সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : ভবিষ্যৎ আকাশযুদ্ধের সক্ষমতা অর্জনে চীন বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশটির ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান হিসেবে জে-৩৬ এবং জে-৫০ এখন বিশ্ব সমরবিদদের আলোচনার কেন্দ্রে।
আধুনিক যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি বদলে দিতে চীন কেবল বিচ্ছিন্ন কোনো যুদ্ধবিমান নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ সমন্বিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। বিশেষ করে ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার পরিচালনা এবং দূরপাল্লার নিখুঁত হামলা চালানোর সক্ষমতা সম্পন্ন এই জে-৩৬ যুদ্ধবিমানটি একক প্ল্যাটফর্মের পরিবর্তে অন্যান্য ড্রোন ও নজরদারি ব্যবস্থার সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত থেকে কাজ করবে।
এদিকে স্থলভাগের পাশাপাশি সমুদ্রসীমায় নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে বেইজিং জে-৫০ নামক আরেকটি বিশেষায়িত বিমান তৈরি করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই বিমানটিকে মূলত বিমানবাহী রণতরী বা এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার থেকে পরিচালনার উপযোগী করে নকশা করা হয়েছে। এটি চীনের ক্রমবর্ধমান নৌ-শক্তির উচ্চাকাঙ্ক্ষাকেই প্রতিফলিত করে।
একটি ক্যারিয়ার থেকে উড্ডয়ন ও অবতরণের ক্ষেত্রে যে ধরণের কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকূলতা থাকে, তা কাটিয়ে উঠতে জে-৫০ বিমানে শক্তিশালী ল্যান্ডিং গিয়ার এবং ভাঁজযোগ্য ডানার মতো বিশেষ বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হতে পারে।
এছাড়া সমুদ্রে উড্ডয়নকালীন বাড়তি নিরাপত্তা ও শক্তির জন্য এতে টুইন-ইঞ্জিন কনফিগারেশন ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এটি টাইপ-০০৩ ফুজিয়ানের মতো উন্নত রণতরীগুলোর প্রধান শক্তিতে পরিণত করবে।
মজার ব্যাপার হলো, জে-৩৬ এবং জে-৫০ উভয় প্রকল্পেই চালকবিহীন ড্রোনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করার প্রযুক্তি বা ‘ম্যানড-আনম্যানড টিমিং’ ব্যবস্থার ওপর ব্যাপক জোর দেওয়া হয়েছে। চীনের এই দ্রুতগতির প্রোটোটাইপ উন্নয়নের কৌশল যুক্তরাষ্ট্রের ‘নেক্সট জেনারেশন এয়ার ডমিন্যান্স’ বা এনজিএডি প্রোগ্রামের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন।
যুক্তরাষ্ট্র যেখানে একটি বিশাল ‘ফ্যামিলি অফ সিস্টেম’ তৈরির ধীরস্থির প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী, চীন সেখানে দ্রুত দৃশ্যমান সক্ষমতা অর্জনের পথ বেছে নিয়েছে। সব মিলিয়ে এই ষষ্ঠ প্রজন্মের লড়াই বিশ্ব রাজনীতির মেরুকরণে এক নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে।
সূত্র: ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং








