ছবি সংগৃহীত
অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদমাধ্যমের সংস্কার: কেন? কীভাবে? শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ডসহ বেতনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে দাস সুলভ আচরণের সুযোগ নেই।
সাংবাদিকদের পেশাদারত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা কেন পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে পারেন না সে বিষয় পর্যালোচনা করা হচ্ছে। দেশে গণমাধ্যম স্বাক্ষরতা গড়ে ওঠেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে পেশাদারত্বের সংস্কৃতি বাংলাদেশে অনুপস্থিত। অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে কাজ করা হবে। এক্ষেত্রে সাংবাদিক সংগঠনসমূহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
সম্প্রতি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে উপদেষ্টা বলেন, এই অভ্যুত্থান গণমাধ্যমের জন্য বড় কেস স্টাডি। এই অভ্যুত্থানে গণমাধ্যমের কী ভূমিকা ছিল তা নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করতে হবে। আন্দোলনের সময় মাঠ পর্যায়ে অনেক সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করতেন। কিন্তু মিডিয়া হাউজ পলিসির কারণে ওই সংবাদ প্রকাশিত হতো না।
মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য সাংবাদিকদের পেশাদারত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি অভিহিত করে। তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে সাংবাদিকদের পেশাদারত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি তরুণদের এই পেশায় আগ্রহী করে তুলতে হবে। তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সংস্কারের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন।
মুক্ত আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সাইফুল আলম প্রমুখ।
মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন সাংবাদিক জিমি আমির। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।