শেখ হাসিনার পতনের ১ মাস

ছবি সংগৃহীত

 

ছাত্র-জনতার রক্ত আর হাজারো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের স্বৈরাচার শাসনের অবসান হয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। শেখ হাসিনার পতন ও ছাত্র-জনতার নতুন বাংলাদেশের ১ মাস পূর্ণ হলো আজ।

২৪— এ রক্তাক্ত জুলাই-আগস্টের পটভূমি  

তখন জুলাইয়ের শুরু— সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের সঙ্গে তুলনা করে বক্তব্য দেন সাবেক সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। তার এমন মন্তব্যে রাজপথে অভিনব প্রতিবাদ করেন শিক্ষার্থীরা। তখন শিক্ষার্থীদের আবেগ বুঝতে না পেরে উল্টো তাদের ওপর আক্রোশ মেটান আওয়ামী লীগ সরকার ও দলটির শীর্ষ পর্যায়। শুধু তাই নয়, তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। পিটিয়ে রক্তাক্ত করে নারী শিক্ষার্থীদেরও। সেই হামলাই গণবিস্ফোরণের বীজ বপন করে দেয়।

এর পর থেকেই এ আন্দোলনের গতি পাল্টে যায়। দাবি উঠে নগ্ন হামলার বিচারের। তখনও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকার কঠোর মনোভাব আর দমন নীতি চালিয়ে যায়। নিপীড়ন আর গণ-গ্রেপ্তার উল্টো বুমেরাং হয়ে উঠে। বাড়তে থাকে শিক্ষার্থীদের দাবির তালিকা। তারা সাধারণ মানুষের সংহতিও পায়।

এরপরও শিক্ষার্থীদের ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার একে একে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। অটল থাকে কঠোর নীতিতে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলি ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রাণহানির ঘটনায় গণ-বিস্ফোরণ রূপ নেয়। এরপরই অভিনব সব কর্মসূচি দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সরকার হটানোর আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। শহীদ মিনার থেকে ঘোষণা করা হয় সরকার পতনের এক দফা দাবি। শুরু হয় ছাত্র-জনতার সর্বাত্মক অসহযোগ।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন তিনি। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। এরপর রাষ্ট্রপতি সরকার ভেঙে দিলে আওয়ামী লীগের টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনে নেতিবাচক অবসান হয়। এর তিন দিন পর ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ শপথ গ্রহণ করেন।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াসহ অন্তর্বর্তী সরকারের ১৭ জন উপদেষ্টা শপথ নেন। উপদেষ্টাদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার মধ্য দিয়ে স্বাভাবিক হতে শুরু করে প্রশাসনিক কার্যক্রম।

 

ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনে শিশু-কিশোর-যুবক নারীসহ অন্তত ১ হাজার জনের অধিক প্রাণহানি ও কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলা-নির্যাতনে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।

 

হাসিনা সরকারের দমন পীড়নের সামনে রাজপথে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। তরুণ যুবা গৃহিণী, অভিভাবক সবাই স্বৈরাচারের রাহুমুক্ত হতে একজোট হয়েছিলেন রাজপথে। এতে চোখের আলো নিভে গেছে ৪০০ জনের। শরীরে বুলেটের ক্ষত নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন শত শত জনতা। শিশু, কিশোর, নারী থেকে শুরু করে বৃদ্ধের শরীর ভেদ করে বেরিয়ে গেছে গুলি।

হত্যা-সন্ত্রাস, আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ

ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে গিয়ে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভার সদস্য ও উপদেষ্টা, আওয়ামী লীগের অনেক এমপির বিরুদ্ধে নিহতদের পরিবার হত্যা মামলা দায়ের করছে।

 

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে শতাধিক হত্যা মামলা হয়েছে। শেখ হাসিনার পরিবারের অনেক সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। এর মধ্যেই স্বৈরাচারী সরকারের মন্ত্রী, এমপিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হয়েছেন। রিমান্ডে বেরিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ক্ষমতাধর এসব ব্যক্তিদের দমন, পীড়ন, লুটপাট, দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর তথ্য।

 

এদিকে বিচারের আওতা থেকে বাঁচতে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগেই আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী, এমপি বিদেশে পালিয়ে গেছেন। দেশে থাকা মন্ত্রী, এমপিরাও রয়েছেন আত্মগোপনে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার হচ্ছেন তারা। এরই মধ্যে শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এখন আর শেখ হাসিনার কোনো পাসপোর্ট নেই।  সূএ:ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে: সারজিস

» ‘কাদের আমার বাসায় আসতে চেয়েছিলেন, আজ তিনি কোথায়?’

» ‘আগামীতে সরকার-বিরোধী দলকে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হবে’

» ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযান: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

» বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া

» মতিঝিল রুটে চললো মেট্রো ট্রেন

» দেশে প্রথমবারের মতো আর্মরশেল প্রটেকশনের ফোন নোট ৬০ এনেছে রিয়েলমি

» স্যামসাং উইন্ডফ্রি এসি এক্সপেরিয়েন্স জোন: ভবিষ্যতের এক ঝলক

» সুন্দরবনের উপকূলীয় বাগেরহাটের নয় উপজেলায় আখের বাম্পার ফলন, চাষিরমুখে হাসির ঝিলিক

» অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম একনেকে ৪ প্রকল্প অনুমোদন

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

শেখ হাসিনার পতনের ১ মাস

ছবি সংগৃহীত

 

ছাত্র-জনতার রক্ত আর হাজারো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের স্বৈরাচার শাসনের অবসান হয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। শেখ হাসিনার পতন ও ছাত্র-জনতার নতুন বাংলাদেশের ১ মাস পূর্ণ হলো আজ।

২৪— এ রক্তাক্ত জুলাই-আগস্টের পটভূমি  

তখন জুলাইয়ের শুরু— সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের সঙ্গে তুলনা করে বক্তব্য দেন সাবেক সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। তার এমন মন্তব্যে রাজপথে অভিনব প্রতিবাদ করেন শিক্ষার্থীরা। তখন শিক্ষার্থীদের আবেগ বুঝতে না পেরে উল্টো তাদের ওপর আক্রোশ মেটান আওয়ামী লীগ সরকার ও দলটির শীর্ষ পর্যায়। শুধু তাই নয়, তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। পিটিয়ে রক্তাক্ত করে নারী শিক্ষার্থীদেরও। সেই হামলাই গণবিস্ফোরণের বীজ বপন করে দেয়।

এর পর থেকেই এ আন্দোলনের গতি পাল্টে যায়। দাবি উঠে নগ্ন হামলার বিচারের। তখনও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকার কঠোর মনোভাব আর দমন নীতি চালিয়ে যায়। নিপীড়ন আর গণ-গ্রেপ্তার উল্টো বুমেরাং হয়ে উঠে। বাড়তে থাকে শিক্ষার্থীদের দাবির তালিকা। তারা সাধারণ মানুষের সংহতিও পায়।

এরপরও শিক্ষার্থীদের ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার একে একে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। অটল থাকে কঠোর নীতিতে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলি ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রাণহানির ঘটনায় গণ-বিস্ফোরণ রূপ নেয়। এরপরই অভিনব সব কর্মসূচি দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সরকার হটানোর আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। শহীদ মিনার থেকে ঘোষণা করা হয় সরকার পতনের এক দফা দাবি। শুরু হয় ছাত্র-জনতার সর্বাত্মক অসহযোগ।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন তিনি। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। এরপর রাষ্ট্রপতি সরকার ভেঙে দিলে আওয়ামী লীগের টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনে নেতিবাচক অবসান হয়। এর তিন দিন পর ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ শপথ গ্রহণ করেন।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াসহ অন্তর্বর্তী সরকারের ১৭ জন উপদেষ্টা শপথ নেন। উপদেষ্টাদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার মধ্য দিয়ে স্বাভাবিক হতে শুরু করে প্রশাসনিক কার্যক্রম।

 

ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনে শিশু-কিশোর-যুবক নারীসহ অন্তত ১ হাজার জনের অধিক প্রাণহানি ও কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলা-নির্যাতনে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।

 

হাসিনা সরকারের দমন পীড়নের সামনে রাজপথে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। তরুণ যুবা গৃহিণী, অভিভাবক সবাই স্বৈরাচারের রাহুমুক্ত হতে একজোট হয়েছিলেন রাজপথে। এতে চোখের আলো নিভে গেছে ৪০০ জনের। শরীরে বুলেটের ক্ষত নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন শত শত জনতা। শিশু, কিশোর, নারী থেকে শুরু করে বৃদ্ধের শরীর ভেদ করে বেরিয়ে গেছে গুলি।

হত্যা-সন্ত্রাস, আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ

ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে গিয়ে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভার সদস্য ও উপদেষ্টা, আওয়ামী লীগের অনেক এমপির বিরুদ্ধে নিহতদের পরিবার হত্যা মামলা দায়ের করছে।

 

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে শতাধিক হত্যা মামলা হয়েছে। শেখ হাসিনার পরিবারের অনেক সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। এর মধ্যেই স্বৈরাচারী সরকারের মন্ত্রী, এমপিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হয়েছেন। রিমান্ডে বেরিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ক্ষমতাধর এসব ব্যক্তিদের দমন, পীড়ন, লুটপাট, দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর তথ্য।

 

এদিকে বিচারের আওতা থেকে বাঁচতে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগেই আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী, এমপি বিদেশে পালিয়ে গেছেন। দেশে থাকা মন্ত্রী, এমপিরাও রয়েছেন আত্মগোপনে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার হচ্ছেন তারা। এরই মধ্যে শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এখন আর শেখ হাসিনার কোনো পাসপোর্ট নেই।  সূএ:ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com