রায়হান আহমেদ তামীম: আমার থাকা না থাকায় কারো কিছু আসে যায় না। আমাকে থেকে যাওয়ার জন্য হয়নি কোনো বায়না। আমার না থাকায় কোথাও শূন্য থাকেনি, অনুপস্থিতিতে খালি থাকেনি শ্রেণিকক্ষের শেষ বেঞ্চ। ইশকুলের বার্ষিক বনভোজনে আমার না থাকায় উদ্বিগ্ন হয়নি কেউ। আমার অভাবে কেউ আক্ষেপ করেনি হঠাৎ মিলিত হওয়া বন্ধুদের আড্ডায়।
আমি যেন এক দিকভ্রান্ত মুসাফির। জীবনের প্রয়োজনে কড়া নেড়ে গেছি দ্বারে দ্বারে। বড়জোর কেউ কেউ করুণা করেছে, কেউবা ফিরিয়ে দিয়েছে আমারে। কোনো ডাকপিয়ন আমার অস্থায়ী ঠিকানায় বয়ে আনেনি হলদে খাম। কেউ স্মৃতিচারণ করে লেখেনি রোজনামচার পাতায় আমার নাম।
আমি হতে পারিনি কারো বেস্ট পার্সন, বেটার পার্সন হওয়া তো আকাশকুসুম কল্পনা! হতভাগা আমি হতে পারিনি কারো টেম্পোরারি অপশনও!
আমি কল্পনা করে গেছি যেন আমি সেই দলছুট মুসাফির, যার কাফেলা তাকে ফেলে চলে গেছে বহুদূর। মরু সাহারার বুকে শুধু বেঁচে থাকাটাই যেন তার বিরাট আনন্দের!
কী পেয়েছি কী হারিয়েছি, তা নিয়ে আমার আক্ষেপ কিছু ছিল না, এখনো নেই। ধরে নিলাম আমাকে নিয়েই যেন মারজুকের সেই বিখ্যাত লাইন—‘…আমি অনেক কিছু ছাইড়া আসা লোক।
নিজেকে কল্পনা করেছি ঝরাপাতাদের দলে। গত বসন্তে যাদের ঝরে যাওয়া এতটুকু দাগ ফেলেনি গাছেদের বুকে। রবি ঠাকুরের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে আমিও বলে দিতে চাই—‘অভিমানী ঝরাপাতাগো আমি তোমারি দলে…’ সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম