ঘুম হারাম করা চাঁদাবাজির ধুম

সংগৃহীত ছবি

 

মোস্তফা কামাল  :  ‘হুজুর, আমরা আপনার কাছে উপকার চাই না, শুধু মেহেরবানি করে আপনার শুয়োরের বাচ্চাদের সামলান’ উদ্ধৃতিটি ড. আকবর আলি খানের জনপ্রিয় ও আলোচিত ‘শুয়োরের বাচ্চাদের অর্থনীতি’ থেকে নেওয়া। সেখানে তিনি সাধারণ মানুষের হয়ে এ মিনতি করেছেন ক্ষমতার কাছে। আর ‘শুয়োরের বাচ্চা’ বলতে বুঝিয়েছিলেন ক্ষমতার বলয়ে বা প্রচ্ছন্নে থেকে মানুষের রক্ত চুষে খাওয়া হারামখোরদের। এদেরই একটা প্রজাতি চাঁদাবাজরা।

বাংলাদেশে চাঁদাবাজি নতুন নয়। তবে এবার চেহারা বদলেছে। এরা না শোনে ধর্মের কথা। না মানে নৈতিকতা।

কারো কাছ থেকে জোর করে টাকা নেওয়ার নামই চাঁদা। সেলামি, বখরা, গিফট, তোহফা, হাদিয়া, নজরানা, বখশিশ যে নামেই হোক তা ইসলামে হারাম। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন সুরা ও মহানবীর হাদিসে একে সরাসরি কবিরা গুনাহযোগ্য বলা হয়েছে। আর শাস্তি হিসেবে এসেছে ফাঁসি, এক দিকের হাত এবং অন্যদিকের পা কেটে ফেলা, অন্য এলাকার জেলে বন্দি রাখাসহ বিভিন্ন দণ্ডের কথা।

বাংলাদেশসহ দেশে দেশে প্রচলিত আইনেও রয়েছে চাঁদাবাজির নানা সাজার বিধান। কিন্তু বাস্তবতা বড়ই নিদারুণ। শহরের অভিজাত এলাকা থেকে বস্তি, গ্রামের হাট-বাজার থেকে মসজিদ-মক্তবও পড়ছে চাঁদাবাজিতে।
বিভক্ত এ দেশে বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও চাঁদাবাজির ভয়াবহতা নিয়ে দ্বিমত নেই কারো। ফুটপাত থেকে রাজপথ, ছোট বড় মাঝারি ব্যবসায়ী কারোই রেহাই নেই চাঁদাবাজদের হাত থেকে।

স্কুল, কলেজ, মাদরাসাও চাঁদাবাজির আওতামুক্ত নয়। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কম-বেশি কথা হলেও তা রুখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেই। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল একদিকে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী কথা বলে, অন্তরালে পৃষ্ঠপোষকতাও দেয়। বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক সমঝোতা কঠিন হলেও চাঁদাবাজিতে কেবল  সমঝোতা নয়, মিলমিশও হয়ে যাচ্ছে ম্যাজিকের মতো।
বিপ্লব বা অভ্যুত্থানের পর গত ১৫ মাসে গণমাধ্যমে খবর হিসেবে উঠে আসা দুই হাজার ৩২৫টি চাঁদাবাজির ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, এগুলোর সঙ্গে কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা ও কর্মীরা জড়িত। এর সুবাদে চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি ব্যবসায়ীসহ দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ব্যবসায়ীরা। গত দেড় বছরে এমনিতেই দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক, এর সঙ্গে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য ব্যবসা-বাণিজ্য জগেক স্তব্ধ করে দিয়েছে। এমনিতে ব্যবসায়ীরা বছরজুড়েই কোনো না কোনোভাবে চাঁদাবাজির শিকার। নির্বাচন ও রমজান সামনে রেখে আগাম টোকা পড়েছে সেখানে। অথচ চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একটা প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। সেই আশা কেবল ভঙ্গ নয়, গুড়ে বালিও পড়েছে।

এমনিতেই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে স্থিতিশীলতা না আসায় ব্যবসা-বাণিজ্যে বন্ধ্যত্ব ভর করেছে, তার ওপর পড়েছে চাঁদাবাজদের খড়গ। পণ্য পরিবহন থেকে শুরু করে খালাস পর্যন্ত চলমান ভয়াবহ চাঁদাবাজি। পণ্য ট্রাকে ওঠানো-নামানো সর্বত্রই চাঁদা দিতে হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গেও চাঁদাবাজদের বেশ খায়খাতির। এতে চাঁদাবাজির প্রলয় আরো বেগবান হচ্ছে। নির্মীয়মাণ ভবন বা প্লট মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় চাঁদাবাজদের একটি বড় ক্ষেত্র। টাকা দিতে অস্বীকার করলে নির্মাণকাজে বাধা দেওয়া হয়, শ্রমিকদের মারধর করা হয় এবং কখনো কখনো নির্মাণসামগ্রী লুটের নতুনত্ব তৈরি হয়েছে।

সরকারের দিক থেকে মাঝেমধ্যেই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার নির্দেশ আসছে। কিছু অ্যাকশনও দেখা যায়। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে পুলিশের জিরো টলারেন্স নীতির কথা প্রচারও হয়েছে। পুলিশের সব ইউনিটকে এসংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীরা মামলা করার সাহস না পেলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। চাঁদাবাজদের পৃষ্ঠপোষকদেরও আইনের আওতায় নেবে। পুলিশ নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে।

দিন কয়েকের মধ্যেই চোর-পুলিশ খেলায় তা হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। এর জেরে দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং জনজীবনে চরম অস্থিরতা ও ভীতি ভর করেছে। চাঁদাবাজরাও স্টাইল পাল্টে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। এ কাজের স্রোতে শামিল প্রশাসনের কোনো কোনো পর্যায়ও। এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী জনগণকে সেবা দেওয়ার নামে চাঁদাবাজিতে মেরুকরণ ঘটিয়েছেন। তাঁদের কাছে এটি চাঁদা নয়, কাজের বিনিময়ে উপহার।

আদালত, থানা, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, ভূমি অফিস, বিআরটিএ বা সড়ক পরিবহন, পাসপোর্ট সেবা, জন্ম নিবন্ধন সনদ, নাগরিক পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন সেবা খাতে যাওয়া ব্যক্তিরা এর নিত্য শিকার। চাঁদাবাজরা আগেও ছিল, এখনো আছে। নমুনা বলছে, সামনে আরো বীরত্বের সঙ্গে থাকবে। রাজনৈতিক পালাবদলে ক্ষমতাসীনদের পরিচয় পাল্টায়, কিন্তু শোষণের রং একই থাকে। ক্ষমতার সূত্র ধরে চাঁদাবাজরাও ঘুরেফিরে আসে। দু-চারটি ঘটনা যখন সংবাদমাধ্যমে, হাল-আমলের সামাজিক মাধ্যমের বদৌলতে জনসমক্ষে উঠে আসে, তখন সমাজে হা-হুতাশ দেখা যায়। একসময় বুলবুলিতে ধান খেয়ে ফেলায় বর্গিদের অত্যাচারের কথা ভেবে বাংলার কৃষককে ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতে হতো। এখন বর্গি না থাকলেও কৃষককে চাঁদা দিতে হয়। এর লাগাম টানা কি এতই কঠিন?

লেখক : সাংবাদিক-কলামিস্ট; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন

সূএ : বাংলাদেশ প্রতিদিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» মেসির আর্জেন্টিনা ক্যারিয়ারে ভূমিকা রাখা সেই কোচ আর নেই

» প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের মামলার রায় ১ ডিসেম্বর

» ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৫৯০মামলা

» প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ ২০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

» কারখানায় গুলি ও পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণ, আটক ৫

» দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

» অনির্বাচিত সরকারের বন্দর বা এলডিসি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই

» প্রথমবার বিএনপির সভায় বক্তব্য দিলেন জায়মা রহমান

» উপদেষ্টা পরিষদে গণভোট অধ্যাদেশ অনুমোদন

» আগামী দিনে রাষ্ট্রপতি হবেন খালেদা জিয়া, প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমান: বুলু

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ঘুম হারাম করা চাঁদাবাজির ধুম

সংগৃহীত ছবি

 

মোস্তফা কামাল  :  ‘হুজুর, আমরা আপনার কাছে উপকার চাই না, শুধু মেহেরবানি করে আপনার শুয়োরের বাচ্চাদের সামলান’ উদ্ধৃতিটি ড. আকবর আলি খানের জনপ্রিয় ও আলোচিত ‘শুয়োরের বাচ্চাদের অর্থনীতি’ থেকে নেওয়া। সেখানে তিনি সাধারণ মানুষের হয়ে এ মিনতি করেছেন ক্ষমতার কাছে। আর ‘শুয়োরের বাচ্চা’ বলতে বুঝিয়েছিলেন ক্ষমতার বলয়ে বা প্রচ্ছন্নে থেকে মানুষের রক্ত চুষে খাওয়া হারামখোরদের। এদেরই একটা প্রজাতি চাঁদাবাজরা।

বাংলাদেশে চাঁদাবাজি নতুন নয়। তবে এবার চেহারা বদলেছে। এরা না শোনে ধর্মের কথা। না মানে নৈতিকতা।

কারো কাছ থেকে জোর করে টাকা নেওয়ার নামই চাঁদা। সেলামি, বখরা, গিফট, তোহফা, হাদিয়া, নজরানা, বখশিশ যে নামেই হোক তা ইসলামে হারাম। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন সুরা ও মহানবীর হাদিসে একে সরাসরি কবিরা গুনাহযোগ্য বলা হয়েছে। আর শাস্তি হিসেবে এসেছে ফাঁসি, এক দিকের হাত এবং অন্যদিকের পা কেটে ফেলা, অন্য এলাকার জেলে বন্দি রাখাসহ বিভিন্ন দণ্ডের কথা।

বাংলাদেশসহ দেশে দেশে প্রচলিত আইনেও রয়েছে চাঁদাবাজির নানা সাজার বিধান। কিন্তু বাস্তবতা বড়ই নিদারুণ। শহরের অভিজাত এলাকা থেকে বস্তি, গ্রামের হাট-বাজার থেকে মসজিদ-মক্তবও পড়ছে চাঁদাবাজিতে।
বিভক্ত এ দেশে বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও চাঁদাবাজির ভয়াবহতা নিয়ে দ্বিমত নেই কারো। ফুটপাত থেকে রাজপথ, ছোট বড় মাঝারি ব্যবসায়ী কারোই রেহাই নেই চাঁদাবাজদের হাত থেকে।

স্কুল, কলেজ, মাদরাসাও চাঁদাবাজির আওতামুক্ত নয়। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কম-বেশি কথা হলেও তা রুখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেই। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল একদিকে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী কথা বলে, অন্তরালে পৃষ্ঠপোষকতাও দেয়। বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক সমঝোতা কঠিন হলেও চাঁদাবাজিতে কেবল  সমঝোতা নয়, মিলমিশও হয়ে যাচ্ছে ম্যাজিকের মতো।
বিপ্লব বা অভ্যুত্থানের পর গত ১৫ মাসে গণমাধ্যমে খবর হিসেবে উঠে আসা দুই হাজার ৩২৫টি চাঁদাবাজির ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, এগুলোর সঙ্গে কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা ও কর্মীরা জড়িত। এর সুবাদে চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি ব্যবসায়ীসহ দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ব্যবসায়ীরা। গত দেড় বছরে এমনিতেই দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক, এর সঙ্গে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য ব্যবসা-বাণিজ্য জগেক স্তব্ধ করে দিয়েছে। এমনিতে ব্যবসায়ীরা বছরজুড়েই কোনো না কোনোভাবে চাঁদাবাজির শিকার। নির্বাচন ও রমজান সামনে রেখে আগাম টোকা পড়েছে সেখানে। অথচ চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একটা প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। সেই আশা কেবল ভঙ্গ নয়, গুড়ে বালিও পড়েছে।

এমনিতেই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে স্থিতিশীলতা না আসায় ব্যবসা-বাণিজ্যে বন্ধ্যত্ব ভর করেছে, তার ওপর পড়েছে চাঁদাবাজদের খড়গ। পণ্য পরিবহন থেকে শুরু করে খালাস পর্যন্ত চলমান ভয়াবহ চাঁদাবাজি। পণ্য ট্রাকে ওঠানো-নামানো সর্বত্রই চাঁদা দিতে হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গেও চাঁদাবাজদের বেশ খায়খাতির। এতে চাঁদাবাজির প্রলয় আরো বেগবান হচ্ছে। নির্মীয়মাণ ভবন বা প্লট মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় চাঁদাবাজদের একটি বড় ক্ষেত্র। টাকা দিতে অস্বীকার করলে নির্মাণকাজে বাধা দেওয়া হয়, শ্রমিকদের মারধর করা হয় এবং কখনো কখনো নির্মাণসামগ্রী লুটের নতুনত্ব তৈরি হয়েছে।

সরকারের দিক থেকে মাঝেমধ্যেই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার নির্দেশ আসছে। কিছু অ্যাকশনও দেখা যায়। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে পুলিশের জিরো টলারেন্স নীতির কথা প্রচারও হয়েছে। পুলিশের সব ইউনিটকে এসংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীরা মামলা করার সাহস না পেলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। চাঁদাবাজদের পৃষ্ঠপোষকদেরও আইনের আওতায় নেবে। পুলিশ নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে।

দিন কয়েকের মধ্যেই চোর-পুলিশ খেলায় তা হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। এর জেরে দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং জনজীবনে চরম অস্থিরতা ও ভীতি ভর করেছে। চাঁদাবাজরাও স্টাইল পাল্টে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। এ কাজের স্রোতে শামিল প্রশাসনের কোনো কোনো পর্যায়ও। এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী জনগণকে সেবা দেওয়ার নামে চাঁদাবাজিতে মেরুকরণ ঘটিয়েছেন। তাঁদের কাছে এটি চাঁদা নয়, কাজের বিনিময়ে উপহার।

আদালত, থানা, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, ভূমি অফিস, বিআরটিএ বা সড়ক পরিবহন, পাসপোর্ট সেবা, জন্ম নিবন্ধন সনদ, নাগরিক পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন সেবা খাতে যাওয়া ব্যক্তিরা এর নিত্য শিকার। চাঁদাবাজরা আগেও ছিল, এখনো আছে। নমুনা বলছে, সামনে আরো বীরত্বের সঙ্গে থাকবে। রাজনৈতিক পালাবদলে ক্ষমতাসীনদের পরিচয় পাল্টায়, কিন্তু শোষণের রং একই থাকে। ক্ষমতার সূত্র ধরে চাঁদাবাজরাও ঘুরেফিরে আসে। দু-চারটি ঘটনা যখন সংবাদমাধ্যমে, হাল-আমলের সামাজিক মাধ্যমের বদৌলতে জনসমক্ষে উঠে আসে, তখন সমাজে হা-হুতাশ দেখা যায়। একসময় বুলবুলিতে ধান খেয়ে ফেলায় বর্গিদের অত্যাচারের কথা ভেবে বাংলার কৃষককে ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতে হতো। এখন বর্গি না থাকলেও কৃষককে চাঁদা দিতে হয়। এর লাগাম টানা কি এতই কঠিন?

লেখক : সাংবাদিক-কলামিস্ট; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন

সূএ : বাংলাদেশ প্রতিদিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com