ঢাকা, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫: টেকসই সবুজ যাতায়াত এবং গ্রামীণ এলাকায় ডিজিটাল সেবার সম্প্রসারণে একব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে রবি আজিয়াটা পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটি মাঠপর্যায়ে ব্যবহারের জন্য পরিবেশ- বান্ধব ‘রবি সুপার বাইক’ চালু করেছে।
সারাদেশের থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে রবির ফিল্ড অফিসাররা এই ই-বাইক ব্যবহার করে আরও দ্রুত,পরিবেশবান্ধব ও কার্যকরভাবে গ্রাহকদের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে পারবেন।
পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের (এসডিজি) অর্জনের অংশ হিসেবেমাঠপর্যায়ে এই উদ্যোগটি নিয়েছে রবি। জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত মোটরসাইকেলে কার্বন নিঃসরণ হয়ে থাকে।
অন্যদিকে বৈদ্যুতিক এই ই-বাইকে কার্বন নিঃসরণের কোনো ঝুঁকি নেই। ফলে এটি পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি এই উদ্যোগ মাঠপর্যায়ের কর্মীদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান তৈরি এবং গ্রামীণ অঞ্চলে ডিজিটাল সচেতনতা বাড়াতেও সহায়তা করবে।
রবি আজিয়াটা পিএলসি’র চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমাদ বলেন: “রবি সুপার বাইক আমাদের টেকসই মোবিলিটি নিশ্চিত করা এবং দেশের গ্রামীণ অঞ্চলে সেবা প্রদান আরও শক্তিশালী করার যাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পরিবেশবান্ধব এই ই-বাইকগুলোর মাধ্যমে আমরা কার্বন নিঃসরণ কমানোর পাশাপাশি দূর-দূরান্তের গ্রাহকদের কাছে আরও দ্রুত, নির্ভরযোগ্য ও কার্যকর সেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হচ্ছি।
উদ্ভাবন, পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীলতা এবং দেশের প্রতিটি কমিউনিটিকে ডিজিটাল সেবার আওতায় আনাই রবির মূল লক্ষ্য-এই উদ্যোগ সেই প্রতিশ্রুতিরই বাস্তব রূপ।”
রবি সুপার বাইকে রয়েছে মাঠকর্মীদের দৈনন্দিন কাজকে আরও সহজ করার নানা সুবিধা। এতে আছেকনভার্টেবল কার্গো বক্স, রবি ব্র্যান্ডের ছাতা, ফোল্ডেবল টুল, মোবাইল ও ল্যাম্প চার্জিং সুবিধাসহইউএসবি পোর্ট, জনসচেতনতা বাড়াতে অডিও হ্যান্ড মাইক ইত্যাদি। নিরাপত্তা ও কার্যক্রম তদারকি বাড়াতে রয়েছে ফেস রিকগনিশন বাইক আনলক সিস্টেম, জিও-ফেন্সিং এবং রিয়েল-টাইম মুভমেন্ট ট্র্যাকিংয়ের মত উন্নত সুবিধা।
পরিবেশবান্ধব যানবাহনে বিনিয়োগের মাধ্যমে রবি শুধু কার্বন নিঃসরণই কমাচ্ছে না, বরং দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সেবা পৌঁছে দেওয়ার সক্ষমতাও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলছে। প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও সবুজউদ্যোগের সমন্বয়ে ‘রবি সুপার বাইক’ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।







