পরিকল্পনা সঠিক বাস্তবায়ন না হওয়ায় টাইগারদের হার

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : সফরকারী আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৯ রানে পরাজিত হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এ নিয়ে চট্টগ্রামে টি-টোয়েন্টির টানা ৪ ম্যাচে হেরেছেন টাইগাররা। যদিও এর আগের ৪ টি-টোয়েন্টি সিরিজের সবকটিতে জিতেছিল বাংলাদেশ। হুট করে এমন ভরাডুবিতে সমালোচনার তিরে বিদ্ধ হতে হচ্ছে দলকে।

চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ১৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান করে টাইগাররা। ফলে ৩৯ রানের জয় পেয়েছে আইরিশরা। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠে, টাইগারদের ব্যাটিংয়ে সমস্যা কোথায়?

তবে ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল তাওহীদ হৃদয়। ম্যাচ শেষে তার কণ্ঠে ঝরেছে হতাশা। তবে তাওহীদ হৃদয়ের মতে, পরিকল্পনা সঠিক বাস্তবায়ন না হওয়ায় হারতে হয়েছে দলকে।

সফরকারীদের বিপক্ষে নিজের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলার দিনে দলের বড় হারের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি।

হারের কারণ জানতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো বড় পার্টনারশিপ হলে ম্যাচ অন্যরকম হতে পারতো। দেখেন-আমরা বেশি ব্যবধানে হারিনি। আমি আর জাকের আলী যখন ব্যাটিং করছিলাম, যদি ৭০-৮০ রানের কোনো পার্টনারশিপ হতো তাহলে হয়তোবা ম্যাচের সিনারিও অন্যরকম হতে পারতো।

নিজেদের ব্যাটিং খারাপ হলেও উইকেটের দোষ দিতে নারাজ তিনি। হৃদয় বলেন, ‘অবশ্যই উইকেট অনেক ভালো। এখানে ওরা ভালো খেলেছে। আমরা ভালো করতে পারিনি। এখানে উইকেটের দোষ দিয়ে লাভ নেই। যখন বোর্ডে ১৮০ প্লাস রান থাকবে তখন শর্টস খেলতেই হবে। এক্সিকিউশনটা হয়তোবা আজকে সঠিকভাবে হয়নি। শুরু থেকে যদি আমাদের এক্সিকিউশন ভালো হতো তাহলে অন্যরকম হতে পারতো। আমি আশা করি, এখান থেকে আমরা অবশ্যই ওভারকাম করবো।

এদিন ব্যাটিংয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ একই ওভারে হারান তিন উইকেট। হাম্প্রিসের করা ১৩তম ওভারে সাকিব, রিশাদ আর নাসুম আউট হলে হারে প্রহর গুণতে থাকে টাইগাররা। একপ্রান্ত আগলে থেকে ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন তাওহীদ।

খুব তাড়াতাড়ি উইকেট হারানোয় খেলার ফলাফল ভিন্ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যখন আমরা (তাওহীদ-জাকির) খেলাটা ধরে ছিলাম-আমাদের উচিত ছিল যতটুকু খেলাটা নেওয়া যায়। আমাদের ওটা শেষ জুটি ছিল। তাহলে রিশাদ-সাকিবের জন্য আরও সহজ হয়ে যেত জিনিসটা। সাকিব-রিশাদ ভালো ব্যাটিং করে। কিন্তু তারা যদি আর একটু পরে আসতো তাহলে খেলাটা অন্যরকম হতো।

মিডল অর্ডারে নিজের খেলা নিয়ে কোনো আফসোস নেই জানিয়ে তাওহীদ বলেন, ক্রিকেট খেলাটা আমার একার খেলা না। আমি ওখানে (বিপিএল-ডিপিএল) ওপরে খেলে এসে এখানে মিডলে খেলছি। যেহেতু এটা টিম গেম। আমার ওপরে খেলার মত কোনো জায়গা নেই এবং আপনারাও অনেকে ভাবেন- হয়তো আমি টিমে থাকার মত না। ভাই, আমি সেখানে আছি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। এটা নিয়ে আফসোসের কিছু নাই। চেষ্টা করি যখন যেখানে সুযোগ পাই ভালো খেলার।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম

» গণতন্ত্রে ফেরার অপেক্ষায় গোটা জাতি: মির্জা ফখরুল

» দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

» ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

» চাঁদাবাজ-খুনিদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না মানুষ : শিবির সভাপতি

» দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, গোলা-বারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদিসহ কারিগর আটক

» জনসেবা যাদের পেশা-নেশা, তাদের হাতেই জামায়াতের পতাকা: আমির

» শাহজাহান চৌধুরীর কথাগুলো ঔদ্ধত্য, অজ্ঞতা, না কি মূর্খতা?: মাসুদ কামাল

» খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দেশব্যাপী বিশেষ দোয়া

» দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ আগামী সপ্তাহে

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

পরিকল্পনা সঠিক বাস্তবায়ন না হওয়ায় টাইগারদের হার

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : সফরকারী আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৯ রানে পরাজিত হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এ নিয়ে চট্টগ্রামে টি-টোয়েন্টির টানা ৪ ম্যাচে হেরেছেন টাইগাররা। যদিও এর আগের ৪ টি-টোয়েন্টি সিরিজের সবকটিতে জিতেছিল বাংলাদেশ। হুট করে এমন ভরাডুবিতে সমালোচনার তিরে বিদ্ধ হতে হচ্ছে দলকে।

চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ১৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান করে টাইগাররা। ফলে ৩৯ রানের জয় পেয়েছে আইরিশরা। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠে, টাইগারদের ব্যাটিংয়ে সমস্যা কোথায়?

তবে ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল তাওহীদ হৃদয়। ম্যাচ শেষে তার কণ্ঠে ঝরেছে হতাশা। তবে তাওহীদ হৃদয়ের মতে, পরিকল্পনা সঠিক বাস্তবায়ন না হওয়ায় হারতে হয়েছে দলকে।

সফরকারীদের বিপক্ষে নিজের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলার দিনে দলের বড় হারের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি।

হারের কারণ জানতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো বড় পার্টনারশিপ হলে ম্যাচ অন্যরকম হতে পারতো। দেখেন-আমরা বেশি ব্যবধানে হারিনি। আমি আর জাকের আলী যখন ব্যাটিং করছিলাম, যদি ৭০-৮০ রানের কোনো পার্টনারশিপ হতো তাহলে হয়তোবা ম্যাচের সিনারিও অন্যরকম হতে পারতো।

নিজেদের ব্যাটিং খারাপ হলেও উইকেটের দোষ দিতে নারাজ তিনি। হৃদয় বলেন, ‘অবশ্যই উইকেট অনেক ভালো। এখানে ওরা ভালো খেলেছে। আমরা ভালো করতে পারিনি। এখানে উইকেটের দোষ দিয়ে লাভ নেই। যখন বোর্ডে ১৮০ প্লাস রান থাকবে তখন শর্টস খেলতেই হবে। এক্সিকিউশনটা হয়তোবা আজকে সঠিকভাবে হয়নি। শুরু থেকে যদি আমাদের এক্সিকিউশন ভালো হতো তাহলে অন্যরকম হতে পারতো। আমি আশা করি, এখান থেকে আমরা অবশ্যই ওভারকাম করবো।

এদিন ব্যাটিংয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ একই ওভারে হারান তিন উইকেট। হাম্প্রিসের করা ১৩তম ওভারে সাকিব, রিশাদ আর নাসুম আউট হলে হারে প্রহর গুণতে থাকে টাইগাররা। একপ্রান্ত আগলে থেকে ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন তাওহীদ।

খুব তাড়াতাড়ি উইকেট হারানোয় খেলার ফলাফল ভিন্ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যখন আমরা (তাওহীদ-জাকির) খেলাটা ধরে ছিলাম-আমাদের উচিত ছিল যতটুকু খেলাটা নেওয়া যায়। আমাদের ওটা শেষ জুটি ছিল। তাহলে রিশাদ-সাকিবের জন্য আরও সহজ হয়ে যেত জিনিসটা। সাকিব-রিশাদ ভালো ব্যাটিং করে। কিন্তু তারা যদি আর একটু পরে আসতো তাহলে খেলাটা অন্যরকম হতো।

মিডল অর্ডারে নিজের খেলা নিয়ে কোনো আফসোস নেই জানিয়ে তাওহীদ বলেন, ক্রিকেট খেলাটা আমার একার খেলা না। আমি ওখানে (বিপিএল-ডিপিএল) ওপরে খেলে এসে এখানে মিডলে খেলছি। যেহেতু এটা টিম গেম। আমার ওপরে খেলার মত কোনো জায়গা নেই এবং আপনারাও অনেকে ভাবেন- হয়তো আমি টিমে থাকার মত না। ভাই, আমি সেখানে আছি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। এটা নিয়ে আফসোসের কিছু নাই। চেষ্টা করি যখন যেখানে সুযোগ পাই ভালো খেলার।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com