ছবি সংগৃহীত
নিউইয়র্কে বাংলাদেশি উবার চালক সোহেল মাহমুদকে (৪৫) মারধরের সাথে মরিচের গুড়া মিশ্রিত পানি নিক্ষেপ এবং ধর্ম ও বর্ণবিদ্বেষমূলক গালি প্রদানের জন্য জেনিফার গীলবোট (২৩) এর বিরুদ্ধে ‘হেইট ক্রাইম’র অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
সোমবার ম্যানহাটান সুপ্রিম কোর্টে এ অভিযোগ দায়েরের পর শ্বেতাঙ্গ যুবতী জেনিফার নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
গত ৩১ জুলাই মধ্যরাতে ম্যানহাটান ওয়েস্ট সাইড থেকে উবারে উঠেন জেনিফার। পথিমধ্যে আরেকজনকে উঠান এবং গন্তব্যে যেতে বলেন সোহেল মাহমুদকে। সোহেল সেন্ট্রাল পার্কের পাশ দিয়ে ট্যাক্সি চালিয়ে আপটাউনে যাবার সময় ৬৫ স্ট্রিট এবং লেক্সিংটন এভিনিউতে ট্রাফিক লাইটে ট্যাক্সি থামান। এ সময়ই পেছনের সিট থেকে সোহেলের ওপর হামলে পড়েন জেনিফার। কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব সোহেল নিজেকে কোনমতে জেনিফারের কবল থেকে রক্ষা করেই দরজা খুলে বাইরে বের হন। সে সময়েও গাড়ি চালু ছিল বলে মুহূর্তেই দৌড়ে ড্রাইভিং সীটে বসেন এবং রাস্তা থেকে সরিয়ে পার্ক করেন। সে সময়ে মরিচের গুড়া মিশ্রিত পানি অনবরতভাবে নিক্ষেপ করেন জেনিফার। এবং আবারো মারধোর করতে থাকেন। গাড়ি পার্ক করার পর দরজা খুলে বের হয়েই সোহেল পাল্টা প্রশ্ন করেন, কেন তার ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। জেনিফারের সাথী প্যাসেঞ্জার (তরুনী)ও জানতে চান কেন সোহেলের ওপর এমন হামলা করা হলো। জবাবে জেনিফার বলেছেন, হি ইজ ব্রাউন। অর্থাৎ সোহেল হচ্ছেন বাদামি রংয়ের মানুষ এবং মুসলমান-এটাই হচ্ছে ক্ষোভের কারণ।
পেশাগত অবস্থায় এমন আক্রমণের সংবাদ জেনে পুলিশ এসে গ্রেফতার করেছিল জেনিফারকে। এরপর মামলাটি জুরিবোর্ডে যায়। জুরিবোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার ২৮ অক্টোবর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ জেনিফারের বিরুদ্ধে ‘হেইট ক্রাইম’র অভিযোগ সাবমিট করেছেন আদালতে।
সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন