এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট:‘হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আসন্ন। এ উপলক্ষে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যান্ত অঞ্চলে ৬৯টি, মোরেলগঞ্জ উপজেলার ৭৬টি বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যান্ত অঞ্চলের মন্দিরগুলোতে সাজ সাজ অবস্থা। বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। এবার ফকিরহাট মোরেলগঞ্জে উপজেলা ১৪৫টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিমা তৈরিতে কারিগরের ব্যস্ততা জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা।
জানাগেছে, এ বারে ফকিরহাট উপজেলা ৬৯টি, মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ১৬টি ইউনিয়ন সহ ১টি পৌরসভায় ৭৬টি পূর্জা মন্ডপে শারর্দীয় দূগা পূজায় ইতোমধ্যে মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমা তৈরর মাটির কাজ করছেন ভাষ্ককরা।
মোরেলগঞ্জ পৌর সদরে ৪টি সার্বজনীন শ্রী শ্রী হরিসভা মন্দির, সাদক রামপ্রসাদ কালি মন্দির, সেরেস্তাদারবাড়ি নবারুন সংর্ঘ দূর্গা মন্দির, সোলমবাড়িয়া সার্বজনীন শ্রী শ্রী শারর্দীয় দূর্গা মন্দিরসহ তেলিগাতি ইউনিয়নে ৩টি, পঞ্চকরণে ৪টি, পুটিখালী ১টি, দৈবজ্ঞহাটী ৩টি, রামচন্দ্রপুর ৫টি, চিংড়াখালী ৮টি, হোগলাপাশা ৭টি, বনগ্রাম ১৫টি, বলইবুনিয়া ৪টি, হোগলাবুনিয়া ১টি, বহরবুনিয়া ৫টি, জিউধরা ৬টি, নিশানবাড়িয়ায় ২টি, বারইখালী ৩টি, মোরেলগঞ্জ সদর ২টি ও খাউলিয়া ইউনিয়নে ৪টি পূজা মন্ডপে উৎসব মূখর পরিবেশে শারদীয় দূগা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সবচেয়ে বনগ্রাম ইউনিয়নে ১৫টি দূর্গা মন্দিরে পূজা অণুষ্ঠিত হবে।
এ বছর ২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দেবীপক্ষ। ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে দেবী বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। আগামী ১৩ অক্টোবর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব সমাপ্ত ঘটবে।
এদিকে, এ উৎসবকে ঘিরে দেবী দুর্গাকে বরণ করে নিতে পাশাপাশি চলছে মণ্ডপ মণ্ডপে প্রস্তুতি। এখন শারদীয় মেতে ওঠার অপেক্ষায় সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষেরা। আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিমা শিল্পীরা কল্পনায় দেবী দুর্গার অনিন্দ্যসুন্দর রূপ দিতে রাতভর করছেন প্রতিমা তৈরির কাজ।
নিখুঁত হাতের কারুকার্য দিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তৈরি করছেন প্রতিমা। পূজার সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন প্রতিমা শিল্পীরা। এই উপজেলার বিভিন্ন মণ্ডপে গিয়ে দেখা যায়, মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এখন শেষ পর্যায়ে মূর্তিতে রং-তুলির আঁচড়ের কাজ চলছে। অন্যদিকে সাজসজ্জা, আলোকসজ্জা, প্যান্ডেল তৈরি ও ডেকারেশনসহ অন্যান্য কাজগুলোও ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে। দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও মণ্ডপের জন্য তৈরি করা হয়েছে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অসুর, সিংহ, মহিষ, পেঁচা, হাঁস, সহ অনেক প্রতিমা। প্রতিমা তৈরি কাজ দেখতে বিভিন্ন মণ্ডপে শিশু-কিশোরদের ভিড় করতে দেখা যাচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিমা শিল্পীরা প্রতিমা তৈরীর কাজে গভীর মনোনিবেশ করেছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তারা দেবী মূর্তি তৈরী করছেন।
সরেজমিনে সোমবার সাদক রামপ্রসাদ কালি মন্দিরে দূর্গা প্রতিমা তৈরি মাটির কাজ করছেন ভাষ্কর সোমনাথ বৈদ্য তিনি জানান, এবারে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যবহৃত রং, জরী, ভারতীয় পেইন্ড, প্রতিমা তৈরির চুলসহ নানা সামগ্রী গত বছরের চেয়ে বাজার দর দাম বেড়েছে দ্বিগুন। ৩ জন শ্রমীক নিয়ে কাজ করে যে টাকা পাই তাতে পেুষিয়ে উঠতে কষ্ট হয়্। তারপরেও দীঘদিন ধরে প্রতিমা তৈরি এ ভাষ্করের কাজ করে নিজেকে আত্মতৃপ্তি মনে করি।
সেই সাথে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এ বাজারে পরিশ্রমের পর প্রতিমা তৈরি করে যে মজুরি পাই তা দিয়ে জীবন যাপন করা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। অনেকেই এ পেশা ছেড়ে চলে গেছে। নানা সংকটের মধ্যে টিকে থাকা কষ্টকর। তাই প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি অনেকের অন্য পেশার কাজ করতে হচ্ছে।এদিকে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপাতি কাউন্সিল শাংকর কুমার রায় জানিয়েছেন, এ উপজেলায় ৭৬টি মন্ডপে সারম্বরে শারদীয় পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্চে। ইতোমধ্যে সমকল প্রস্তুতি শেষের পথে। প্রতিটি মন্ডপে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবেক টিমসহ আগেভাগেই ভলানটিযার টিম কাজ করছেন। প্রশাসনেসর পক্ষ থেকেও কঠোর নিরাপপ্তা ব্যবস্থা করেছেন। নিখুঁত হাতের কারুকার্য দিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তৈরি করছেন প্রতিমা। পূজার সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন প্রতিমা শিল্পীরা। এই উপজেলার বিভিন্ন মণ্ডপে গিয়ে দেখা যায়, মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এখন শেষ পর্যায়ে মূর্তিতে রং-তুলির আঁচড়ের কাজ চলছে। অন্যদিকে সাজসজ্জা, আলোকসজ্জা, প্যান্ডেল তৈরি ও ডেকারেশনসহ অন্যান্য কাজগুলোও ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে। দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও মণ্ডপের জন্য তৈরি করা হয়েছে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অসুর, সিংহ, মহিষ, পেঁচা, হাঁস, সহ অনেক প্রতিমা। প্রতিমা তৈরি কাজ দেখতে বিভিন্ন মণ্ডপে শিশু-কিশোরদের ভিড় করতে দেখা যাচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিমা শিল্পীরা প্রতিমা তৈরীর কাজে গভীর মনোনিবেশ করেছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তারা দেবী মূর্তি তৈরী করছেন।
মানসা প্রতিমা গড়তে ভাস্কর অখিল বিশ্বাস ও অসিত জোয়ার্দ্দার সহ কয়েকজন প্রতিমা তৈরীর কারিগর জাানান, প্রতিমা গড়তে দুর দুর্দান্ত থেকে মাটি সংগ্রহ করে দো-আঁশ মাটির কাজ করা হয়। আর এসব প্রতিমা তৈরীতে আমাদের দম ফেলার ফুসরত নেই। দেবী মা দুর্গা তার সাথে বিদ্যার দেবী স্বরসতী, ধন সম্পদের দেবী লক্ষ্মী এবং দেব সেনাপতি কার্তিক ও গনেশসহ নানা দেব-দেবীর প্রতিমার রূপকে ফুটিয়ে তুলবো নিপুন হাতের ছোঁয়ায়।
সেই সাথে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এ বাজারে পরিশ্রমের পর প্রতিমা তৈরি করে যে মজুরি পাই তা দিয়ে জীবন যাপন করা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। অনেকেই এ পেশা ছেড়ে চলে গেছে। নানা সংকটের মধ্যে টিকে থাকা কষ্টকর। তাই প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি অনেকের অন্য পেশার কাজ করতে হচ্ছে।
এদিকে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপাতি কাউন্সিল শাংকর কুমার রায় জানিয়েছেন, এ উপজেলায় ৭৬টি মন্ডপে সারম্বরে শারদীয় পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্চে। ইতোমধ্যে সমকল প্রস্তুতি শেষের পথে। প্রতিটি মন্ডপে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবেক টিমসহ আগেভাগেই ভলানটিযার টিম কাজ করছেন। প্রশাসনেসর পক্ষ থেকেও কঠোর নিরাপপ্তা ব্যবস্থা করেছেন।
থানা অফিসার ইনচাজৃ ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সোমবার বিকেলে ৪ টায় জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় মন্দিরের সভাপতি সম্পাদকরে সাথে মতবিনিময় সভা করবেন। পূজা উদযাপন ও মন্ডপগুলোর নিরাপত্তার প্রস্তুতির বিষয় আলাচনা করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বদরুদ্দোজা বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসবে ঘিরে কল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ৯ তারিখে প্রতিটি পূজা ম,ন্ডপের সভাপতি সম্পাদককের সাথে প্রস্তুতি সভারও সিদ্ধান্ত গ্রহন হয়েছে। মন্ডপগুলো নিরাপত্তারজন্য ইতোমধ্যে প্রতিটি দূর্গা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা, বসানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পূজার পূর্ব মুর্হুত থেকেই স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকটিম দল গঠন করে পাহারার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।