৫ম বারের মতো ‘বিকাশ পার্টনার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে হুয়াওয়ে

ঢাকা, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫: বাংলাদেশে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ক্যাশলেস সোসাইটি গঠনে বিকাশকে সহযোগিতার জন্য পঞ্চমবারের মতো ‘পার্টনার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে হুয়াওয়ে। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ক্যারিয়ার নেটওয়ার্ক বিজনেস গ্রæপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঝো শাওফেং (টিম) এবং অ্যাকাউন্ট ডিরেক্টর ডু কংকং-এর হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিকাশ-এর চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর এবং প্রতিষ্ঠানটির ইভিপি অ্যান্ড হেড অব সাপ্লাই চেইন, প্রোকিউরমেন্ট মোহাম্মদ রাশেদুল আলম।

 

২০১৭ সাল থেকে হুয়াওয়ে ও বিকাশ কৌশলগত প্রযুক্তি সহযোগিতার মাধ্যমে একসাথে কাজ করে আসছে। বর্তমানে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের পাশাপাশি কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে হুয়াওয়ে। এর আওতায় হুয়াওয়ে মোবাইল মানি সল্যুশনসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সেবা সরবরাহ করেছে। বিগত কয়েক বছর থেকে নিজেদের অগ্রযাত্রায় সহযোগীদের ভ‚মিকাকে স্বীকৃতি দিতে বিকাশ এই পার্টনার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে আসছে। উক্ত পুরস্কারটি গতবছরে হুয়াওয়ের যে পেশাদারিত্বের সাথে বিকাশ-এর সাথে একসাথে কাজ করেছে তারই একটি স্বীকৃতি।

 

বিকাশ-এর চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর বলেন, “যাত্রার শুরু থেকেই বিকাশের মূল লক্ষ্য ছিল আর্থিক ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক সেবা নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্য অর্জনে গ্রাহকদের সেবা দিতে আমাদেরকে সর্বোচ্চ মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয়। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ আইসিটি অবকাঠামো ও প্রযুক্তি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের সঙ্গে কাজ করে আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী মান নিশ্চিত করতে পেরেছি। বছরের পর বছর ধরে সহযোগী হিসেবে হুয়াওয়ের প্রচেষ্টার জন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। হুয়াওয়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, গ্রাহকদেরকে সর্বোচ্চ মানের সেবা দিতে আমাদেরকে সক্ষম করে তুলেছে।”
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ক্যারিয়ার নেটওয়ার্ক বিজনেস গ্রæপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঝো শাওফেং (টিম) বলেন, “বর্তমানের হুয়াওয়ের ফিনটেক সেবা এশিয়া ও আফ্রিকার ৬০টিরও বেশি বাজারে ব্যবহৃত হচ্ছে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪১০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ প্রতিষ্ঠানটির ফিনটেক সেবা গ্রহণ করছে। বাংলাদেশের আইসিটি অবকাঠামোর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে হুয়াওয়ে সব সময় প্রস্তুত। বিকাশের সঙ্গে আমাদের এই পথচলা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সম্মিলিতভাবে আমরা এমন এক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারি, যা শুধু ব্যবসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং সব স্তরের মানুষের উপকারে আসবে।”

 

আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করতে ও দেশের আরও বেশি মানুষকে ডিজিটাল অর্থনীতির আওতায় আনতে ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠান দুইটি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এর ফলে বিকাশ ও হুয়াওয়ের সহযোগিতা আরও দৃঢ় হয়।

 

স¤প্রতি এমডবিøউসি ২০২৫-এ হুয়াওয়ে ও বিকাশের ডিজিটাল ঋণ সেবা ‘পে লেটার’-এর জন্য যৌথভাবে ‘গেøামো বেস্ট ফিনটেক ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে। এই সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যাংকিংয়ের আওতার বাইরে থাকা জনসাধারণ স্বল্পমেয়াদের ক্ষুদ্র ঋণ নিতে পারেন। সেবাটির মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবার অপ্রতুলতা ও এর ফলে সৃষ্ট বেশি সুদে অপ্রাতিষ্ঠানিক ঋণের মতো সমস্যাগুলোর সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» জাকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের ৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা

» ঝটিকা মিছিল আয়োজনকারী আওয়ামী লীগ নেত্রী গ্রেফতার

» শাড়িতে মুগ্ধতা ছড়ালেন জয়া

» আ.লীগ ও জাতীয় পার্টিকে চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে: সারজিস আলম

» জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলায় গণঅধিকার জড়িত নয়: রাশেদ খাঁন

» সন্ত্রাস-চাঁদাবাজের দলই পিআর মানছে না: জামায়াতের নূরুল ইসলাম

» দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: আনিসুল

» ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান না চাইলে ভালো রাজনীতি করতে বললেন সালাহউদ্দিন

» নুরাল পাগলার মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা নিন্দনীয়: আখতার হোসেন

» কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান: ডা. জাহিদ হোসেন

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

৫ম বারের মতো ‘বিকাশ পার্টনার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে হুয়াওয়ে

ঢাকা, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫: বাংলাদেশে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ক্যাশলেস সোসাইটি গঠনে বিকাশকে সহযোগিতার জন্য পঞ্চমবারের মতো ‘পার্টনার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে হুয়াওয়ে। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ক্যারিয়ার নেটওয়ার্ক বিজনেস গ্রæপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঝো শাওফেং (টিম) এবং অ্যাকাউন্ট ডিরেক্টর ডু কংকং-এর হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিকাশ-এর চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর এবং প্রতিষ্ঠানটির ইভিপি অ্যান্ড হেড অব সাপ্লাই চেইন, প্রোকিউরমেন্ট মোহাম্মদ রাশেদুল আলম।

 

২০১৭ সাল থেকে হুয়াওয়ে ও বিকাশ কৌশলগত প্রযুক্তি সহযোগিতার মাধ্যমে একসাথে কাজ করে আসছে। বর্তমানে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের পাশাপাশি কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে হুয়াওয়ে। এর আওতায় হুয়াওয়ে মোবাইল মানি সল্যুশনসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সেবা সরবরাহ করেছে। বিগত কয়েক বছর থেকে নিজেদের অগ্রযাত্রায় সহযোগীদের ভ‚মিকাকে স্বীকৃতি দিতে বিকাশ এই পার্টনার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে আসছে। উক্ত পুরস্কারটি গতবছরে হুয়াওয়ের যে পেশাদারিত্বের সাথে বিকাশ-এর সাথে একসাথে কাজ করেছে তারই একটি স্বীকৃতি।

 

বিকাশ-এর চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর বলেন, “যাত্রার শুরু থেকেই বিকাশের মূল লক্ষ্য ছিল আর্থিক ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক সেবা নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্য অর্জনে গ্রাহকদের সেবা দিতে আমাদেরকে সর্বোচ্চ মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয়। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ আইসিটি অবকাঠামো ও প্রযুক্তি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের সঙ্গে কাজ করে আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী মান নিশ্চিত করতে পেরেছি। বছরের পর বছর ধরে সহযোগী হিসেবে হুয়াওয়ের প্রচেষ্টার জন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। হুয়াওয়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, গ্রাহকদেরকে সর্বোচ্চ মানের সেবা দিতে আমাদেরকে সক্ষম করে তুলেছে।”
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ক্যারিয়ার নেটওয়ার্ক বিজনেস গ্রæপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঝো শাওফেং (টিম) বলেন, “বর্তমানের হুয়াওয়ের ফিনটেক সেবা এশিয়া ও আফ্রিকার ৬০টিরও বেশি বাজারে ব্যবহৃত হচ্ছে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪১০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ প্রতিষ্ঠানটির ফিনটেক সেবা গ্রহণ করছে। বাংলাদেশের আইসিটি অবকাঠামোর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে হুয়াওয়ে সব সময় প্রস্তুত। বিকাশের সঙ্গে আমাদের এই পথচলা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সম্মিলিতভাবে আমরা এমন এক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারি, যা শুধু ব্যবসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং সব স্তরের মানুষের উপকারে আসবে।”

 

আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করতে ও দেশের আরও বেশি মানুষকে ডিজিটাল অর্থনীতির আওতায় আনতে ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠান দুইটি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এর ফলে বিকাশ ও হুয়াওয়ের সহযোগিতা আরও দৃঢ় হয়।

 

স¤প্রতি এমডবিøউসি ২০২৫-এ হুয়াওয়ে ও বিকাশের ডিজিটাল ঋণ সেবা ‘পে লেটার’-এর জন্য যৌথভাবে ‘গেøামো বেস্ট ফিনটেক ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে। এই সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যাংকিংয়ের আওতার বাইরে থাকা জনসাধারণ স্বল্পমেয়াদের ক্ষুদ্র ঋণ নিতে পারেন। সেবাটির মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবার অপ্রতুলতা ও এর ফলে সৃষ্ট বেশি সুদে অপ্রাতিষ্ঠানিক ঋণের মতো সমস্যাগুলোর সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com