সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : ১৯৯৪-এ মিস ইউনিভার্স খেতাব জয়ের সময় যেমন ছিলেন, এখনো প্রায় একই রকম দেখায় তাকে। বয়স ৪৯ হলেও বলিউড অভিনেত্রী এবং সাবেক বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেনকে দেখে তা বোঝার উপায় নেই। টানটান ত্বক ও টোনড ফিগারের রহস্য কী? কীভাবে নিজেকে এত ফিট রাখেন? এক সাক্ষাৎকারে এই গোপন রহস্য খোলাসা করেছেন তিনি।
সুস্মিতা জানান, তার ফিটনেসের পেছনে বিশেষ একটি পানীয়ের ভূমিকা রয়েছে, যা তাকে সারাদিন চনমনে রাখে। কীভাবে দিন শুরু করেন এবং দিনব্যাপী কীভাবে নিজেকে সক্রিয় রাখেন, তা বিস্তারিতভাবে শেয়ার করেন তিনি।
টুইক ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুস্মিতা তার সকালের রুটিন নিয়ে বলেন, প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম জল ও লেবুর রস দিয়ে তার দিন শুরু হয়। সাধারণত তিনি সকালে হালকা গান শুনতে পছন্দ করেন এবং ধীরে ধীরে শরীরচর্চায় মন দেন। বেশি শব্দ বা চিৎকার তার পছন্দ নয়। একই গান লুপে শোনাকে তিনি ‘মুভিং মেডিটেশন’ বলে অভিহিত করেন।
সুস্মিতা আরও বলেন, ‘আমি চেষ্টা করি ফোনে হাত না দিতে, তবে সবসময় সেটা সম্ভব হয় না।’
এছাড়াও কঠোর পরিশ্রম ও ব্যায়াম ছিল তার দৈনন্দিন জীবনের অংশ। তিনি জানিয়েছেন, এক সময় প্রতিদিন এক ঘণ্টা ওয়ার্ম-আপ, দু’ঘণ্টা এক্সারসাইজ এবং ৩০ মিনিট কুল-ডাউনের রুটিন মেনে চলতেন। তবে ২০২৩ সালের শুরুর দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর রুটিনে পরিবর্তন আনতে হয়। বর্তমানে তিনি সকালে হাঁটাহাঁটি, যোগব্যায়াম এবং স্ট্রেচিংয়ের ওপর বেশি জোর দেন।
তাহলে কি ব্যায়ামকে বিদায় জানিয়েছেন সুস্মিতা? তার কথায়, আগামী ছয় মাসের মধ্যে তিনি আবার আগের রুটিনে ফিরে যেতে পারবেন।
সুস্মিতা তার ঝকঝকে ত্বকের রহস্য নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমার ত্বক পরিচর্যার নিয়ম খুবই সহজ। মেকআপ আমি সাধারণত করি না, শুধু কাজের জন্য করতে হয়। ক্লিনজিং মিল্ক, টোনার, ময়েশ্চারাইজার এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করি। সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অবশ্যই জরুরি, যদিও আমি সেরাম ব্যবহার করি না।’
এই অভ্যাসগুলো তাকে শুধু শারীরিকভাবে নয়, মানসিকভাবেও ভালো রাখতে সহায়ক। সুস্মিতা সেন তার জীবনযাত্রা ও ব্যক্তিত্ব দিয়ে বহু মানুষের অনুপ্রেরণা হয়েছেন এবং এখনও হয়ে চলেছেন। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন