ছবি সংগৃহীত
চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে এ পর্যন্ত সাতটি ফ্লাইটে ৩৩৮ জন বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। তবে কিছু অবৈধ প্রবাসী দেশে ফিরতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
দেশে ফিরতে যেসব বাংলাদেশি অনীহা প্রকাশ করেছেন তারা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) এর মাধ্যমে বিমানযোগে আসতে পারবে না বলে জানিয়েছে দূতাবাস।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) লেবাননের বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জনানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লেবাননে চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে যেসব অনিয়মিত প্রবাসী আইওএম এর ব্যবস্থাপনায় দেশে ফেরত যাবার বিষয়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন, পরে দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় অথবা আইওএম এর মাধ্যমে বিমানযোগে দেশে ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে না। এছাড়াও ভবিষ্যতে তারা কোনো প্রকার আইনি জটিলতার সম্মুখীন হলে সব দায়-দায়িত্ব নিজেদের বহন করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, লেবানন এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত আসতে ইচ্ছুক আটকেপড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সাতটি ফ্লাইটে ৩৩৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
প্রত্যাবাসন করা এসব বাংলাদেশি নাগরিককে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএম।
আইওএম-এর কর্তৃপক্ষ থেকে লেবানন থেকে প্রত্যাবাসন করা প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা পকেটমানি, কিছু খাদ্য সামগ্রী ও প্রাথমিক মেডিকেল চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
বিমানবন্দরে ফিরে আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেন ও তাদের খোঁজখবর নেন। এ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যত জন প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক তাদের সবাইকে সরকার নিজ খরচে দেশে ফেরত আনবে। বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের জন্য এবং যেসব প্রবাসী ফিরে আসতে অনিচ্ছুক তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে । সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম