ছবি সংগৃহীত
মধ্য ইউরোপের সবচেয়ে সমৃদ্ধ দেশ জার্মানি। যে দেশে যুদ্ধ বিধ্বস্ত, ভিন্ন মত, আদর্শ, রাজনৈতিক, মানবিক ও ধর্মীয়সহ নানা কারণে অভিবাসীরা আশ্রয় পেয়ে থাকেন। তবে সম্প্রতি দেশটিতে অভিবাসীদের আশ্রয় দেয়া কিংবা না দেয়া এবং যেকোন কারণে আশ্রয় লাভে ব্যর্থ অভিবাসীদের তাদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো নিয়ে শুরু হয় আলোচনা ও সমালোচনা। এমনকি জার্মানির জাতীয় সংসদে অভিবাসী ইস্যুতে বাধে সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে চরম হট্টগোল। জনপ্রিয়তা কমে চ্যান্সেলর শলজের নেতৃত্বে তিনদলের জোট সরকারেরও।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে আর কোন অবৈধ ও অনিয়মিত অভিবাসী যাতে জার্মানিতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে কারণে সীমান্তে পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শলজ প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে ভাল এবং মন্দ দু’টি দিকই দেখছেন স্থানীয়সহ প্রবাসীরা।
তবে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সী ফেইজারের সীমান্তে কড়াকড়ির সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে নারাজ প্রতিবেশী পোল্যান্ড, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস ও গ্রিস। সীমান্তে পুলিশি চেক বা নজরদারির মাধ্যমে মালামাল পরিবহনসহ প্রচলিত শেনজেন নীতি ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মত দেশগুলোর।
এদিকে, জার্মানির সীমান্ত থেকে ফেরত পাঠানো আশ্রয় প্রত্যাশী অভিবাসীদের কোনওভাবে আশ্রয় দেবে না বলে জানিয়েছে জার্মানির প্রতিবেশী সবগুলো দেশ। একইসাথে কোন দেশে তারা আশ্রয় নেবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ইউরোপীয় ইউনিয়নও। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন