ছবি সংগৃহীত
সারা দেশে ‘গণহত্যা’ ও সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছেন সাংবাদিকরা। আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশ (ডিইউজে) ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশ (বিএফইউজে) এই বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
সমাবেশে বিএফইউজের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, ‘এই সমাবেশ আর সাংবাদিকদের সমাবেশ নেই। এটি সাংবাদিক ও জনতার সমাবেশে পরিণত হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এরশাদের পতন হয়েছে। আজ ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছে। সাংবাদিক-জনতা নিয়ে এই সরকারের পতন ঘটানো হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের চার জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে, ২০০ জনকে আহত করা হয়েছে, ৫০ জন হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায়। শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। শত শত ছাত্র-জনতা কাতরাচ্ছে, চোখ হারিয়েছে, পা হারিয়েছে। পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। আর সরকার গদিতে আরামে থাকবে। সরকারের গদিতে থাকা হবে না। সরকারের পতনের মধ্যে দিয়ে বিচারের ফয়সালা করবো।
বিএফইউজের একাংশের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশ ইচ্ছা করে গুলি করে নাই। সরকারের নির্দেশে গুলি করতে হয়েছে। আমরা বলি, আমার ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করে পালাতে পারবে না। বাংলাদেশের সব রেলপথ, রাজপথ, সড়কপথ, বিমানপথ, নৌপথ বন্ধ করে দিতে হবে। এই হত্যার বিচার করতে হবে। নাহলে শিশুদের কাছে আমরা অপরাধী হয়ে থাকবো, দেশের কাছে আমরা অপরাধী হয়ে থাকবো, এই জাতি ও মানবতার কাছে অপরাধী হয়ে থাকবো। সেটা আমরা হতে চাই না।
ডিইউজের সদস্য শাহিন হাসনাতের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, সহ-সভাপতি শাহিন হাসনাত, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শাহনাজ পলি, কবি আব্দুল হাই সিকদার, আমিরুল ইসলাম কাগজী, সরদার ফরিদ, তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, রফিকুল ইসলাম আজাদ, আবু সালেহ আকন, আলাউদ্দিন আরিফ, ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক কারাবন্দী সাঈদ খানের স্ত্রী সাজিদা আক্তার ইতিসহ ডিইউজে ও বিএফইউজের নেতারা।