মেঘনার এক ইলিশ বিক্রি হলো ৫২০০ টাকায়

ছবি সংগৃহীত

 

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে জেলের জালে ২ কেজি ওজনের একটি ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। পরে মাছঘাটে আনলে সর্বোচ্চ দাম হাঁকিয়ে ইলিশটি ৫ হাজার ২০০ টাকায় কিনে নেন সৌরভ ব্যাপারী নামে এক ব্যবসায়ী। এসময় ইলিশটি দেখতে মাছঘাটে ভিড় জমান স্থানীয় ও দর্শনার্থীরা।

শনিবার  রাত ৮টার দিকে উপজেলার চর ইশ্বর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বাতান খাল বউ বাজার মাছঘাটে ইলিশটি নিলামে বিক্রি করা হয়।

 

জানা যায়, ভোলার দৌলত খাঁ এলাকার বিল্লাল মাঝি মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এই ইলিশটি পেয়েছেন। তারপর তিনি চর ইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদের মৎস্য আড়তে নিয়ে আসেন। আবদুল হালিম আজাদ নিলামের ডাক দিলে মাছটি ৫ হাজার ২০০ টাকায় কিনে নেন সৌরভ ব্যাপারী।

জেলে বিল্লাল মাঝি ঢাকা পোস্টকে বলেন, নদীতে ইলিশ কম পাওয়া যাচ্ছে। তবে অল্প হলেও এখন জেলেদের জালে বড় আকারের ইলিশ ধরা পড়ে। শুক্রবার রাতে আমি নদীতে জাল ফেলেছি। আজ শনিবার দুপুরে জাল উঠিয়েছি। এতে বড় ইলিশটি ধরা পড়ে। পরে বাতান খাল বউ বাজার মাছঘাটে নিয়ে আড়তে মাছটির ডাক উঠানো হয়। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো দাম পেয়েছি।

চর ইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত কয়েকদিন কেজি ওজনের ইলিশ বেশি আসছে। তবে বিল্লাল মাঝির জালে ধরা পড়া ২ কেজি ওজনের ইলিশ চমক ছিল। এত বড় ইলিশ সচরাচর পাওয়া যায় না। বড় ইলিশ হওয়ায় দাম বেশি হয়েছে। এমনিতে নদীতে ইলিশ কম পাওয়ায় দাম বেশি।

 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকার মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে ইলিশের প্রজনন মৌসুম নিরাপদ করেছে, পাশাপাশি মাছের জন্য অভয়াশ্রম তৈরি করা এবং সাগরে নির্দিষ্ট সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে এখন মাছ যেমন বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে, তেমনি মাছের বংশবৃদ্ধি এবং উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীতে মাছ কম পেলেও সামনে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে মাছ বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।  সূএ: ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বিএনপি নেতাদের সতর্ক থাকার আহ্বান রিজভীর

» বাংলাদেশ ভ্রমণে কানাডার সতর্কতা জারি

» জনগণের ৭০ ভাগ পিআরের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে: মতিউর রহমান আকন্দ

» বদরুদ্দীন উমর ছিলেন বহু রাজনীতিবীদের শিক্ষক: মির্জা ফখরুল

» বিএনপি সেই গণতন্ত্রের কথা বলে, যে গণতন্ত্রে মানুষ ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে  : ড. মঈন খান

» সুন্দরবনের উপকূলের বাগেরহাটে শাপলা বিক্রি করেই চলছে দিনমজুর হানিফের সংসার, সরকারী সহায়তা বঞ্চিত!

» লালমনিরহাটে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রস্তুত ৪ শত ৬৮ টি পূজা মন্ডব

» আগৈলঝাড়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয় মুখ ললিতা সরকার শিক্ষা ও নৃত্যকলায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত

» ঢাকা থেকে জামালপুরের আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

» গানের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল না করলে সরকারকে বাধ্য করার হুমকি ওলামা পরিষদের

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

মেঘনার এক ইলিশ বিক্রি হলো ৫২০০ টাকায়

ছবি সংগৃহীত

 

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে জেলের জালে ২ কেজি ওজনের একটি ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। পরে মাছঘাটে আনলে সর্বোচ্চ দাম হাঁকিয়ে ইলিশটি ৫ হাজার ২০০ টাকায় কিনে নেন সৌরভ ব্যাপারী নামে এক ব্যবসায়ী। এসময় ইলিশটি দেখতে মাছঘাটে ভিড় জমান স্থানীয় ও দর্শনার্থীরা।

শনিবার  রাত ৮টার দিকে উপজেলার চর ইশ্বর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বাতান খাল বউ বাজার মাছঘাটে ইলিশটি নিলামে বিক্রি করা হয়।

 

জানা যায়, ভোলার দৌলত খাঁ এলাকার বিল্লাল মাঝি মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এই ইলিশটি পেয়েছেন। তারপর তিনি চর ইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদের মৎস্য আড়তে নিয়ে আসেন। আবদুল হালিম আজাদ নিলামের ডাক দিলে মাছটি ৫ হাজার ২০০ টাকায় কিনে নেন সৌরভ ব্যাপারী।

জেলে বিল্লাল মাঝি ঢাকা পোস্টকে বলেন, নদীতে ইলিশ কম পাওয়া যাচ্ছে। তবে অল্প হলেও এখন জেলেদের জালে বড় আকারের ইলিশ ধরা পড়ে। শুক্রবার রাতে আমি নদীতে জাল ফেলেছি। আজ শনিবার দুপুরে জাল উঠিয়েছি। এতে বড় ইলিশটি ধরা পড়ে। পরে বাতান খাল বউ বাজার মাছঘাটে নিয়ে আড়তে মাছটির ডাক উঠানো হয়। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো দাম পেয়েছি।

চর ইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত কয়েকদিন কেজি ওজনের ইলিশ বেশি আসছে। তবে বিল্লাল মাঝির জালে ধরা পড়া ২ কেজি ওজনের ইলিশ চমক ছিল। এত বড় ইলিশ সচরাচর পাওয়া যায় না। বড় ইলিশ হওয়ায় দাম বেশি হয়েছে। এমনিতে নদীতে ইলিশ কম পাওয়ায় দাম বেশি।

 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকার মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে ইলিশের প্রজনন মৌসুম নিরাপদ করেছে, পাশাপাশি মাছের জন্য অভয়াশ্রম তৈরি করা এবং সাগরে নির্দিষ্ট সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে এখন মাছ যেমন বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে, তেমনি মাছের বংশবৃদ্ধি এবং উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীতে মাছ কম পেলেও সামনে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে মাছ বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।  সূএ: ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com