ফাইল ছবি
অনলাইন ডেস্ক : দেশের সব জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে আগামী ৩০ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
গতকাল এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ একটি স্মারক প্রকাশ করেছে।
ওই স্মারকে বলা হয়েছে, ‘সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ৩০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ প্রদান অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সব জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মনোনয়ন প্রদান করা হলো।’
গতকাল রবিবার বাংলাদেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী। বঙ্গভবনে তাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ সময় অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী, বিচারপতিরা, তিন বাহিনীর প্রধানরা, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দসহ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ এই শপথ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন।’
এ নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ হতে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
এদিকে, বিদায়ী প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত শনিবার অবসরে গেছেন। ওইদিন তার চাকরির মেয়াদ ৬৭ বছর পূর্ণ হয়।
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ১৯৮৫ সালে জেলা জজ আদালতে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হন এবং দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তাঁকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
শিক্ষাজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ১৯৬১ সালের ১৮ মে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা প্রয়াত এএফএম আবদুর রহমান চৌধুরীও সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ছিলেন।








