বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবার ক্যাভিয়ার আসলে কী?

ছবি সংগৃহীত

 

বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবারের তালিকায় শুরুতেই আছে ক্যাভিয়ার। এটি অনেকেই এখন চেনেন। সামান্য একটু ক্যাভিয়ারের দাম লাখ টাকা। সম্প্রতি এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানি পুত্র অনন্ত আম্বানির বিয়েতে অতিথিদের খাবারের তালিকায় রাখা হয়েছিল এই দামি খাবারটি।

 

এই ক্যাভিয়ারের দাম শুরু হয় সাড়ে তিন হাজার টাকা থেকে। মাত্র ৫৬ গ্রাম ক্যাভিয়ারের দাম প্রায় ৬০ হাজার টাকার কাছাকাছি। সবচেয়ে বিখ্যাত ক্যাভিয়ার আসে ইরানের অ্যালবিনো স্টার্জন মাছ থেকে। তবে এটি শুধু স্ত্রী স্টার্জন মাছ থেকেই পাওয়া যায়। জেনে অবাক হবেন, আলমাস ক্যাভিয়ারের দাম লাখ টাকা, যার কারণে এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়।

 

জানেন কি, আজ ক্যাভিয়ার দিবস। তবে শুধু দামি খাবার বলেই যে শখে মানুষ এই খাবার চেখে দেখেন তা কিন্তু নয়। আলমাস ক্যাভিয়ারকে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে মিরাকেল বা অলৌকিক বলে মনে করা হয়। সে কারণেই এটি ধনী ব্যক্তিদের খাদ্যতালিকায় জায়গা নিতে পারে।

 

ক্যাভিয়ার স্বাস্থ্যের জন্যেও খুবই উপকারী। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের রিপোর্ট অনুসারে, সব ধরনের ক্যাভিয়ার ভিটামিন বি-১২ সমৃদ্ধ, যা মানুষের ক্লান্তি এবং দুর্বলতা দূর করতে পারে। ক্যাভিয়ারে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেয়।

 

এটি খেলে আপনার স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ হতে পারে। এতে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে পারে। ক্যাভিয়ারে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম। এটি হাড়ের জন্যেও ভলো।

 

ক্যাভিয়ারের প্রাচীনতম লিখিত বিবরণ পাওয়া যায় ১২৪০ সালে মঙ্গোল শাসক বাতু খানের কাছ থেকে। উত্তর আমেরিকা ক্যাভিয়ার জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ২০ শতকের দিকে। সেসময় আমেরিকা সবচেয়ে ক্যাভিয়ার উৎপাদনকারী হয়ে ওঠে।

 

গিনেস বুক অব রেকর্ডস অনুযায়ী, আলমাস বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবারের মর্যাদা পেয়েছে। ইরান থেকে আসা অ্যালবিনো স্টার্জন মাছের ডিম্বাশয় থেকে আলমাস ক্যাভিয়ার পাওয়া যায় এবং এর রং কালো। একে কালো সোনাও বলা হয়।

সাধারণত এক কেজি আলমাস ক্যাভিয়ারের দাম হয় ৩৪ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৪০ লাখ ৫২ হাজার টাকা ( ডলার ১১৭.৪৫)। এই ক্যাভিয়ারের এক চামচের দাম প্রায় এক লাখ টাকা। এখন প্রশ্ন হল এর দাম এত বেশি কেন?

প্রকৃতপক্ষে, আলমাস ক্যাভিয়ার একটি বিরল প্রজাতির মাছ, অ্যালবিনো স্টার্জন থেকে আহরণ করা হয়, যার বয়স ৬০ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে। এই মাছগুলি কাস্পিয়ান সাগরের দক্ষিণ অংশে পাওয়া যায়, যেখানে সবচেয়ে কম দূষণ রয়েছে। আলমাস ক্যাভিয়ার একটি বিরল খাদ্য। অ্যালবিনো স্টার্জন মাছ নিলামে কোটি টাকায় বিক্রি হতে পারে। এ কারণে এর দাম সবচেয়ে বেশি।  সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» চোরাচালান প্রতিরোধে কোস্টগার্ডকে আন্তরিক হয়ে কাজের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

» সোনারগাঁয়ে হাসিনা-রেহানা-জয়ের নামে মামলা

» হিন্দু ভাইদের উসকানি দিচ্ছে আ’লীগের লোকজন: জামায়াত সেক্রেটারি

» বেঁধে দেওয়া দামে মিলছে না ডিম-ব্রয়লার মুরগি

» একটি মহল অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় রাখতে চায় : মির্জা ফখরুল

» ভারতে যাওয়ার সময় কুমিল্লায় আটক আ.লীগ নেতা

» ভারতের বিপক্ষে যেসব মাইলফলকের হাতছানি টাইগারদের

» ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে তারেক রহমানের বিবৃতি

» কেন কাজলকে সহ্য করতে পারতো না শাহরুখপুত্র আব্রাম?

» সাংহাইয়ে শক্তিশালী টাইফুন ‘বেবিনকা’র আঘাত

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবার ক্যাভিয়ার আসলে কী?

ছবি সংগৃহীত

 

বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবারের তালিকায় শুরুতেই আছে ক্যাভিয়ার। এটি অনেকেই এখন চেনেন। সামান্য একটু ক্যাভিয়ারের দাম লাখ টাকা। সম্প্রতি এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানি পুত্র অনন্ত আম্বানির বিয়েতে অতিথিদের খাবারের তালিকায় রাখা হয়েছিল এই দামি খাবারটি।

 

এই ক্যাভিয়ারের দাম শুরু হয় সাড়ে তিন হাজার টাকা থেকে। মাত্র ৫৬ গ্রাম ক্যাভিয়ারের দাম প্রায় ৬০ হাজার টাকার কাছাকাছি। সবচেয়ে বিখ্যাত ক্যাভিয়ার আসে ইরানের অ্যালবিনো স্টার্জন মাছ থেকে। তবে এটি শুধু স্ত্রী স্টার্জন মাছ থেকেই পাওয়া যায়। জেনে অবাক হবেন, আলমাস ক্যাভিয়ারের দাম লাখ টাকা, যার কারণে এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়।

 

জানেন কি, আজ ক্যাভিয়ার দিবস। তবে শুধু দামি খাবার বলেই যে শখে মানুষ এই খাবার চেখে দেখেন তা কিন্তু নয়। আলমাস ক্যাভিয়ারকে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে মিরাকেল বা অলৌকিক বলে মনে করা হয়। সে কারণেই এটি ধনী ব্যক্তিদের খাদ্যতালিকায় জায়গা নিতে পারে।

 

ক্যাভিয়ার স্বাস্থ্যের জন্যেও খুবই উপকারী। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের রিপোর্ট অনুসারে, সব ধরনের ক্যাভিয়ার ভিটামিন বি-১২ সমৃদ্ধ, যা মানুষের ক্লান্তি এবং দুর্বলতা দূর করতে পারে। ক্যাভিয়ারে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেয়।

 

এটি খেলে আপনার স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ হতে পারে। এতে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে পারে। ক্যাভিয়ারে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম। এটি হাড়ের জন্যেও ভলো।

 

ক্যাভিয়ারের প্রাচীনতম লিখিত বিবরণ পাওয়া যায় ১২৪০ সালে মঙ্গোল শাসক বাতু খানের কাছ থেকে। উত্তর আমেরিকা ক্যাভিয়ার জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ২০ শতকের দিকে। সেসময় আমেরিকা সবচেয়ে ক্যাভিয়ার উৎপাদনকারী হয়ে ওঠে।

 

গিনেস বুক অব রেকর্ডস অনুযায়ী, আলমাস বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবারের মর্যাদা পেয়েছে। ইরান থেকে আসা অ্যালবিনো স্টার্জন মাছের ডিম্বাশয় থেকে আলমাস ক্যাভিয়ার পাওয়া যায় এবং এর রং কালো। একে কালো সোনাও বলা হয়।

সাধারণত এক কেজি আলমাস ক্যাভিয়ারের দাম হয় ৩৪ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৪০ লাখ ৫২ হাজার টাকা ( ডলার ১১৭.৪৫)। এই ক্যাভিয়ারের এক চামচের দাম প্রায় এক লাখ টাকা। এখন প্রশ্ন হল এর দাম এত বেশি কেন?

প্রকৃতপক্ষে, আলমাস ক্যাভিয়ার একটি বিরল প্রজাতির মাছ, অ্যালবিনো স্টার্জন থেকে আহরণ করা হয়, যার বয়স ৬০ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে। এই মাছগুলি কাস্পিয়ান সাগরের দক্ষিণ অংশে পাওয়া যায়, যেখানে সবচেয়ে কম দূষণ রয়েছে। আলমাস ক্যাভিয়ার একটি বিরল খাদ্য। অ্যালবিনো স্টার্জন মাছ নিলামে কোটি টাকায় বিক্রি হতে পারে। এ কারণে এর দাম সবচেয়ে বেশি।  সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com