সরবরাহ বাড়ায় কিছুটা কমেছে মাছের দাম

ছবি সংগৃহীত

 

বাজারে আজ ইলিশের পাইকারি দাম ছিল আকাশছোঁয়া। ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের দাম ১০০০ টাকা। আর এক কেজি বা এরচেয়ে বেশি ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকায়। এছাড়া জাটকা ইলিশ বিক্রি হয় ৬০০ টাকায়।

এছাড়া ছোট কাছকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে, পুঁটি মাছ ৩৫০ টাকা, পাবদা মাছ ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।

 

সেলিম নামের একজন মাছ বিক্রেতা  জানান, ১০ থেকে ১২ কেজি ওজনের বড় কাতল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাবদা মাছ ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায়, নদীর চিংড়ি ১০০০ টাকা এবং বোয়াল মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সুন্দরবনের নদীর ছোট চিংড়ির কেজি ৭০০ টাকা।

 

ইটনা ও মিঠামইন এলাকা থেকে মাছ নিয়ে এসেছেন মোহাম্মদ ইউসুফ আলি। তিনি জানান, বাইন মাছ আকারভেদে ৪৫০, ৬০০ ও ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের আইড় মাছের দাম ৯০০ টাকা আর দুই কেজি ওজনের মাছ ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাঝারি সাইজের চিংড়ির দাম নেওয়া হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০০০ টাকা।

 

মাছ বিক্রেতা জোবায়ের জানান, তার দোকানে ইন্ডিয়ান কাছকি মাছ ১৭০ টাকা আর বরিশালের লইট্টা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। আরেক মাছ বিক্রেতা তারা মিয়ার দোকানে বাগেরহাটের রুই মাছ ২৩০-২৫০ টাকা কেজি আর সাতক্ষীরার গেরের বাগদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে।

 

বাজারে গ্লাসকাপ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, ছোট রুই ২২০ টাকা আর বড় রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। এছাড়া পাঙাসের কেজি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজিতে।

 

দুই কেজির বেশি ওজনের কাতল ৩৬০ টাকা কেজি, রুই মাছ ৩৭০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া শিং মাছ ৪০০ টাকা কেজি ও গুল্লা মাছ ৫৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কোরাল মাছ ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

 

ইলিশ মাছ বিক্রেতা মোহাম্মদ কামাল জানান, নোয়াখালী, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন এলাকার ইলিশ মাছ একসঙ্গে বিক্রি হচ্ছে। ইলিশের এখনো অনেক দাম। জাটকা ৫২০ টাকা কেজি, ৫০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ এক হাজার টাকা আর এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত।

মাছ বিক্রেতা আজগর আলী জানান, বাজারে মাছের সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে সামুদ্রিক মাছও আসছে।

খুচরা মাছ বিক্রেতা সাইফ আড়ত থেকে মাছ কিনে ভ্যানে উঠাচ্ছিলেন। তিনি জানান, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ মাছের দাম কিছুটা কম।  সূএ: জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» চোরাচালান প্রতিরোধে কোস্টগার্ডকে আন্তরিক হয়ে কাজের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

» সোনারগাঁয়ে হাসিনা-রেহানা-জয়ের নামে মামলা

» হিন্দু ভাইদের উসকানি দিচ্ছে আ’লীগের লোকজন: জামায়াত সেক্রেটারি

» বেঁধে দেওয়া দামে মিলছে না ডিম-ব্রয়লার মুরগি

» একটি মহল অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় রাখতে চায় : মির্জা ফখরুল

» ভারতে যাওয়ার সময় কুমিল্লায় আটক আ.লীগ নেতা

» ভারতের বিপক্ষে যেসব মাইলফলকের হাতছানি টাইগারদের

» ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে তারেক রহমানের বিবৃতি

» কেন কাজলকে সহ্য করতে পারতো না শাহরুখপুত্র আব্রাম?

» সাংহাইয়ে শক্তিশালী টাইফুন ‘বেবিনকা’র আঘাত

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সরবরাহ বাড়ায় কিছুটা কমেছে মাছের দাম

ছবি সংগৃহীত

 

বাজারে আজ ইলিশের পাইকারি দাম ছিল আকাশছোঁয়া। ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের দাম ১০০০ টাকা। আর এক কেজি বা এরচেয়ে বেশি ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকায়। এছাড়া জাটকা ইলিশ বিক্রি হয় ৬০০ টাকায়।

এছাড়া ছোট কাছকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে, পুঁটি মাছ ৩৫০ টাকা, পাবদা মাছ ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।

 

সেলিম নামের একজন মাছ বিক্রেতা  জানান, ১০ থেকে ১২ কেজি ওজনের বড় কাতল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাবদা মাছ ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায়, নদীর চিংড়ি ১০০০ টাকা এবং বোয়াল মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সুন্দরবনের নদীর ছোট চিংড়ির কেজি ৭০০ টাকা।

 

ইটনা ও মিঠামইন এলাকা থেকে মাছ নিয়ে এসেছেন মোহাম্মদ ইউসুফ আলি। তিনি জানান, বাইন মাছ আকারভেদে ৪৫০, ৬০০ ও ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের আইড় মাছের দাম ৯০০ টাকা আর দুই কেজি ওজনের মাছ ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাঝারি সাইজের চিংড়ির দাম নেওয়া হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০০০ টাকা।

 

মাছ বিক্রেতা জোবায়ের জানান, তার দোকানে ইন্ডিয়ান কাছকি মাছ ১৭০ টাকা আর বরিশালের লইট্টা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। আরেক মাছ বিক্রেতা তারা মিয়ার দোকানে বাগেরহাটের রুই মাছ ২৩০-২৫০ টাকা কেজি আর সাতক্ষীরার গেরের বাগদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে।

 

বাজারে গ্লাসকাপ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, ছোট রুই ২২০ টাকা আর বড় রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। এছাড়া পাঙাসের কেজি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজিতে।

 

দুই কেজির বেশি ওজনের কাতল ৩৬০ টাকা কেজি, রুই মাছ ৩৭০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া শিং মাছ ৪০০ টাকা কেজি ও গুল্লা মাছ ৫৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কোরাল মাছ ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

 

ইলিশ মাছ বিক্রেতা মোহাম্মদ কামাল জানান, নোয়াখালী, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন এলাকার ইলিশ মাছ একসঙ্গে বিক্রি হচ্ছে। ইলিশের এখনো অনেক দাম। জাটকা ৫২০ টাকা কেজি, ৫০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ এক হাজার টাকা আর এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত।

মাছ বিক্রেতা আজগর আলী জানান, বাজারে মাছের সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে সামুদ্রিক মাছও আসছে।

খুচরা মাছ বিক্রেতা সাইফ আড়ত থেকে মাছ কিনে ভ্যানে উঠাচ্ছিলেন। তিনি জানান, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ মাছের দাম কিছুটা কম।  সূএ: জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com