ডাইনোসরের দেহের ভাইরাস এখনো মানবদেহে

জুরাসিক যুগে পৃথিবীতে দাপিয়ে বেড়াত ডাইনোসরের দল। সে আজ থেকে ২০ কোটি বছর আগের কথা। মানুষের উতপত্তির বহুকাল আগেই সেই ডাইনোসরের বিলুপ্তি হয়েছে পৃথিবী থেকে। কিন্তু সেই ডাইনোসরের দেহে থাকা ভাইরাস এখনো বেচে আছে মানবদেহে। এমনই তথ্য সামনে এসেছে গবেষণায়।

 

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক চাঞ্চল্যকর এই দাবি করেছেন। তার দাবি অনুযায়ী, ডাইনোসরের সঙ্গে মানুষের একটা যোগসূত্র রয়েছে। ডাইনোসরের দেহ থেকে একটি ভাইরাস কোটি কোটি বছর আগেই মানুষের দেহে প্রবেশ করেছিল। আর সেই ভাইরাস এখনো মানবদেহে রয়ে গিয়েছে।

as

অধ্যাপকের দাবি, ওই ভাইরাসের নাম ম্যাভেরিক ভাইরাস (Maverick)। আসলে এই ভাইরাসের বয়স ডাইনোসরের সমসাময়িক। অর্থাৎ এটি কোটি কোটি বছরের পুরোনো ভাইরাস।

 

অধ্যাপক এরিসের গবেষণা অনুযায়ী, প্রাচীন এই ভাইরাস মানুষের শরীরের জিনে লুকিয়ে এখনো মানবদেহে রয়ে গিয়েছে। ভাইরাস মানবশরীরে প্রবেশ করেছে জীবাশ্ম বা ফসিলের মাধ্যমে।

 

মূল বিষয়টি হচ্ছে কোনো জীবাশ্মের মধ্যে ছিল এই ভাইরাস। সেই জীবাশ্মের সংস্পর্শে আসার ফলে মানুষের দেহে প্রবেশ করেছে ভাইরাসটি। বিজ্ঞানীরা একটি জীবাশ্ম পেয়েছিলেন, যার মধ্যে এই ম্যাভেরিক ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। আবার মানব দেহের জিনের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হলে তাতেও এই প্রাচীন ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মেলে।

cvdv

এই সংক্রান্ত নিজেদের গবেষণাপত্রে অধ্যাপক এরিস ও তার সঙ্গী জোস গ্যাব্রিয়েল, নিনো ব্যারেট লিখেছেন, ম্যাভেরিক ভাইরাস প্রায় ২০কোটি বছরেরও বেশি পুরোনো। শুধু তা-ই নয়, এটি মানুষের শরীরেও বর্তমান। যা সত্যিই চাঞ্চল্যকর। ওই গবেষণাপত্রে আরও দাবি করা হয়েছে, মানুষের দেহের জিনে পাওয়া সবচেয়ে পুরোনো ভাইরাস এটিই।

 

তবে মানুষের উপর এই ভাইরাসের প্রভাব কি আদৌ কোনো প্রভাব রয়েছে? এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন অনেকেই।গত দুই বছর ধরে পুরো পৃথিবীই করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছে। অল্প সময়েই এই ভাইরাসের জেরে উত্তাল হয়েছে গোটা বিশ্ব। যদিও তা ধীরে ধীরে রোধ করা হচ্ছে। তৈরি হয়েছে ভ্যাক্সিনও।

wsc

এদিকে মানবদেহে অতিপ্রাচীন ম্যাভেরিক ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মেলায় চিন্তায় বিশেষজ্ঞ মহল। তবে জানা যাচ্ছে যে, বছরের পর বছর ধরে ম্যাভেরিক ভাইরাস মানবদেহে উপস্থিত থাকার ফলে তা ভালো ভাবে দেহের সঙ্গে মিলেমিশে গিয়েছে। আর তাই এর কোনো প্রভাব এখনো পর্যন্ত নজরে আসেনি।

 

এই ভাইরাস আধুনিক ভাইরাস থেকে অনেকটাই আলাদা। এরা রেট্রোভাইরাসের মতো মানুষকে সংক্রমিত করে না। মানুষের জিনোমে লুকিয়ে থাকে।  সূত্র: নিউজ বাজ/ অরচিড

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» এনসিপির সঙ্গে ৩ স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশের দূতাবাস প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

» ডিসেম্বরের মধ্যে যারা নির্বাচন চাচ্ছেন, তারা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করছেন: নাসীরুদ্দীন

» শিবিরের ওপর হামলার নিন্দা ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান রাফির

» যারা চোরা পথ দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়, তারা নির্বাচন চায় না: ড. মঈন খান

» ‘বিএনপি বা অন্য দলের সঙ্গে এনসিপির আসন সমঝোতার দাবি ভিত্তিহীন’

» জুলাইয়ে লড়েছি বুলেটের বিরুদ্ধে, এবার লড়বো ব্যালটের বিপ্লবের জন্য: ড. মাসুদ

» জামায়াতকে নয়, ইসলামকে ক্ষমতায় আনতে চাই : ডা. শফিকুর রহমান

» এনএসসির ক্ষমতাবলে বিসিবির পরিচালক হয়েছেন বুলবুল: যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা

» প্রবাসীদের টাকায় তাদের জন্য দেশে হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে: আসিফ নজরুল

» শিক্ষার্থীরা যে মার্ক অর্জন করেছে তাই পাবে, কোন খয়রাতি মার্ক দেবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ডাইনোসরের দেহের ভাইরাস এখনো মানবদেহে

জুরাসিক যুগে পৃথিবীতে দাপিয়ে বেড়াত ডাইনোসরের দল। সে আজ থেকে ২০ কোটি বছর আগের কথা। মানুষের উতপত্তির বহুকাল আগেই সেই ডাইনোসরের বিলুপ্তি হয়েছে পৃথিবী থেকে। কিন্তু সেই ডাইনোসরের দেহে থাকা ভাইরাস এখনো বেচে আছে মানবদেহে। এমনই তথ্য সামনে এসেছে গবেষণায়।

 

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক চাঞ্চল্যকর এই দাবি করেছেন। তার দাবি অনুযায়ী, ডাইনোসরের সঙ্গে মানুষের একটা যোগসূত্র রয়েছে। ডাইনোসরের দেহ থেকে একটি ভাইরাস কোটি কোটি বছর আগেই মানুষের দেহে প্রবেশ করেছিল। আর সেই ভাইরাস এখনো মানবদেহে রয়ে গিয়েছে।

as

অধ্যাপকের দাবি, ওই ভাইরাসের নাম ম্যাভেরিক ভাইরাস (Maverick)। আসলে এই ভাইরাসের বয়স ডাইনোসরের সমসাময়িক। অর্থাৎ এটি কোটি কোটি বছরের পুরোনো ভাইরাস।

 

অধ্যাপক এরিসের গবেষণা অনুযায়ী, প্রাচীন এই ভাইরাস মানুষের শরীরের জিনে লুকিয়ে এখনো মানবদেহে রয়ে গিয়েছে। ভাইরাস মানবশরীরে প্রবেশ করেছে জীবাশ্ম বা ফসিলের মাধ্যমে।

 

মূল বিষয়টি হচ্ছে কোনো জীবাশ্মের মধ্যে ছিল এই ভাইরাস। সেই জীবাশ্মের সংস্পর্শে আসার ফলে মানুষের দেহে প্রবেশ করেছে ভাইরাসটি। বিজ্ঞানীরা একটি জীবাশ্ম পেয়েছিলেন, যার মধ্যে এই ম্যাভেরিক ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। আবার মানব দেহের জিনের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হলে তাতেও এই প্রাচীন ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মেলে।

cvdv

এই সংক্রান্ত নিজেদের গবেষণাপত্রে অধ্যাপক এরিস ও তার সঙ্গী জোস গ্যাব্রিয়েল, নিনো ব্যারেট লিখেছেন, ম্যাভেরিক ভাইরাস প্রায় ২০কোটি বছরেরও বেশি পুরোনো। শুধু তা-ই নয়, এটি মানুষের শরীরেও বর্তমান। যা সত্যিই চাঞ্চল্যকর। ওই গবেষণাপত্রে আরও দাবি করা হয়েছে, মানুষের দেহের জিনে পাওয়া সবচেয়ে পুরোনো ভাইরাস এটিই।

 

তবে মানুষের উপর এই ভাইরাসের প্রভাব কি আদৌ কোনো প্রভাব রয়েছে? এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন অনেকেই।গত দুই বছর ধরে পুরো পৃথিবীই করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছে। অল্প সময়েই এই ভাইরাসের জেরে উত্তাল হয়েছে গোটা বিশ্ব। যদিও তা ধীরে ধীরে রোধ করা হচ্ছে। তৈরি হয়েছে ভ্যাক্সিনও।

wsc

এদিকে মানবদেহে অতিপ্রাচীন ম্যাভেরিক ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মেলায় চিন্তায় বিশেষজ্ঞ মহল। তবে জানা যাচ্ছে যে, বছরের পর বছর ধরে ম্যাভেরিক ভাইরাস মানবদেহে উপস্থিত থাকার ফলে তা ভালো ভাবে দেহের সঙ্গে মিলেমিশে গিয়েছে। আর তাই এর কোনো প্রভাব এখনো পর্যন্ত নজরে আসেনি।

 

এই ভাইরাস আধুনিক ভাইরাস থেকে অনেকটাই আলাদা। এরা রেট্রোভাইরাসের মতো মানুষকে সংক্রমিত করে না। মানুষের জিনোমে লুকিয়ে থাকে।  সূত্র: নিউজ বাজ/ অরচিড

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com