সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : শীত বাড়লে অনেকেরই বাতের ব্যথা বা জয়েন্টে ব্যথা বেড়ে যায়। বিশেষত বয়স্ক ব্যক্তি, আর্থ্রাইটিস-এ আক্রান্ত মানুষ ও যাদের হাড়ের সমস্যা রয়েছে, তারা শীতে বেশি ভুগে থাকেন। তবে কয়েকটি নিয়ম মানলে এই অস্বস্তিকর ব্যথা অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব। ঘরে বসেই সহজ কিছু উপায় মেনে চললে এই ব্যথা অনেকটাই কমানো যায়। শীতে বাতের ব্যথা কমানোর কার্যকর কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে নিন-
গরম সেঁক
শীতে জয়েন্টে ঠান্ডা জমে ব্যথা বাড়ে। একটি তোয়ালে হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে চিপে আক্রান্ত স্থানে ১০-১৫ মিনিট সেঁক দিন। দিনে ২-৩ বার করলে আরাম পাবেন।
আদা-হলুদের চা
আদা ও হলুদ দুটোতেই রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহনাশক উপাদান। গরম পানিতে আদা ও এক টুকরো হলুদ ফুটিয়ে চা বানিয়ে প্রতিদিন ১-২ কাপ পান করলে জয়েন্টের ব্যথা কমে।
তিল বা সরিষার তেলের ব্যবহার
হালকা গরম সরিষার তেলে রসুন ভেজে সেই তেল দিয়ে ব্যথার জায়গায় মালিশ করলে রক্তসঞ্চালন বাড়ে এবং ব্যথা অনেকটাই কমে।
মেথি বীজ
রাতে এক চামচ মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি পান করলে বা মেথি গুঁড়া গরম দুধে মিশিয়ে খেলে জয়েন্টের প্রদাহ কমে।
শরীর গরম রাখুন
ঠান্ডা বাড়লে জয়েন্ট শক্ত হয়ে ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। তাই বাইরে বের হলে জ্যাকেট, মোজা, ক্যাপ ও গ্লাভস ব্যবহার করুন। ঘরে থাকলেও প্রয়োজনমতো শীতবস্ত্র পরা জরুরি।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
হালকা হাঁটা, যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচিং করলে রক্তসঞ্চালন বাড়ে ও জয়েন্ট নমনীয় থাকে। শীতে অলসতা এড়িয়ে প্রতিদিন অন্তত ২০-৩০ মিনিট ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
শীতে তৃষ্ণা কম থাকলেও শরীর যেন পানিশূন্য না হয়, সে জন্য নিয়মিত পানি পান করতে হবে। ডিহাইড্রেশন জয়েন্টের ব্যথা আরও বাড়াতে পারে।
ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার
হাড়ের শক্তি বজায় রাখতে দুধ, দই, পালং শাক, ডিম ও সামুদ্রিক মাছ খাদ্যতালিকায় রাখুন। প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শে সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
ওজন বাড়লে হাঁটু ও কোমরের ওপর চাপ বাড়ে, ফলে ব্যথা আরও তীব্র হয়। তাই সুস্থ খাবার ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
তবে ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী বা অসহনীয় হলে নিজে নিজে ওষুধ না খেয়ে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূএ : বাংলাদেশ প্রতিদিন







