গাজা যুদ্ধ বন্ধ করলেই ট্রাম্প নোবেল পাবেন : মাখোঁ

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কেবল তখনই নোবেল শান্তি পুরস্কার জিততে পারবেন, যখন তিনি গাজায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘাত বন্ধ করবেন।

 

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকের ফাঁকে বিএফএমটিভি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।

সাক্ষাৎকারে মাখোঁ বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে কেবল একজনই কিছু করতে পারেন, তিনি হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।’

 

ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দেখতে পাচ্ছি-যিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতে চান।  যিনি মঙ্গলবার সকালে সাধারণ পরিষদে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই বলেছেন-‘আমি শান্তি চাই, আমি এই সংঘাতের সমাধান করব।’

 

মাখোঁ আরো বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার কেবল তখনই আপনি পেতে পারেন, যখন আপনি এই সংঘাত বন্ধ করবেন।

 

তিনি আরো বলেন, ‘আপনাকে ইসরায়েলি সরকারকে চাপ দিতে হবে, যেন তারা থেমে যায়, গাজা সংঘাত বন্ধ করে; যাতে আমরা অবশেষে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্ত হিসেবে দেখতে পারি।

 

ইমানুয়েল মাখোঁ বলেন, সাধারণ পরিষদে ফ্রান্সের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার পরেও  ট্রাম্প ও ইসরায়েল উভয়ই এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে। ইসরায়েলের ওপর ওয়াশিংটনই কেবল প্রভাব খাটাতে পারে।

 

মাখোঁ বলেন, ‘কেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আমাদের চেয়ে বেশি কিছু করতে পারেন? আমরা ইসরায়েলকে এমন অস্ত্র সরবরাহ করি না, যা গাজা সংঘাতের সুযোগ করে দেয়।’

 

তিনি আরো বলেন, ‘যেদিন ইসরায়েল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে, সত্যিকারার্থে সেদিনই একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র তৈরি হবে।’

 

ফ্রান্সের এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে, যেমন জেরুজালেমে ফরাসি কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়া, যা ফিলিস্তিনিদের দ্বারা তীব্রভাবে ব্যবহৃত হয় অথবা অধিকৃত পশ্চিম তীরের অঞ্চল দখল করা।

 

মাখোঁ নির্দিষ্টভাবে কোনো পদক্ষেপের উল্লেখ না করে বলেন, আমরা প্রস্তুত। আমরা সম্ভাব্য সকল বিকল্পের পরিকল্পনা করে রেখেছি, আমরা কখনই চুপ করে থাকব না।

 

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের অতর্কিত হামলার পর ফিলিস্তিনে পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়। সেই হামলা এখনো অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ৬৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহতের পাশাপাশি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা সিটি।

সূত্র : রয়টার্স ও এএফপি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» কুমিল্লার মনোনয়ন ফরম আমি নিইনি, ঢাকা-১০ এ প্রার্থী হচ্ছি: আসিফ

» পিলখানা ট্র্যাজেডিতে শহীদ ৫৭ কর্মকর্তার কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান

» প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা বাকস্বাধীনতার ওপর আঘাত

» ৩ জানুয়ারি ঢাকায় জামায়াতের মহাসমাবেশ, চলছে জোর প্রস্তুতি

» এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন তাসনিম জারা

» হাদি হত্যার বিচারের দাবীতে শাহবাগ থেকে যমুনা ও সংসদ ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিলো ইনকিলাব মঞ্চ

» বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক এটা ভারত চায় না : মাহমুদুর রহমান

» সংবর্ধনাস্থলে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিএনপির বৃক্ষরোপণ

» ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার

» তিন দিনে রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ৩১৪৬ মামলা

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

গাজা যুদ্ধ বন্ধ করলেই ট্রাম্প নোবেল পাবেন : মাখোঁ

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কেবল তখনই নোবেল শান্তি পুরস্কার জিততে পারবেন, যখন তিনি গাজায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘাত বন্ধ করবেন।

 

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকের ফাঁকে বিএফএমটিভি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।

সাক্ষাৎকারে মাখোঁ বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে কেবল একজনই কিছু করতে পারেন, তিনি হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।’

 

ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দেখতে পাচ্ছি-যিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতে চান।  যিনি মঙ্গলবার সকালে সাধারণ পরিষদে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই বলেছেন-‘আমি শান্তি চাই, আমি এই সংঘাতের সমাধান করব।’

 

মাখোঁ আরো বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার কেবল তখনই আপনি পেতে পারেন, যখন আপনি এই সংঘাত বন্ধ করবেন।

 

তিনি আরো বলেন, ‘আপনাকে ইসরায়েলি সরকারকে চাপ দিতে হবে, যেন তারা থেমে যায়, গাজা সংঘাত বন্ধ করে; যাতে আমরা অবশেষে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্ত হিসেবে দেখতে পারি।

 

ইমানুয়েল মাখোঁ বলেন, সাধারণ পরিষদে ফ্রান্সের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার পরেও  ট্রাম্প ও ইসরায়েল উভয়ই এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে। ইসরায়েলের ওপর ওয়াশিংটনই কেবল প্রভাব খাটাতে পারে।

 

মাখোঁ বলেন, ‘কেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আমাদের চেয়ে বেশি কিছু করতে পারেন? আমরা ইসরায়েলকে এমন অস্ত্র সরবরাহ করি না, যা গাজা সংঘাতের সুযোগ করে দেয়।’

 

তিনি আরো বলেন, ‘যেদিন ইসরায়েল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে, সত্যিকারার্থে সেদিনই একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র তৈরি হবে।’

 

ফ্রান্সের এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে, যেমন জেরুজালেমে ফরাসি কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়া, যা ফিলিস্তিনিদের দ্বারা তীব্রভাবে ব্যবহৃত হয় অথবা অধিকৃত পশ্চিম তীরের অঞ্চল দখল করা।

 

মাখোঁ নির্দিষ্টভাবে কোনো পদক্ষেপের উল্লেখ না করে বলেন, আমরা প্রস্তুত। আমরা সম্ভাব্য সকল বিকল্পের পরিকল্পনা করে রেখেছি, আমরা কখনই চুপ করে থাকব না।

 

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের অতর্কিত হামলার পর ফিলিস্তিনে পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়। সেই হামলা এখনো অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ৬৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহতের পাশাপাশি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা সিটি।

সূত্র : রয়টার্স ও এএফপি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com