স্থিতিশীল সবজির বাজার

ফাইল ছবি

 

রাজধানীতে মুরগির ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা কমেছে। গত কয়েক মাস ধরে সবজির দাম বাড়তি থাকলেও গত দুই তিন সপ্তাহ ধরে কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। ফলে সবজির বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। তবে কয়েকটি সবজির বর্তমানে মৌসুম না হওয়ায়, সেগুলোর দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ১৬০-১৬৫ টাকায় প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হলেও তা কমে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও গরু, খাসির মাংসের দাম আগের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে।

 

বাজারে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দুল প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২৫০-২৭০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০ টাকা, আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা এবং কাঁকরোল প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া যেসব সবজির দাম কিছুটা বাড়তি, সেই তালিকায় বেগুন প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকায়, কচুর লতি প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা, মূলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুরমুখি প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১৪০-১৫০ টাকা, গাজর প্রতি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা এবং কচুরলতি প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, লাল কর্ক জাতের মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায়। এছাড়া গরুর মাংস বাজারভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়, আর খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।

 

পাশাপাশি বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়, শুকনো মরিচ দেশি ৪০০ টাকা, আর আমদানি করা মরিচ ৫০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। হলুদ প্রতি কেজি ৪০০ টাকায়, দেশি আদা প্রতি কেজি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

বাজারে মিনিকেট চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭২ টাকায়, আটাশ চাল ৫৭-৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৬-৫৮ টাকা কেজি। এছাড়া জিরাশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকায়, নাজিরশাইল ৭১-৭৩ টাকা, কাটারি নাজির ৭৭-৭৯ টাকায়, কাটারি আতপ চাল ৬৬-৬৮ টাকা কেজি, চিনিগুড়া মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭৭-১১৫ টাকায়।

 

রাজধানীর মালিবাগ বাজারে বাজার করতে আসে বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাজারে তুলনামূলক সবজির দাম কিছুটা কমেছে। এছাড়া বাকি সবকিছুর দামই বাড়তি যাচ্ছে। কিছুদিন ছাত্রদের বাজার মনিটরিং করতে দেখেছি তখন বাজারে অনেক কিছুরই দাম কিছুটা কম ছিল। এখন আবার বাজারে সব পণ্যের দাম যে যার মতো বাড়িয়ে দিচ্ছে। আসলে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে বাজার মনিটরিং বাড়ানোসহ অসাধু সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার কাজ করতে হবে। আমারা সাধারণ মানুষরা চাই সব পণ্যের মূল্য আমাদের সাধ্যের মধ্যে থাকুক।

 

বাজারে সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, গত কয়েক মাসের তুলনায় বিগত ২/৩ সপ্তাহ ধরে সবজির দাম কিছুটা কম যাচ্ছে। তবে ২/৪ আইটেমের সবজির বর্তমানে মৌসুম না হওয়ায় কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আবার নতুন করে এসব সবজি উঠতে শুরু করলে এগুলোরও দাম কমে যাবে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে: সারজিস

» ‘কাদের আমার বাসায় আসতে চেয়েছিলেন, আজ তিনি কোথায়?’

» ‘আগামীতে সরকার-বিরোধী দলকে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হবে’

» ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযান: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

» বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া

» মতিঝিল রুটে চললো মেট্রো ট্রেন

» দেশে প্রথমবারের মতো আর্মরশেল প্রটেকশনের ফোন নোট ৬০ এনেছে রিয়েলমি

» স্যামসাং উইন্ডফ্রি এসি এক্সপেরিয়েন্স জোন: ভবিষ্যতের এক ঝলক

» সুন্দরবনের উপকূলীয় বাগেরহাটের নয় উপজেলায় আখের বাম্পার ফলন, চাষিরমুখে হাসির ঝিলিক

» অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম একনেকে ৪ প্রকল্প অনুমোদন

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

স্থিতিশীল সবজির বাজার

ফাইল ছবি

 

রাজধানীতে মুরগির ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা কমেছে। গত কয়েক মাস ধরে সবজির দাম বাড়তি থাকলেও গত দুই তিন সপ্তাহ ধরে কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। ফলে সবজির বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। তবে কয়েকটি সবজির বর্তমানে মৌসুম না হওয়ায়, সেগুলোর দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ১৬০-১৬৫ টাকায় প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হলেও তা কমে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও গরু, খাসির মাংসের দাম আগের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে।

 

বাজারে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দুল প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২৫০-২৭০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০ টাকা, আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা এবং কাঁকরোল প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া যেসব সবজির দাম কিছুটা বাড়তি, সেই তালিকায় বেগুন প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকায়, কচুর লতি প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা, মূলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুরমুখি প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১৪০-১৫০ টাকা, গাজর প্রতি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা এবং কচুরলতি প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, লাল কর্ক জাতের মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায়। এছাড়া গরুর মাংস বাজারভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়, আর খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।

 

পাশাপাশি বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়, শুকনো মরিচ দেশি ৪০০ টাকা, আর আমদানি করা মরিচ ৫০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। হলুদ প্রতি কেজি ৪০০ টাকায়, দেশি আদা প্রতি কেজি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

বাজারে মিনিকেট চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭২ টাকায়, আটাশ চাল ৫৭-৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৬-৫৮ টাকা কেজি। এছাড়া জিরাশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকায়, নাজিরশাইল ৭১-৭৩ টাকা, কাটারি নাজির ৭৭-৭৯ টাকায়, কাটারি আতপ চাল ৬৬-৬৮ টাকা কেজি, চিনিগুড়া মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭৭-১১৫ টাকায়।

 

রাজধানীর মালিবাগ বাজারে বাজার করতে আসে বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাজারে তুলনামূলক সবজির দাম কিছুটা কমেছে। এছাড়া বাকি সবকিছুর দামই বাড়তি যাচ্ছে। কিছুদিন ছাত্রদের বাজার মনিটরিং করতে দেখেছি তখন বাজারে অনেক কিছুরই দাম কিছুটা কম ছিল। এখন আবার বাজারে সব পণ্যের দাম যে যার মতো বাড়িয়ে দিচ্ছে। আসলে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে বাজার মনিটরিং বাড়ানোসহ অসাধু সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার কাজ করতে হবে। আমারা সাধারণ মানুষরা চাই সব পণ্যের মূল্য আমাদের সাধ্যের মধ্যে থাকুক।

 

বাজারে সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, গত কয়েক মাসের তুলনায় বিগত ২/৩ সপ্তাহ ধরে সবজির দাম কিছুটা কম যাচ্ছে। তবে ২/৪ আইটেমের সবজির বর্তমানে মৌসুম না হওয়ায় কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আবার নতুন করে এসব সবজি উঠতে শুরু করলে এগুলোরও দাম কমে যাবে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com