ফাইল ছবি
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আস্থা ও সমর্থন থাকার কথা উল্লেখ করে এই সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে সমর্থ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আমীর খসরু মাহমুদ বলেছেন, এখন একটা অন্তর্বর্তী সরকার আছে। তার প্রতি জনগণের আস্থা আছে, আমাদেরও আস্থা ও সমর্থন আছে। আমরা আশাবাদী যে, এই সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে সমর্থ হবে। তাদের সার্বিক সহযোগিতা দেবো।
আজ বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আজকে আমরা যাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি তারা আমাদের আন্দোলনের সাথী, আমাদের সবার অনেক সেক্রিফাইস আছে, আমরা জেলে গিয়েছি, আমরা নির্যাতিত হয়েছি সবাই। আমরা সেই সম্পর্কের ধারা অব্যাহত রেখেছি।
এদিন বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে প্রথম বৈঠকটি হয় গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের; যার নেতৃত্ব দেন জোটের সমন্বয়ক হারুন আল রশিদ খান। এরপর মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ এবং সর্বশেষে ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট-এনডিএমের সঙ্গে বৈঠক হয়।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হওয়ার পর আমরা আবার নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছি। এই আলোচনার মধ্যে বাংলাদেশের যে স্বপ্ন তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
‘শেখ হাসিনা পলায়ন করার পর থেকে বাংলাদেশের মানুষের মনোজগতে যে নতুন ভাবনা, যে নতুন আকাঙ্ক্ষা, যে নতুন প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে আমরা যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো আগামীর নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে কী করবো, তা নিয়ে আলোচনা করেছি।’
বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায় তা নিয়ে কথা হয়েছে। ৩১ দফা সবাই মিলে করেছি। বাস্তবায়নও একসঙ্গে করবো। জাতীয় সরকার বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করবো। মৌলিক সংস্কার শেষে নির্বাচনের প্রত্যাশা করি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য মানুষ আন্দোলন করেছে। দেশ চলবে জনগণের কথায়।
এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিতি ছিলেন। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর গণফোরাম, বাংলাদেশ পিপলস পার্টি ও ন্যাপ-ভাসানীর সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি।