
সংসদ সদস্য মাইকিতা পোতুরায়েভ জানান, রাশিয়ার হামলার আশঙ্কায় সংসদ অধিবেশন স্থগিত রাখার পাশাপাশি রাজধানীর বাণিজ্যিক অফিস ও এনজিওগুলোকেও সতর্ক করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়তি সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে সংসদ সদস্য ওলেক্সি গনচারেঙ্কো এই সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ উল্লেখ করে বলেন, এটি শুধু আতঙ্ক বাড়িয়েছে এবং পুতিনের পরিকল্পনাকে সহজতর করেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ক্রমেই আরও জটিল রূপ ধারণ করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে রাশিয়ার এই পদক্ষেপ সামরিক পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলবে। সূত্র : আল জাজিরা