ছবি সংগৃহীত
দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপকূলীয় এলাকায় টহল ও নজরদারি বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। সেই ধারাবাহিকতায় উপকূলীয় ২৯৯ পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা দেবে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। পাশাপাশি যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে তারা।
আজ দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে বাহিনীর স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সালমান সিদ্দিকী স্বাধীন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে কোস্টগার্ড সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয় রক্ষার গুরু দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত হিন্দুধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ধর্মীয় উপাসনালয়সহ পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।
তিনি জানান, উপকূলীয় এলাকার মধ্যে কোস্টগার্ড ঢাকা জোন ৩৭টি, পূর্ব জোন (চট্টগ্রাম) ৫০টি, পশ্চিম জোন (মোংলা) ১৩০টি ও দক্ষিণ জোন (ভোলা) ৮২টিসহ সর্বমোট ২৯৯টি মন্দির ও পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে যেকোনো ধরণের নাশকতা থেকে জনগণের জানমাল এবং উপাসনালয় রক্ষা করা ও যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।
কোস্টগার্ডের এই কর্মকর্তা বলেন, এছাড়াও প্রতিমা বিসর্জনের স্থানে নৌকা ডুবির মতো অনাকাঙ্খিত ঘটনায় উদ্ধারের জন্য কোস্টগার্ডের বিশেষ ডুবুরিদল প্রস্তুত থাকবে। কোস্টগার্ডের এ ধরনের জননিরাপত্তামূলক কার্যক্রম ১ অক্টোবর থেকে প্রতিমা বিসর্জনের দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।