বেড়েছে সবজির দাম, অজুহাত ঘূর্ণিঝড় রেমালের!

ফাইল ছবি

 

মাত্র কদিন হয়েছে দেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঝড়টির প্রভাবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে অনেক অঞ্চল। সেই সুযোগেই বাজারে দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের। হাত দেওয়া যাচ্ছে না সবজির বাজারেও। ক্রেতারা বলছেন— কোনো একটা অজুহাত পেলেই দাম বেড়ে যায় নিত্যপণ্যের, আর কমলে কমে খুবই সামান্য।

 

শুক্রবার (৩১ মে) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতারা জানান, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে সবজির দাম। মূলত ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় বাজারে কিছুটা সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে বেড়ে গেছে দাম।

বাজারের চিত্র অনুযায়ী, প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৮০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা ও কহি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ধুন্দল ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, লতি ৬০-৮০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও কাঁকরোল ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। প্রতি আঁটি লালশাক ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।

তবে বাজারগুলোতে দেখা গেছে, কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা; কোনো কোনো বাজারে অবশ্য এখনও ২০০ টাকা। এছাড়া পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা।

খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত। মূলত ভারত থেকে আমদানি শুরু হওয়ায় লোকসানের ভয়ে দাম কমিয়ে দিয়েছেন আড়তদাররা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, আমদানির ভয়ে দাম কমাচ্ছেন আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা, যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে খুচরা বাজারেও। আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম আরও কমে আসবে।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আড়তদার বলেন— ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে অনেক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক চাষির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বাজারে সরবরাহ কমেছে। এজন্য কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।  সূএ:ঢাকা মেইল  ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বিশেষ অভিযানে ১৪৭৮ জন গ্রেফতার

» মৌলিক সংস্কারে ঐকমত্য অনেক দূর: আখতার হোসেন

» একজন উপদেষ্টা স্বার্থসিদ্ধির জন্য মুরাদনগরে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন: ফখরুল

» মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি ‘বিএনপি কর্মী নয়’: রিজভী

» ইমাম ও খতিবদের বেতন ২০১৫ সালের পে স্কেল অনুযায়ী দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি

» সবার জন্য বাসযোগ্য ও বৈষম্যহীন পৃথিবী গড়তে চাই: প্রধান উপদেষ্টা

» বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে কানাডার হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

» গ্রীষ্মে খাবার সতেজ রাখার স্মার্ট উপায়

» আউটওয়ার্ড রেমিটেন্সের জন্য ভিসা ডিরেক্ট ফর অ্যাকাউন্ট চালু করতে ভিসার সঙ্গে ব্র্যাক ব্যাংকের চুক্তি

» বড়াইগ্রামে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এক বৃদ্ধ গ্রেফতার

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : dhakacrimenewsbd@gmail.com

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বেড়েছে সবজির দাম, অজুহাত ঘূর্ণিঝড় রেমালের!

ফাইল ছবি

 

মাত্র কদিন হয়েছে দেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঝড়টির প্রভাবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে অনেক অঞ্চল। সেই সুযোগেই বাজারে দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের। হাত দেওয়া যাচ্ছে না সবজির বাজারেও। ক্রেতারা বলছেন— কোনো একটা অজুহাত পেলেই দাম বেড়ে যায় নিত্যপণ্যের, আর কমলে কমে খুবই সামান্য।

 

শুক্রবার (৩১ মে) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতারা জানান, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে সবজির দাম। মূলত ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় বাজারে কিছুটা সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে বেড়ে গেছে দাম।

বাজারের চিত্র অনুযায়ী, প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৮০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা ও কহি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ধুন্দল ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, লতি ৬০-৮০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও কাঁকরোল ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। প্রতি আঁটি লালশাক ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।

তবে বাজারগুলোতে দেখা গেছে, কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা; কোনো কোনো বাজারে অবশ্য এখনও ২০০ টাকা। এছাড়া পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা।

খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত। মূলত ভারত থেকে আমদানি শুরু হওয়ায় লোকসানের ভয়ে দাম কমিয়ে দিয়েছেন আড়তদাররা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, আমদানির ভয়ে দাম কমাচ্ছেন আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা, যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে খুচরা বাজারেও। আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম আরও কমে আসবে।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আড়তদার বলেন— ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে অনেক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক চাষির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বাজারে সরবরাহ কমেছে। এজন্য কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।  সূএ:ঢাকা মেইল  ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : dhakacrimenewsbd@gmail.com

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com