ফাইল ছবি
দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। আজ বেলা আড়াইটায় রাজধানীতে আনন্দ শোভাযাত্রার কর্মসূচির আয়োজন করেছে দলটি।
‘বর্ণাঢ্য র্যালি ও শোভাযাত্রা’ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, অ্যালিফ্যান্ট রোড এবং মিরপুর রোড হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত বাসভবন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণকে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
ঢাকার উত্তর প্রান্ত থেকে কর্মসূচিতে যোগদান করতে আসা নেতাকর্মীদের প্রবেশ করতে হবে হাতিরঝিল, মগবাজার ও মৎস্যভবন হয়ে। সড়কসমূহ এবং ঢাকার দক্ষিণ প্রান্ত থেকে আসা দলীয় নেতাকর্মীদের গুলিস্তান, হাইকোর্ট মাজার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সড়কসমূহ ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতিতে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২৩ জুন এদেশের প্রাচীন ও বৃহত্তম রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ উদযাপন করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। গত সাড়ে সাত দশক ধরে আওয়ামী লীগের পথচলা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। দীর্ঘ এই পথ চলায় সংগঠনটি বাঙালি জাতির অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে সফলতার মুকুটে সংযুক্ত করেছে একের পর এক পালক। পৃথিবীর খুব কম সংগঠন আছে যারা ক্ষমতাসীন হয়ে ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। একইসঙ্গে ক্ষমতাসীন থেকে আওয়ামী লীগ তার প্রতিষ্ঠার রজতজয়ন্তী ও সুবর্ণজয়ন্তী পালনের বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী। এদেশের মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবোধের বিকাশ এবং আত্মত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংকল্প সুদৃঢ় হয়েছে আওয়ামী লীগের হাত ধরে।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ এদেশের গণমানুষের সংগঠন। এতো দীর্ঘ পথচলার পরও আওয়ামী লীগ তার সাংগঠনিক শক্তিতে বলীয়ান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগ চির তারুণ্যদীপ্ত সংগঠন। নেতাকর্মীদের চরম ত্যাগ-তিতীক্ষা ও বিরামহীন লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে রাজনীতির ময়দানে আওয়ামী লীগ আজ ৭৫ বছরের এক মহীরুহ। আওয়ামী লীগ শুধু সামনের দিকে এগিয়ে চলতে জানে। পশ্চাৎমুখী বাংলাদেশের রূপ বদলে দিয়ে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ভবিষ্যৎমুখী দৃষ্টিভঙ্গি, যুগোপযোগী কর্মসূচি, স্বল্প-মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, বাস্তবায়নযোগ্য পদক্ষেপ এবং সময়োপযোগী রাজনৈতিক দর্শনকে ধারণ করে পথ চলে আসছে। এদেশের মানুষের ভালোবাসা ও আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আওয়ামী লীগ পথ চলেছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে। আওয়ামী লীগ সুনির্দিষ্ট নীতি ও আদর্শকে ধারণ করে জনকল্যাণের রাজনীতিতে আত্মনিবেদিত থেকেছে বলেই সংগঠনটি জনগণের প্রাণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গতিশীল নেতৃত্বে বিকশিত হয়েছে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ ধরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ এদেশের মানুষের যা কিছু মহৎ অর্জন তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরে তার মেয়ে শেখ হাসিনা গত ৪ দশকেরও বেশি সময় ধরে এ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এ দলের নেতাকর্মীদের প্রেরণার উৎস এবং তা সংগঠনকে করেছে সমৃদ্ধ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনার আপসহীন, সুদক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে স্বৈরতন্ত্রের চৌহদ্দি পেরিয়ে গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছিল বাংলার জনগণ। কালের বিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বাপ্নিক অভিযাত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ সাফল্য-সংগ্রামের পথ ধরে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে এবং তারই ধারাবাহিকতায় ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অভিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। ৭৫ বছরে দেশ আজ উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং সাফল্যের জয়গানে মুখরিত। অপ্রতিরোধ্য আওয়ামী লীগ কেবল অতীত বর্তমান নয়।