সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : তিন দফা দাবিতে রাজধানীতে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে সরকার। আজ রোববার সন্ধ্যার পর সচিবালয়ে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ আলোচনায় অংশ নেবেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শামছুদ্দিন মাসুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল শনিবার শাহবাগে আন্দোলনরত শিক্ষকদের পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা করে। এ সময় লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেডে দেড় শতাধিক শিক্ষক আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ রোববার থেকে সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেন শিক্ষকরা।
শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘোষণা দেন প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি শামসুদ্দিন মাসুদ। তিনি বলেন, দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন ও শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রোববার থেকে সারাদেশে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৯। এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকের সংখ্যা তিন লাখ ৮৪ হাজারের বেশি। আর শিক্ষার্থী প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ জন।
সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো– দশম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি বাস্তবায়ন।
গত ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে দশম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডে থাকা শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এ সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন সহকারী শিক্ষকরা।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, নার্স, কৃষি কর্মকর্তা, পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর, এমনকি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা স্নাতক ডিগ্রি নিয়েই দশম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। অথচ আমরা স্নাতক ডিগ্রির পাশাপাশি সিএনএড, বিপিএড ও বিটিপিটি কোর্স সম্পন্ন করেও ১৩তম গ্রেডে রয়েছি। এটি বৈষম্য। তাই ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছি।
অন্যদিকে, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের আরেক অংশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেডের জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতির দাবিতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারকে সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি না মানা হলে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।







