সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে আওয়ামী লীগ ৫০ প্রার্থীকে টার্গেট কিলিং করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের গোয়ালপাড়া বাজারে নির্বাচনি পথসভায় এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
রাশেদ খান বলেছেন, আমি যতটুক জেনেছি বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে যতটুকু আমার কথাবার্তা হয়েছে, তারেক রহমান তফসিল ঘোষণার পর পরই দেশে আসবেন এবং তিনি বাংলাদেশের মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা, তা বাস্তবায়নে কাজ করবেন।
রাশেদ খান আরও বলেন, আওয়ামী লীগের এক ধরনের চক্রান্ত রয়েছে যে, যারা নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, এ রকম ৫০ প্রার্থীকে টার্গেট কিলিং করা হবে আমি এমন তথ্য পেয়েছি। আমি আরও তথ্য পেয়েছি যারা প্রার্থী রয়েছেন, তাদের ওপর হামলা করা, তাদের হত্যা করা, গুপ্তহত্যা করার প্ল্যান আওয়ামী লীগের রয়েছে এবং এভাবে নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত তাদের রয়েছে। কিন্তু আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচন কেউ বানচাল করতে পারবে না। ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন হবে এবং নির্বাচন আদায় করে নিতে হবে।
বুলেটপ্রুফ গাড়ি ক্রয়ের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান পাল্টা প্রশ্ন করেন, এখন তারেক রহমানের কি নিরাপত্তা লাগবে না? শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, আজকে যদি তারেক রহমানকে একই ধরনের নির্মম পরিণতি ভোগ করতে হয়, তাহলে এই বাংলাদেশ নিয়ে যে ধরনের ভারতীয় ষড়যন্ত্র, বিভিন্ন বিদেশি চক্রের ষড়যন্ত্র রয়েছে, সেগুলো সফল হয়ে যাবে। সুতরাং, তার নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ। সেই নিরাপত্তা বিবেচনা করে দলের পক্ষ থেকে বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনা হয়েছে। আমি মনে করি, এটা কোনো অন্যায় নয়। বরং তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার, আপনার, আমাদের সবার দায়িত্ব।
রাশেদ খান আরও বলেন, ঠিক একইভাবে আমরা যারা প্রার্থী রয়েছি, আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। এখন প্রশাসন যদি মনে করে যে রাশেদ খানের নিরাপত্তা লাগবে না, তাহলে তো আমার কিছু করার নেই। কিন্তু আমি যেহেতু প্রশাসনকে সবসময় অবহিত করি, আমি পুলিশকে জানাই, এসপিকে জানাই, ডিজিএফআইকে জানাই, আমি যাদের জানানোর দরকার সবাইকে জানাই। সুতরাং এখান যদি আমার উপর আক্রমণ হয়, আমার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, এর দায়ভার কিন্তু সরকারকে নিতে হবে।
রাশেদ খান আরও বলেন, আমি মনে করি, যেহেতু গণঅভ্যুত্থানের পর নির্বাচন হচ্ছে, এই নির্বাচনে প্রত্যেক দলের প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব।







