ছবি সংগৃহীত
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, দীর্ঘদিন কষ্ট করেছেন। আরও কিছুদিন কষ্ট করতে হবে। আরও আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। আমরা কারও ওপর অন্যায়-অত্যাচার করবো না।
আজ সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন।
জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, শাহ মুহাম্মদ নেছারুল হক প্রমুখ।
দ্রুত সংস্কার শেষে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে সেলিমা রহমান বলেন, আমরা জানি আমাদের প্রত্যাশা কী। আমাদের প্রত্যাশা হলো কথা বলার অধিকার, বেকার যুবকের কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে এত প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব না। কারণ এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে কেবল নির্বাচিত সরকার।
এখনো ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি জানিয়ে এই নেত্রী বলেন, ভারতে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নানা রকম ষড়যন্ত্র করছেন। তার দলবল লুকিয়ে আছে। তাদের বর্তমান প্রশাসন আগলে রেখেছে, বের করছে না। অনেক নেতাকর্মীকে পার করে দেওয়া হয়েছে। কারা পার করেছে। আওয়ামী দোসররা পোশাক খাতের অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, শতাধিক মামলার আসামি হয়েছি গত ১৭ বছর। দেশের এমন কোনো গ্রাম নেই, যেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা নির্যাতন ও মামলার শিকার হন নাই।
১৭ বছর ধরে বিএনপি সরকার পতন আন্দোলনের পথ তৈরি করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা নেমে আসাতে এই আন্দোলন সফল হয়েছে। এ সময় তিনি দ্রুত নির্বাচন দেওয়া ও শেখ হাসিনার ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে বিচার করার দাবি জানান।
বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্যে নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, সংস্কারের নাম করে যদি মেয়াদ বাড়তে থাকে তাহলে অন্তর্বর্তী সরকার প্রশ্নের মুখে পড়বে। খালেদা জিয়ার মামলাগুলো এতদিন থাকবে এটা আমরা প্রত্যাশা করি নাই। তারেক জিয়া সাড়ে ১৭ বছর বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। তার মামলাগুলোও এখনো প্রত্যাহার হয় নাই।