ফাইল ছবি
অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশে নির্বাচনে এক ধরনের প্রস্তুতি আমরা খেয়াল করেছি। এই নির্বাচন ক্ষমতার পরিবর্তনে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল না। আমরা যারা ফ্যাসিবাদী আমলে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম, সে সময় থেকে চেয়েছিলাম বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী কাঠামো ভেঙ্গে নতুন কাঠামোর রাজনীতি চালু হোক। কিন্তু নানান ভাবে সংস্কার বাদ দিয়ে ২৬ সালের নির্বাচনকে শোডাউনের নির্বাচনে পরিণত করা হয়েছে।
আজ রাজধানীর পরীবাগে অবস্থিত শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুব উইং জাতীয় যুবশক্তির জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
এসময় তিনি বলেন,‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একদল বলছে আমাদের দেশ পরিচালনা করার ক্ষমতা রয়েছে, আরেকদল বলছে আমরা কখনোই ক্ষমতায় আসি নাই। যদিও তারা মন্ত্রিত্ব শেয়ার করেছিল। আমরা বলতে চাই, এদেশের মানুষ আপনাদের শাসন ব্যবস্থা ভুলে যায়নি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম দেশে পলিসি রাজনীতি তৈরি হোক। যেখানেই দেশের সকল স্তরের মানুষের কন্ট্রিবিউশন থাকবে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি যে, রাজনৈতিক দলগুলো বাংলাদেশের মানুষকে সামনের নির্বাচনে ভুলভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। নির্বাচন শুধুমাত্র ক্ষমতা পরিবর্তনের বিষয় নয়। এই নির্বাচনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্ট হচ্ছে গণভোট। এই গণভোটের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার বাস্তবায়ন হবে।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা খেয়াল করে দেখছি দেশের মানুষ রাষ্ট্রকে যেভাবে সংস্কার করার জন্য ২৪ এর অভ্যুত্থানের জীবন দিয়েছিলেন, সেই সংষ্কারের কথা বিএনপি-জামায়াত তাদের আলোচনায় রাখছে না। তারা কিভাবে ক্ষমতা দখল করবেন, সেই আয়োজনে তারা নিজেদের ব্যস্ত রাখছেন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যুব সমাজ যখন জাগে তখন ইতিহাস কথা বলে। সংগ্রাম ও সাহস তরুণদের রক্ত দিয়ে লেখা হয়। ইতিহাস বদলাতে যুবশক্তি বাংলাদেশের রাজপথে স্বোচ্ছার ভূমিকা পালন করবে।







