এস. এম. সাইফুল ইসলাম কবির, সুন্দরবন থেকে ফিরে:দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলেরবিশ্
বুধবার দুপুরে শরণখোলার রাজৈর মৎস্যঘাটে গিয়ে উৎসবমূখর পরিবেশে জেলেদের নিজ নিজ ফিশিংবোটে মাছ ধরার জাল, বরফ, জ্বালানীতেলসহ রসদ সামগ্রী বোঝাই করতে দেখা গেছে।
মৎস্য বিভাগ মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। গত ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞা ১১ জুন মধ্য রাত ১২টায় শেষ হবে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়া মাত্রই জেলেরা মাছ ধরার জন্য ফিশিংবোট নিয়ে বঙ্গোপসাগরে যাত্রা করবে।
শরণখোলার জিলবুনিয়া গ্রামের জেলে সগির হোসেন, রাজেশ্বর গ্রামের জেলে আঃ সোবহান, আঃ মজিদসহ অনেক জেলে বলেন, গত দুই মাস মাছ ধরতে না পেরে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারসহ অর্থকষ্টে দিন কেটেছে ধার দেনা করে সংসার চালাতে হয়েছে জানিয়ে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় সীমা কমিয়ে আনার দাবী করেন তারা।
শরণখোলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি ও মৎস্য ব্যবসায়ী মোঃ আবুল হোসেন বলেন, দীর্ঘ ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা সাগরে যাওয়ার জন্য প্রস্ততি নিয়েছেন। ৫৮ দিন মাছ ধরতে না পেরে জেলেরা অর্থকষ্টে দিন পার করেছেন এবং হয়েছেন ঋণগ্রস্থ। অনেক জেলে কাজ হারিয়ে অন্যত্র কাজের জন্য ঢাকা চট্রগ্রাম চলে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন ফিশিংবোট মালিকগণ। দেশীয় জেলে মৎসজীবিদের দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার ভারতের সাথে মিল রেখে একই সময়ে সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় এদেশীয় জেলেদের সুবিধা হয়েছে এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোঃ আবুল হোসেন ।
শরণখোলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘ ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আগামী ১১ জুন মধ্য রাতের পরে জেলেরা মাছ ধরতে সমুদ্রে রওয়ানা হবেন। সমুদ্রে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য বিভাগ গত ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।##