ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : কিরণ রাও আর আমির খান—শুরু থেকেই যেন নিয়মভাঙা। তাদের বিয়ে টেকেনি, বিচ্ছেদ হয়েছে। তবু সম্পর্ক ভাঙেনি। একে অপরের হাত ছাড়েননি। সঙ্গে রয়েছেন, এক পরিবার হয়েই রয়েছেন। বিচ্ছেদ যেন তাদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করেছে। বিচ্ছেদ মানেই শেষ, এই সংজ্ঞাই যেন বদলে দিয়েছেন তারা। কিরণ তার ছবি ‘লাপাতা লেডিজ’-এর জন্য সাফল্য পেয়েছেন। কিন্তু, প্রযোজনার দায়িত্ব ছিল আমিরের কাঁধেই। যেই সময় এমন প্রশংসা ও সাফল্য পেলেন কিরণ, সেই সময়েই নাকি অভিনয় থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন আমির! তবে কিরণই সেই ব্যক্তি যার চোখের পানি দেখে সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেননি এই বলিউড অভিনেতা।
ক্যারিয়ারে গত কয়েক বছর বিশেষ ভালো কাটেনি বলিউড অভিনেতা আমির খানের। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল ‘থাগস অফ হিন্দুস্তান’। তার পরে একই রকমের ভরাডুবির সম্মুখীন হয় ‘লাল সিংহ চাড্ডা’ও। জনপ্রিয় হলিউড অভিনেতা টম হ্যাঙ্কস অভিনীত ‘ফরেস্ট গাম্প’ অবলম্বনে তৈরি আমির খানের সিনেমা মন ভরাতে পারেনি দর্শক ও সমালোচকের। ‘লাল সিংহ চাড্ডা’র ব্যর্থতার পরে প্রায় এক বছর প্রচারের আলো থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন আমির। অভিনয় থেকেও অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন, ছেলে মেয়ে ও পরিবার নিয়ে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেবেন। অভিনেতার মনে হয়েছিল সিনেমা তাকে হতাশ করেছে। তাই আর পর্দায় ফিরবেন না।
তবে কিরণ বুঝেছিলেন, সিনেমা-পাগল মানুষটা যখন অভিমানে মুখ ফিরিয়ে নিলেন, সেটা অন্তরের যন্ত্রণা থেকেই। আমিরের কথায়, ‘একদিন আমরা দু’জনে বসে আছি হঠাৎ কাঁদতে শুরু করল কিরণ। আমার হাতটা ধরে বলল তুমি নিজের এই সিদ্ধান্তে অনড় থেকো না। কারণ সিনেমাকেই তুমি সব থেকে বেশি ভালবাসো। কাজে ফেরো।’ ব্যস কিরণের কথা আর ফেলতে পারলেন না। প্রস্তুতি শুরু করেছেন বড় পর্দায় ফেরার। তবে একা কিরণ নয় মেয়ে ইরা খানও বুঝিয়েছেন বাবাকে। তার মতে, বাবা নাকি সারাক্ষণ বাড়ি থাকলে তারা শান্তিতে থাকতে পারবেন না। সেই কারণে কাজে ফেরারই ভালো। বড় ছেলে জুনাইদও বাবাকে সাহায্য করেছেন বলেই জানান অভিনেতা। অভিনয়ে একের পর এক ব্যর্থতার পরে আপাতত নিজের প্রযোজনা সংস্থায় মন দিতে চান আমির। স্প্যানিশ ড্রামা ‘ক্যাম্পিওনেস’ অবলম্বনে হিন্দিতে ‘চ্যাম্পিয়নস’ ছবি বানানোর জন্য ইতোমধ্যেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন তিনি। ছবিতে অভিনয় করতে চলেছেন ফারহান আখতার। এ ছাড়াও শাহরুখ খানের ‘পাঠান ২’ ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে দেখা যাবে আমিরকে।