ছবি সংগৃহীত
মোটরযান মালিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় পুরোনো ও ফিটনেসবিহীন মোটরযান নিষিদ্ধ করতে ছয় মাস সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে পরিবেশবান্ধব মোটরযান সড়কে নামাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ পাবেন মোটরযান মালিকরা।
আজ বিদ্যুৎ ভবনে ঢাকার বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে পুরোনো মোটরযান অপসারণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা সভার পর সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, পুরোনো মোটরযান অপসারণের ফলে ঢাকার বায়ুর মানের উন্নতি হবে, যা নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়ক হবে। যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে ঢাকায় শ্বাস নেওয়ার মতো বাতাস থাকবে না। সরকার এমনভাবে কাজ করবে, যাতে দূষণ কমে এবং জনদুর্ভোগ না হয়।
বন উপদেষ্টা বলেন, ডিসেম্বর মাস থেকে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পেইন শুরু হবে। সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করে পুলিশকে জরিমানা করার ক্ষমতা দেওয়া হবে। দূষণকারীদের জরিমানা করা হবে, যা ব্যাংকে জমা করতে হবে। এতে ড্রাইভাররা হর্ন বাজানো কমাবে।
সাংবাদিক এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা জানান, সীসা দূষণ নিয়েও কাজ করা হবে।
সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, পুরোনো মোটরযান অপসারণের জন্য সরকার শিগগিরই একটি কার্যকর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে, যা শহরের যানজট ও দূষণ কমাতে সহায়ক হবে।
দূষণ কমানোর সঙ্গে সঙ্গে জনদুর্ভোগ যেন না হয়, সেটিও দেখা হবে।