ফাইল ছবি
দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বাতিল করেছে আপিল বিভাগ।
আজ আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) জালিয়াতির মাধ্যমে নতুন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবনের নির্মাণ (২য় পর্যায়) কাজ নেওয়ার অভিযোগে করা এ মামলায় গত ৫ জুন জি কে শামীমকে জামিন দেয় হাইকোর্ট।
২০২০ সালের ২২ নভেম্বর জি কে শামীমসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদক সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম জেলা-১ এর সহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলাম।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স-জিকেবিএলকে ৭৫ কোটি এক লাখ ২৯৫ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় পর্যায়ে করা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবন নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু দরপত্রের নথি জালিয়াতি করা হয়েছে।
এ মামলায় ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযোগের মধ্যে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ওই ভবন থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা, এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
অভিযানের সময় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে দুই মামলায় তার সাজা হয়েছে।
২০২৩ সালের ১৭ জুলাই মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় জিকে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আদালত। বাকী সাত আসামিকে (জিকে শামীমের দেহরক্ষী) ৪ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া তাদের সম্মিলিতভাবে ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। রায়ে আদালত তার জব্দ করা সমস্ত ব্যাংক হিসাব ও অস্থাবর সম্পত্তি অবমুক্ত করার আদেশ দেয়।