ছবি সংগৃহীত
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ চার ডাকাতকে আটক করেছে নৌবাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ১টি দেশীয় রাইফেল, ১টি বিদেশি একনলা বন্দুক, ৬টি কার্তুজ, ৮টি তাজা গোলা, ২টি খালি কার্টিজ, ২টি বড় চাপাতি, ৮টি দা,বটি, চাকু ও ছুরি উদ্ধার করা হয়।
আটকরা হলেন-উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে মো. ফিরোজ খান ওরফে মঞ্জু ডাকাত (৪৫), কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মৃত গোলাম মাবুদের ছেলে মো. সুজা উদ্দিন (৩৮), আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের তবলরচর এলাকার মো. শিকদার মিয়ার ছেলে মো. সাহেদ (৩৬) এবং একই এলাকার মৃত মোজাফফর হোসেনের ছেলে মো. নেসার (৩৮)।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কন্টিনজেন্ট কমান্ডার কুতুবদিয়া লে. কমা. ইমাম মাহাদীর নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি নৌবাহিনীর টহল দল উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের তাবালের চর, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন, উত্তর ধূরুং ইউনিয়ন ও লেমশীখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে শাহাবুদ্দিন ডাকাত বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড নেছার ডাকাতকে ধরা হলে তার তথ্যের ভিত্তিতে সাহেদ ডাকাতকে ধরা হয়।
ডাকাত সদস্য ইসমাইল ওরফে সোনাই মিয়ার বাড়িতে তল্লাশি করে ডাকাতদের ব্যবহৃত দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৬ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে, ডাকাত নেছার ও সাহেদের তথ্যের ভিত্তিতে রাতব্যাপী অভিযানে গুরা কালু ডাকাত দলের সদস্য মো. ফিরোজ খান ওরফে মঞ্জু ডাকাত ও সুজা উদ্দিন ডাকাতকে আটক করা হয়।
মঞ্জু ডাকাতের বাড়িতে তল্লাশি করে একটি দেশীয় একনলা বন্দুক উদ্ধার করা হয়। এ সময় শাহাবুদ্দিন বাহিনীর প্রধান শাহাবুদ্দিন, রবি বাহিনীর প্রধান রবি উল্লাহ, কালু বাহিনীর প্রধান গুরা কালু, ডাকাত সদস্য এ.আর খান, আবুল কাশেম, ইসমাইল ওরফে সোনা মিয়া ডাকাত একটি ট্রলার যোগে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য অস্ত্রসহ পালিয়ে যায়। এদিকে, আটককৃত চার ডাকাতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুতুবদিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।