দুর্নীতির দুই মামলায় খালাস পেলেন মির্জা আব্বাস

ফাইল ছবি

 

দুর্নীতি দমন কমিশনের করা পৃথক দুই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আজ  ঢাকার পৃথক দুটি বিশেষ জজ আদালতের বিচারক তাকে খালাস প্রদান করে।

 

এদিকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

প্লট বরাদ্দের অনিয়মের মামলায় খালাস মির্জা আব্বাস

মির্জা আব্বাসকে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় খালাস প্রদান করেছেন আদালত। আজ ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

 

এদিন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম এ মামলা প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত বিচারাধীন মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করে আসামিদের খালাস প্রদান করেন। এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন- বিএনপির সাবেক এমপি আলী আসগর লবী ও সরকারি কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম।

 

প্লট বরাদ্দের অনিয়মের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মির্জা আব্বাস ২০০৬ সালে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী থাকাকালে প্যাসিফিক কেমিক্যালস নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ১৯ দশমিক ৪৪ কাঠা জমি বরাদ্দ দেন। দুদকের অভিযোগ, সাবেক এমপি আলী আসগর লবী ও সরকারি কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলামের যোগসাজশে অনিয়মের মাধ্যমে এ প্লট বরাদ্দ দেন তিনি। এ অভিযোগে দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন শাহবাগ থানায় ২০০৭ সালের ১৫ জুলাই একটি মামলা করেন। পরের বছর ১১ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

 

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন মামলা থেকে খালাস পেলেন মির্জা আব্বাস জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে করা মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মো. মাসুদ পারভেজ এ রায় ঘোষণা করেন। মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করেন আদালত।

 

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম।

 

মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালে ২৪ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।

অব্যাহতি পেলেন মির্জা আব্বাস দম্পতি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

আজ  ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মো. মাসুদ পারভেজের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এদিন এ মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এসময় আসামিপক্ষে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করা হয়।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ইসলামপুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

» ইসলামপুরে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

» হায়দারগঞ্জ সড়কে সোলাখালী সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে মরণফাঁদে পরিণত।

» বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে বঙ্গোপসাগরে অনুপ্রবেশ ৩৪ ভারতীয় জেলে আটক, দুটি ট্রলার জব্দ

» জামালপুরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

» জামালপুরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবকের দশ বছরের আটকাদেশ

» বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলের ঐতিহ্য বিলুপ্তির পথে: বাঁশ ও বেত শিল্পে ধস পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে পথে বসছে হাজারো পরিবার  

» গৃহিণীদের জন্য দেশের প্রথম এক্সক্লুসিভ সেভিংস অ্যাকাউন্ট নিয়ে এলো ব্র্যাক ব্যাংক

» সারা দেশের স্মার্ট রাইডারদের জন্য ‘মুনসুন অফার’ ঘোষণা করল রিভো বাংলাদেশ 

» সারা দেশে মব সৃষ্টির প্রতিবাদে নওগাঁ ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

দুর্নীতির দুই মামলায় খালাস পেলেন মির্জা আব্বাস

ফাইল ছবি

 

দুর্নীতি দমন কমিশনের করা পৃথক দুই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আজ  ঢাকার পৃথক দুটি বিশেষ জজ আদালতের বিচারক তাকে খালাস প্রদান করে।

 

এদিকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

প্লট বরাদ্দের অনিয়মের মামলায় খালাস মির্জা আব্বাস

মির্জা আব্বাসকে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় খালাস প্রদান করেছেন আদালত। আজ ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

 

এদিন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম এ মামলা প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত বিচারাধীন মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করে আসামিদের খালাস প্রদান করেন। এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন- বিএনপির সাবেক এমপি আলী আসগর লবী ও সরকারি কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম।

 

প্লট বরাদ্দের অনিয়মের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মির্জা আব্বাস ২০০৬ সালে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী থাকাকালে প্যাসিফিক কেমিক্যালস নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ১৯ দশমিক ৪৪ কাঠা জমি বরাদ্দ দেন। দুদকের অভিযোগ, সাবেক এমপি আলী আসগর লবী ও সরকারি কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলামের যোগসাজশে অনিয়মের মাধ্যমে এ প্লট বরাদ্দ দেন তিনি। এ অভিযোগে দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন শাহবাগ থানায় ২০০৭ সালের ১৫ জুলাই একটি মামলা করেন। পরের বছর ১১ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

 

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন মামলা থেকে খালাস পেলেন মির্জা আব্বাস জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে করা মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মো. মাসুদ পারভেজ এ রায় ঘোষণা করেন। মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করেন আদালত।

 

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম।

 

মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালে ২৪ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।

অব্যাহতি পেলেন মির্জা আব্বাস দম্পতি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

আজ  ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মো. মাসুদ পারভেজের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এদিন এ মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এসময় আসামিপক্ষে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করা হয়।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com