ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক :নির্বাচনে জামায়াত ইসলামী রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারবে না জেনেই পিআর পদ্ধতি নিয়ে পরিকল্পনামুলক অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে। জামায়াত চায় না বিএনপি ক্ষমতায় এসে ঠিকমতো দেশ চালাক।’—সম্প্রতি দেশের এক বেসরকারি টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এসব কথা বলেন চিকিৎসক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ।
ডা. সায়ন্থ বলেন, ‘এই নির্বাচনে অন্তত জামায়াত ইসলামের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবার কোনো সম্ভাবনা নাই । এখন বিএনপি একমাত্র বড় দল, তারা যদি তাদের সমমনাদের নিয়ে যায়, তাদের যাতে শান্তিতে পাঁচ বছর দেশটা চালাতে না দিতে হয়, আগেই যাতে ওই সরকার ভেঙে দেওয়া যায়, ইনটেনশন হচ্ছে একমাত্র এটা। আর কিছু ভাবার কোনো কারণ, কোন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণে আসে না।’
ডা. সায়ন্থ বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় এবং নেপালের যে পিআর পদ্ধতি ছিল আমাদের দেশের কাছাকাছি আর্থসামাজিক অবস্থান রাজনৈতিক অবস্থান সেখানে পিয়ার নিয়ে কি বেনিফিট তারা পেয়েছে? দুর্নীতি কমেছে? স্বজনপ্রীতি কমেছে? রাষ্ট্রীয় কাঠামো উন্নতি হয়েছে? প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নতি হয়েছে? কিছুই হয়নি। হলে শ্রীলঙ্কা ওরকম অবস্থা হতে পারতো? ৭৯ সাল থেকে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চলছে।
নেপালে এরকম গণঅভ্যুত্থান হতে পারতো? সুতরাং বাংলাদেশের সংকট যেই জায়গায় সেই জায়গায় এড্রেস না করে পিআরকে নতুন নতুন সংকট তৈরির জন্য নিজেদের স্বার্থে সামনে আনা হয়েছে। সুতরাং এইসব হাঙ্কিফাঙ্কি বাদ দিয়ে দেশকে গণতন্ত্রের পথে নেয়ার জন্য ভুল বুঝাবুঝি যেটুকু আছে সেটা নিয়ে বসেন। আলোচনা করেন। মানুষকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেন।
এবং এই ভোটটা যাতে সঠিকভাবে কাউন্ট হয়। কেউ যাতে ম্যানিপুলেট করে ২০০৮-এর মত শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ইলেক্টোরাল ক্যু করতে না পারে। অন্যান্য নির্বাচনে যেরকম জোর করে নিয়ে যায় কেউ যেন সেভাবে জোর করে নিতে না পারে। এরকম একটা নির্বাচন হোক তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রবর্তন হলে মানুষের হাতে ভোট দেওয়ার ক্ষমতাটা যাক। এইবার যাদেরকে মানুষ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনবে তারা যদি খারাপ করে পরবর্তী নির্বাচনে যেন তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করে, সেই সুযোগ তো তাদের হাতে আছেই।
তাহলে আপনার নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করে রাষ্ট্রকে অস্থির করছেন কেন?’
পিআর নিয়ে জনমত সৃষ্টির জন্য জামায়াত বিক্ষোভ কর্মসূচী দিয়ে ভুল করেছে উল্লেখ করে ডা. সায়ন্থ বলেন, ‘জনমত গঠনের জন্য কেউ বিক্ষো। দেয় না। তারা প্রচারপত্র বিলি করতে পারতো, তারা নানা রকমের সভা সমাবেশ করতে পারতো। প্রচার মাধ্যমকে ব্যবহার করে করতে পারতো। কিন্তু তারা দিয়েছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভের মধ্যে একটা সহিংসতা লুকিয়ে থাকে। বিক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া আসে। বিক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া একটা পক্ষ দিলে তার প্রতিপক্ষ যারা বা ভিন্ন মতের যারা সেখান থেকে একটা পাল্টা বিক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া আসে। এই দুই বিক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া একসঙ্গে মাঠে এলে সহিংসতা তৈরি হয়। অতীত ইতিহাস বাংলাদেশে তাই বলে। সুতরাং জামায়াত তাহলে কর্মসূচি নির্ধারণে ভুল করেছে। তারা ওই বিক্ষোভ থেকে সরে এসে তারা জনসংযোগে যেতে পারত।’