তৌহিদী জনতার ওপর সরকারের প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে : রুমিন ফারহানা

ফাইল ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : তৌহিদী জনতার ওপর সরকারের প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। তিনি বলেছেন, তৌহিদী জনতা একেক এলাকায় একেক গ্রুপ অব পিপল হতে পারে। তাদের প্রত্যেকের ওপর সরকারের একটা প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে। এখন পর্যন্ত যতগুলো মব সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে, সরকারের তরফ থেকে নিন্দা জানানো ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনে টক শোতে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে যখন একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। একটার পর একটা সম্প্রদায় হামলার শিকার হচ্ছে। কখনো বাউল সম্প্রদায়, কখনো আহমেদিয়া সম্প্রদায়, কখনো নারী ফুটবলারদের ওপর হামলা।

আবার কখনো নাটক বন্ধের চেষ্টা করছে। একটি ঘটনার পর আরেকটি ঘটনা যেন না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু সরকার কি কাজ করছে বুঝতে পারি না। রুমিন ফারহানা আরো বলেন, এসব কর্মকাণ্ডের প্রধান ভিকটিম হচ্ছেন নারীরা।

কোনো অভিনেত্রী শো রুম উদ্বোধনে যাবেন, সেখানে ঝামেলা করা হচ্ছে। কোনো অভিনেত্রী কিছু অর্গানাইজ করছেন, সেখানে গিয়ে বন্ধ করা হচ্ছে। কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে, সেখানে গিয়েও থামানো হচ্ছে। মেয়েরা ফুটবল খেলবে, সেখানে গিয়ে থামানো হচ্ছে। প্রথম টার্গেট হচ্ছেন নারীরা।

এরপর সমাজের সংখ্যালঘুরা থাকছে টার্গেটে। বিএনপির এই নেত্রী বলেন, পরিসংখ্যান বলছে— ৩৬৫ দিনে ৩৮০টির বেশি মাজারে হামলা হয়েছে। একটি ঘটনারও বিচার হয়নি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন, তারা হয়তো এখন বাড়িতে নেই। তাদের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতেও হামলা হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগেও সাবেক এক সংসদ সদস্যের ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে হামলা করা হয়েছে। ওই বাড়িতে কেবল নারীরাই ছিলেন। তারা বেরিয়ে এসে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। এই যে একটি ট্রেন্ড আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) চালু করলেন, এই ট্রেন্ডটা কি চাইলেন বন্ধ করতে পারবেন? পারবেন তো না। এখন যারা সুবিধাজনক অবস্থায় আছে, তারা যখন ভিন্ন দিকে যাবে কিছুটা অসুবিধাজনক অবস্থায় পড়বে, তখন যে তারা আক্রমণের শিকার হবেন না, এটা তো নিশ্চিতভাবে বলতে পারেন না।

মবের ঘটনায় সরকার সুবিধা নিচ্ছে মন্তব্য কনে তিনি বলেন, সরকারে তো রাজনৈতিক দল নেই। সরকার চায় একটি প্রেসার গ্রুপ তার পক্ষে থাকুক। সরকার যে কথাগুলো বলতে পারে না, যে কাজগুলো করতে চায়, তারা চায় প্রেসার গ্রুপ সেই আওয়াজটা তুলুক। সরকার খুব সহজে ওই কাজটা করে ফেলতে পারে। এই প্রেসার গ্রুপটাকে লালন-পালন করা, তাদের আইনি সাপোর্ট দেওয়া, তারা কোনো রকম বাড়াবাড়ি করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন তাদের বাধা না দেয়, সেটা নিশ্চিত করা— এই কাজগুলো সরকার করছে। সে কারণে এত বেশি মবের ঘটনা ঘটছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» মেসির আর্জেন্টিনা ক্যারিয়ারে ভূমিকা রাখা সেই কোচ আর নেই

» প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের মামলার রায় ১ ডিসেম্বর

» ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৫৯০মামলা

» প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ ২০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

» কারখানায় গুলি ও পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণ, আটক ৫

» দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

» অনির্বাচিত সরকারের বন্দর বা এলডিসি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই

» প্রথমবার বিএনপির সভায় বক্তব্য দিলেন জায়মা রহমান

» উপদেষ্টা পরিষদে গণভোট অধ্যাদেশ অনুমোদন

» আগামী দিনে রাষ্ট্রপতি হবেন খালেদা জিয়া, প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমান: বুলু

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

তৌহিদী জনতার ওপর সরকারের প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে : রুমিন ফারহানা

ফাইল ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : তৌহিদী জনতার ওপর সরকারের প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। তিনি বলেছেন, তৌহিদী জনতা একেক এলাকায় একেক গ্রুপ অব পিপল হতে পারে। তাদের প্রত্যেকের ওপর সরকারের একটা প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে। এখন পর্যন্ত যতগুলো মব সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে, সরকারের তরফ থেকে নিন্দা জানানো ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনে টক শোতে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে যখন একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। একটার পর একটা সম্প্রদায় হামলার শিকার হচ্ছে। কখনো বাউল সম্প্রদায়, কখনো আহমেদিয়া সম্প্রদায়, কখনো নারী ফুটবলারদের ওপর হামলা।

আবার কখনো নাটক বন্ধের চেষ্টা করছে। একটি ঘটনার পর আরেকটি ঘটনা যেন না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু সরকার কি কাজ করছে বুঝতে পারি না। রুমিন ফারহানা আরো বলেন, এসব কর্মকাণ্ডের প্রধান ভিকটিম হচ্ছেন নারীরা।

কোনো অভিনেত্রী শো রুম উদ্বোধনে যাবেন, সেখানে ঝামেলা করা হচ্ছে। কোনো অভিনেত্রী কিছু অর্গানাইজ করছেন, সেখানে গিয়ে বন্ধ করা হচ্ছে। কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে, সেখানে গিয়েও থামানো হচ্ছে। মেয়েরা ফুটবল খেলবে, সেখানে গিয়ে থামানো হচ্ছে। প্রথম টার্গেট হচ্ছেন নারীরা।

এরপর সমাজের সংখ্যালঘুরা থাকছে টার্গেটে। বিএনপির এই নেত্রী বলেন, পরিসংখ্যান বলছে— ৩৬৫ দিনে ৩৮০টির বেশি মাজারে হামলা হয়েছে। একটি ঘটনারও বিচার হয়নি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন, তারা হয়তো এখন বাড়িতে নেই। তাদের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতেও হামলা হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগেও সাবেক এক সংসদ সদস্যের ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে হামলা করা হয়েছে। ওই বাড়িতে কেবল নারীরাই ছিলেন। তারা বেরিয়ে এসে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। এই যে একটি ট্রেন্ড আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) চালু করলেন, এই ট্রেন্ডটা কি চাইলেন বন্ধ করতে পারবেন? পারবেন তো না। এখন যারা সুবিধাজনক অবস্থায় আছে, তারা যখন ভিন্ন দিকে যাবে কিছুটা অসুবিধাজনক অবস্থায় পড়বে, তখন যে তারা আক্রমণের শিকার হবেন না, এটা তো নিশ্চিতভাবে বলতে পারেন না।

মবের ঘটনায় সরকার সুবিধা নিচ্ছে মন্তব্য কনে তিনি বলেন, সরকারে তো রাজনৈতিক দল নেই। সরকার চায় একটি প্রেসার গ্রুপ তার পক্ষে থাকুক। সরকার যে কথাগুলো বলতে পারে না, যে কাজগুলো করতে চায়, তারা চায় প্রেসার গ্রুপ সেই আওয়াজটা তুলুক। সরকার খুব সহজে ওই কাজটা করে ফেলতে পারে। এই প্রেসার গ্রুপটাকে লালন-পালন করা, তাদের আইনি সাপোর্ট দেওয়া, তারা কোনো রকম বাড়াবাড়ি করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন তাদের বাধা না দেয়, সেটা নিশ্চিত করা— এই কাজগুলো সরকার করছে। সে কারণে এত বেশি মবের ঘটনা ঘটছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com