সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে রাজধানীর শাহবাগ থানা এলাকায় জুট ব্যবসায়ী মো. মনিরকে গুলি করে হত্যা মামলায় রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ইশারায় ও আকার ইঙ্গিতে মামলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম (হাজী সেলিম বাক প্রতিবন্ধী)। তার দেওয়া তথ্য মামলার তদন্তের স্বার্থে যাচাই বাছাই অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার চার দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মাইনুল ইসলাম খান।
আবেদনে তিনি এসব কথা উল্লেখ করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল মিয়া তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে আদালতের আদেশ মোতাবেক পুলিশ রিমান্ডপ্রাপ্ত হয়ে ব্যাপক ও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যেহেতু আসামি হাজী সেলিম বাক প্রতিবন্ধী সেহেতু জিজ্ঞাসাবাদকালে ইশারায়, আকার ইঙ্গিতে মামলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। মামলার তদন্তে যা সহায়ক হবে। আসামির দেওয়া তথ্য মামলার তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই অব্যাহত আছে। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে পালানোর সম্ভাবনা রয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে পরবর্তী সময়ে আসামিকে পুনরায় রিমান্ডের প্রয়োজন হতে পারে। আসামির বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেল হাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন।
এর আগে, ২০ অক্টোবর তাকে কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে তার চার দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফরহাদ ইশতিয়াক। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে রাজধানীর বংশাল থানাধীন এলাকা থেকে হাজী সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়। গত ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে তার ছেলে সোলাইমান সেলিমকে গ্রেফতার করে র্যাব-২।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট শাহবাগ থানার চাঁনখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন ক্ষুদ্র জুট ব্যবসায়ী মো. মনির। দুপুরে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় গত ১৪ মার্চ শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী রোজিনা আক্তার। এ মামলায় ৩৫১ জনকে এজাহারনামীয় ও ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।







