পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ১১ কোটি ৯১ লাখ টাকা

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স ও অনলাইনে জমা হওয়া টাকা গণনা করে এবার পাওয়া গেছে ১১ কোটি ৯১ লাখ ২৮ হাজার ৪৮১ টাকা। এর মধ্যে দানবাক্সের টাকা ১১ কোটি ৭৮ লাখ ৪৮ হাজার ৫৩৮ টাকা এবং অনলাইনে দানের টাকা ১২ লাখ ৭৯ হাজার ৯৪৩ টাকা।

শনিবার দিনভর গুণে পাওয়া গেছে এ পরিমাণ টাকা। এ ছাড়াও পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণ ও রুপার অলংকার। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল আহমেদ সন্ধ্যার পর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার সকাল ৭টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল আহমেদের তত্ত্বাবধানে মসজিদের ১৩টি দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় ৩৫ বস্তা টাকা। এ সময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা, পুলিশ সুপার (এসপি) ড. এস এম ফরহাদ হোসেনসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, চলতি বছরের ৩০ আগস্ট মসজিদের ১৩টি দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় ৩২ বস্তা টাকা। তখন ৪ মাস ১৮ দিনে এই পরিমাণ টাকা জমা পড়েছিল দানবাক্সগুলোতে।

সকাল ৯টায় শুরু হয় গণনা। টাকা গণনায় অংশ নেন পাগলা মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসার ১১০ জন ও আল-জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার ২৫০ জন ছাত্র, পাগলা মসজিদের ৩৩ জন স্টাফ, রূপালী ব্যাংকের ১০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় অর্ধশতাধিক সদস্য।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা জানান, পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার ৩৫ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।

তিনি আরও জানান, পাগলা মসজিদকেন্দ্রীক একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। ভবনটি হবে ১০ তলাবিশিষ্ট এবং এখানে বহুমুখী কাজ করা হবে। এখানে অনাথ ও এতিমদের জন্য পড়ালেখার ব্যবস্থা, ধর্মীয় শিক্ষা, একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার, ক্যাফেটেরিয়া ও আইটি সেকশনও থাকবে।

এই মসজিদের বর্তমান আয়তন ৫ দশমিক ৫ একর। ১০ তলাবিশিষ্ট আধুনিক ভবনের জন্য আরও কিছু জায়গা কেনা হবে। এই মুহূর্তে পাগলা মসজিদের অ্যাকাউন্টে মানুষের দানের ১০৪ কোটি টাকা জমা আছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে মসজিদ কমপ্লেক্সের জন্য নকশা জমা দিয়েছে ১২টি প্রতিষ্ঠান। রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল পরীক্ষা করে একটি প্রতিষ্ঠানকে মনোনয়ন দিয়েছে। জেলা প্রশাসন ও মসজিদ কমিটি দ্রুত কার্যাদেশ দেবে এবং কাজ শুরু হয়ে যাবে।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন বলেন, দানবাক্স খোলা থেকে শুরু করে বস্তায় ভরা এবং গণনা শেষে ব্যাংক পর্যন্ত সব টাকা নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তার কাজে তিনিসহ পুলিশ সদস্যরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করেন।

মসজিদটিতে নিয়মিত হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগলের পাশাপাশি নানা ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মানুষ।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» কুমিল্লার মনোনয়ন ফরম আমি নিইনি, ঢাকা-১০ এ প্রার্থী হচ্ছি: আসিফ

» পিলখানা ট্র্যাজেডিতে শহীদ ৫৭ কর্মকর্তার কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান

» প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা বাকস্বাধীনতার ওপর আঘাত

» ৩ জানুয়ারি ঢাকায় জামায়াতের মহাসমাবেশ, চলছে জোর প্রস্তুতি

» এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন তাসনিম জারা

» হাদি হত্যার বিচারের দাবীতে শাহবাগ থেকে যমুনা ও সংসদ ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিলো ইনকিলাব মঞ্চ

» বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক এটা ভারত চায় না : মাহমুদুর রহমান

» সংবর্ধনাস্থলে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিএনপির বৃক্ষরোপণ

» ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার

» তিন দিনে রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ৩১৪৬ মামলা

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ১১ কোটি ৯১ লাখ টাকা

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স ও অনলাইনে জমা হওয়া টাকা গণনা করে এবার পাওয়া গেছে ১১ কোটি ৯১ লাখ ২৮ হাজার ৪৮১ টাকা। এর মধ্যে দানবাক্সের টাকা ১১ কোটি ৭৮ লাখ ৪৮ হাজার ৫৩৮ টাকা এবং অনলাইনে দানের টাকা ১২ লাখ ৭৯ হাজার ৯৪৩ টাকা।

শনিবার দিনভর গুণে পাওয়া গেছে এ পরিমাণ টাকা। এ ছাড়াও পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণ ও রুপার অলংকার। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল আহমেদ সন্ধ্যার পর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার সকাল ৭টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল আহমেদের তত্ত্বাবধানে মসজিদের ১৩টি দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় ৩৫ বস্তা টাকা। এ সময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা, পুলিশ সুপার (এসপি) ড. এস এম ফরহাদ হোসেনসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, চলতি বছরের ৩০ আগস্ট মসজিদের ১৩টি দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় ৩২ বস্তা টাকা। তখন ৪ মাস ১৮ দিনে এই পরিমাণ টাকা জমা পড়েছিল দানবাক্সগুলোতে।

সকাল ৯টায় শুরু হয় গণনা। টাকা গণনায় অংশ নেন পাগলা মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসার ১১০ জন ও আল-জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার ২৫০ জন ছাত্র, পাগলা মসজিদের ৩৩ জন স্টাফ, রূপালী ব্যাংকের ১০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় অর্ধশতাধিক সদস্য।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা জানান, পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার ৩৫ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।

তিনি আরও জানান, পাগলা মসজিদকেন্দ্রীক একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। ভবনটি হবে ১০ তলাবিশিষ্ট এবং এখানে বহুমুখী কাজ করা হবে। এখানে অনাথ ও এতিমদের জন্য পড়ালেখার ব্যবস্থা, ধর্মীয় শিক্ষা, একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার, ক্যাফেটেরিয়া ও আইটি সেকশনও থাকবে।

এই মসজিদের বর্তমান আয়তন ৫ দশমিক ৫ একর। ১০ তলাবিশিষ্ট আধুনিক ভবনের জন্য আরও কিছু জায়গা কেনা হবে। এই মুহূর্তে পাগলা মসজিদের অ্যাকাউন্টে মানুষের দানের ১০৪ কোটি টাকা জমা আছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে মসজিদ কমপ্লেক্সের জন্য নকশা জমা দিয়েছে ১২টি প্রতিষ্ঠান। রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল পরীক্ষা করে একটি প্রতিষ্ঠানকে মনোনয়ন দিয়েছে। জেলা প্রশাসন ও মসজিদ কমিটি দ্রুত কার্যাদেশ দেবে এবং কাজ শুরু হয়ে যাবে।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন বলেন, দানবাক্স খোলা থেকে শুরু করে বস্তায় ভরা এবং গণনা শেষে ব্যাংক পর্যন্ত সব টাকা নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তার কাজে তিনিসহ পুলিশ সদস্যরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করেন।

মসজিদটিতে নিয়মিত হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগলের পাশাপাশি নানা ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মানুষ।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com