সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন রায়ান রিকেলটন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে চাপের মুখে নিজের অভিষেক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। রিকেলটনের দারুণ এই সেঞ্চুরিতে ৪২ রানে ৩ উইকেট হারানোর চাপ কাটালেও শেষ পর্যন্ত স্বস্তিতে দিন শেষ করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। দিন শেষ করেছে ৭ উইকেটে ২৬৯ রানে।
তবে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আগের বলেই রিকেলটনকে বিশ্ব ফার্নান্ডোর বলে এলবিডব্লু আউট দেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বাঁচেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার বোলার বিশ্ব ফার্নান্দোর ওভারে এলবিডব্লিয়ের ফাঁদে পড়েছিলেন রিকেলটন। তিনি ছিলেন তখন ৯৮ রানে অপরাজিত। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি ছোঁয়ার দ্বারপ্রান্তে। এমন সময়ে বোলারের আবেদনে সাড়া দিয়ে তাকে আউট দেন আম্পায়ার।
তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে নাখোশ ছিলেন রিকেলটন। তাই তো নিলেন রিভিউ। আর সেটাই তাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। আর তিনি পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা। ফার্নান্দোর পিচ করা একটি লেংথ বল রিকেলটনকে নড়বড়ে করে ফেলেছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে আম্পায়ার কোনোরকম ধ্বনি ছাড়া ‘নট আউট’ সিদ্ধান্ত দেন। বলটি রিকেলটনের প্যাডে আঘাত করে, এবং তিনি সেটি ড্রাইভ করার চেষ্টা করছিলেন।
প্রথমে মনে হয়েছিল, তিনি বলটি বাহিরের দিকে না পেয়ে গেছেন, তবে রিকেলটন যখন রিভিউ নেন, তখন দেখা যায়, বলটি তার ব্যাটে একটা স্ক্র্যাচ করে প্যাডে আঘাত করেছিল। সুতরাং, রিকেলটন বেঁচে যান এবং দর্শকদের হতাশ মুখগুলো আনন্দে পরিণত হয়। রিভিউ নিয়ে এত সময় নেয়া ছিল সঠিক সিদ্ধান্ত। রিকেলটন নিজেও হয়তো জানতেন না যে, ব্যাটে খুব ছোট একটি টোকা এসেছে, যেটি তাকে আউট হতে বাধা দিয়েছে।
ফলে রিকেলটনের এই পরিস্থিতি এক উত্তেজনাপূর্ণ মোড়ে পৌঁছেছিল, যা ক্রিকেটের অনেক নাটকীয় মুহূর্তের অন্যতম একটি উদাহরণ হয়ে রইলো। সেঞ্চুরি করে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি রিকেলটন। ফেরার আগে ২৫০ বলে ১১ চারে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি (১০১) করে যান। অষ্টম টেস্ট খেলতে নেমে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পান তিনি। আগের ৭ টেস্টের ১২ ইনিংসে তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল ৪২।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৮৬.৪৩ ওভারে ২৬৯/৭ (রিকেলটন ১০১, বাভুমা ৭৮, ভেরেইনা ৪৮*, মার্করাম ২০; লাহিরু ৩/৫৪, ফার্নান্ডো ২/৬৭, বিশ্ব ৪৬/১, প্রবাত ১/৭৪)