ছবি সংগৃহীত
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ও বৃষ্টির কারণে প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট ও যানবাহনের ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থায় কিছু অংশে থেমে থেমে যান চলাচল করলেও অনেক স্থানে দীর্ঘ সময়ের জন্য আটকা থাকছে যানবাহনগুলোর। এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
আজ ভোর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব মহাসড়কে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ভোরে মহাসড়কে হওয়া একটি দুর্ঘটনা থেকে এই যানজটের উৎপত্তি বলে জানা যায়। পরে আরও একাধিক দুর্ঘটনা ও টানা বৃষ্টি যানজট আরও বাড়িয়ে দেয়।
এদিন দুপুর সোয়া ২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ নান্নু খান।
জানা গেছে, মধ্যরাতে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের এলেঙ্গা-কালিহাতী লিংক রোডে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও ট্রাক সড়ক থেকে সরাতে কিছুটা সময় লাগায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বাস ও ট্রাক সরিয়ে নিলে সড়ক স্বাভাবিক হচ্ছিল। তবে পরপর আরও দুই থেকে তিনটি দুর্ঘটনা ও টানা ভারী বৃষ্টির কারণে সড়কে গাড়ির গতি কমে যায়। বর্তমানে মহাসড়কের রাবনা বাইপাসের পূর্ব পাশের এলাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কোথাও যানজট ও কোথাও যানবাহনের ধীরগতি চলছে। মাঝে মধ্যে গাড়ি সামনের দিকে এগিয়ে গেলেও আবার থেমে যাচ্ছে। এ কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের।
সিরাজগঞ্জ থেকে রোগী নিয়ে বাসে করে ঢাকায় যাচ্ছেন টি এম এ হাসান। দুপুর আড়াইটার সময় এলেঙ্গায় যানজটে আটকা থেকে তিনি বলেন, সাড়ে ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়েছি। দুই ঘণ্টায় মাত্র এলেঙ্গা পর্যন্ত এসেছি। সবাই চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি। বাস একটু সামনে গেলে আবার অনেকক্ষণ যানজটে আটকে থাকছে। একইরকম অবস্থা ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে আসা যাত্রীদেরও।
ব্যাপারে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ নান্নু খান বলে, একাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ও বৃষ্টির কারণে ভোর থেকে মহাসড়কে যানবাহনের ধীরগতি সৃষ্টি হয়। পরে গাড়ির চাপ বাড়ায় কোথাও যানজট ও কোথাও ধীরগতি দেখা দিয়েছে। তবে যানজট নিরসনে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে।