২০টি দিয়ে খামার শুরু করে এখন সেখানে ২৮০টি গরু :আগৈলঝাড়ার যুবক শামিম গরুর খামার করে এখন স্বাবলম্বী

অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে :একদিন খামার করার সিদ্ধান্ত নেন শামিম শিকদার। সেটাও ১৩ বছর আগের কথা। সে সময় তিনি ২০টি গাভি ও ষাঁড় কিনে খামার শুরু করেন। সেই খামারে এখন গরুর সংখ্যা ২৮০টি। এর সঙ্গে রয়েছে পুকুরে মাছ চাষ। সমন্বিত সেই খামার থেকে খরচ বাদে এখন তাঁর মাসে আয় প্রায় ৪ লাখ টাকা। তার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক বেকার যুবক খামার করে স্বাবলম্বী হচ্ছে।

শামিম শিকদার বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বাসাইল গ্রামের মো. সেকেন্দার আলী শিকদারে ছেলে। শামিম বাড়ির একর জমিতে গড়ে তুলেছেন সমন্বিত খামার। খামারের নাম দিয়েছেন বাসাইল রাইয়ান ডেইরি এন্ড ফ্যাটেনিং ফার্ম। তাঁর খামারে দেশি বিদেশি জাতের ৫০টি গাভী, ২৩০টি ষাঁড় এবং এক একরের দুটি পুকুরে মাছের খামার রয়েছে। ৪ একর জমিতে গরুর খাবারে জন্য করা হয় ঘাস চাষ। এসব দেখাশোনা করতে খামারে সারা বছর বেতনভুক্ত ১০ শ্রমিক কাজ করেন।

শামিম শিকদারের খামারে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে সবুজের সমারোহ। দুই পুকুরের মাঝখানে গরু রাখার দুটি শেড ও একটি দোতলা দালান। দুটি শেডে বিদেশি জাতের গাভী ও বাছুর এবং দালানের ১ম ও ২য় তলায় ষাঁড় রাখা হয়েছে। কোরবানিতে বিক্রর জন্য রাখা হয়েছে আকর্ষনিয় ষাঁড়্।

শামিম শিকদার জানান, আমি ঢাকাতে একটি বেসকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করতাম। চাকুরি করা আমার ভালো লাগেনি। গ্রামে আমার পিতা গরু পালন করতো। আমার পিতা অল্পস্বল্প গরু পালন করেন। তার ওই গরু পালনে কোন লস হয়না। আমি ভাবলাম গ্রামে গিয়ে আমি একটি বড় গরুর খামাড় তৈরি করবো। যাতে আমারও আয় হবে এবং বেকার কিছু যুবকের কর্মসংস্থান করতে পারব। আমি চাকুরি ছেড়ে দিয়ে ২০১২ সালে গ্রামে চলে আসি। আমি ওই সালেই ২০টি গরু নিয়ে এক একর জমির উপরে প্রথম একটি ঘরে খামার তৈরি করি। এরপরে ধীরে ধীরে আরো দুটি ঘর ও একটি দোতলা দালান তৈরি করি। ওই দালানের ১ম ও ২য় তলায় গরু পালন করি। বর্তমানে আমার খামারে গাভী ও ষাঁড় মিলে ২৮০ টি গরু আছে। এক একর জমির উপরে খামার ও গরুর খাবারে জন্য চার একর জমিতে ঘাস চাষ করি। আমার ইচ্ছা এই খামারটিতে সংখ্যায় একহাজার গরু পালন করা।

শামিম শিকদার বলেন, ‘খামারে কমবেশি দুই কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। ১০জন স্থায়ী কর্মচারী কাজ করছে। খরচ বাদে বছরে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা আয় হচ্ছে। এসি রুমে বসে চাকরি করে যে শান্তি পাইনি এখন রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে খামার করে তার চেয়ে শতগুণ বেশি তৃপ্তি পাচ্ছি। আমার ইচ্ছে খামারে কমপক্ষে ৫০ জন মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কাজ করছি। খামারের আয়ের টাকায় স্ত্রী, দুই সন্তানকে নিয়ে সুখে আছি। আমার খামার থেকে প্রতিদিন ৩শ’ লিটার দুধ পাই। আমি এই দুধ বাজারজাত করতে পারছিনা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের মাধ্যমে যদি এলাকায় আড়ং বা মিল্কভিটা থাকতো তাহলে নির্বিঘেœ আমার দুধ বিক্রি করে লাভবান হতাম। তাৎক্ষণিক বিক্রি বা ফ্রিজিং এর অভাবে এখন উৎপাদিত বেশির ভাগ দুধ নষ্ট হচ্ছে। আমার খামারে ষাট হাজার থেকে শুরু করে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূল্যের গরু আছে। দুধ ও গরু বিক্রির সুবিধা পেলে খামাড় করে লাভবান হওয়া যায়। দেশে নতুন নতুন খামার করতে মানুষ আগ্রহী হতো।

রাইয়ান ডেইরি এন্ড ফ্যাটেনিং ফার্মের ম্যানেজার রাকিবুল ইসলাম রনি বলেন, আমাদের এখানে ১০জন মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমাদের সেই ১০টি পরিবার এই ফার্মের কারণে ভালো আছি সুখে আছি। দেশে এমন আরও প্রতিষ্ঠান হলে বেকারত্ব দূর হতো। বর্তমানে দেশের বাইরে থেকে আর গরু না এলে খামারীরা লাভবান হবে এবং দেশে খামারের সংখ্যা বাড়বে।

স্থানীয় মেজবাহ শিকদার, মিঠু শিকদার, কালাম মোল্লা, মো. সাইফুল মোল্লা, সানি হাওলাদার জানান, খামার করে শামিম শিকদার শুধু নিজের ভাগ্যই বদল করেননি, অন্য যুবকদেরও পরামর্শ দিয়ে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন। অনেকেই শামিমের পরামর্শে খামার করে এখন সুখে সংসার চালাচ্ছেন। সমন্বিত খামার করে এলাকার যুবকদের চোখ খুলে দিয়েছেন শামিম। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উন্নত জাতের গরু পালন করে সফল হয়েছেন। এখন এলাকার অনেকেই তাঁর কাছ থেকে গরু পালন করার পদ্ধতি ও কৌশল শিখছেন।
আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ সরকার বলেন, বর্তমানে গরুর বাজারে বিদেশি কোন গরু নেই। দেশের খামারীদের গরু বাজারে বিক্রি হয়ে থাকে। দেশে নতুন নতুন খামার সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিয়ে থাকি। মানুষকে খাওয়াবেন, মানুষ বেইমানি করবে। কিন্তু পশুপাখি কখনো বেইমানি করেনা। তার ফিডব্যাক শামিম নিজে পেয়েছেন। তিনি সমন্বিত খামার গড়ে সফল হয়েছেন। তাকে দেখে অনেকেই খামার গড়তে উৎসাহিত হচ্ছেন। দুধ বিক্রির বিষয়ে আমি আড়ং, মিল্কভিটা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাথে এবং খামারীদের সমন্বয়ে একটি ব্যবস্থা নেবো।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ৯ মাসে সরকার কয়টা সংস্কার করেছে, প্রশ্ন সালাহউদ্দিন আহমদের

» জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় দোসর: সারজিস

» কারও দোসর ছিলাম না, ফ্যাসিবাদের শিকার হয়েছি : জিএম কাদের

» ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন দেওয়া সম্ভব : তারেক রহমান

» দেশে গণতন্ত্রের নিরাপদ যাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: খালেদা জিয়া

» একটি দল ইসিকে জবরদখল করে নিয়েছে, দয়া করে থামুন, আপনি দেশের ক্ষতি করছেন : তাসনিম জারা

» মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিলে আন্দোলন আরও বেগবান করার হুঁশিয়ারি ইশরাকের

» মেজর সিনহা নিজের জীবন দিয়ে অনেকের জীবন রক্ষা করে গেছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল

» ইশরাকের বিষয়ে আদালতের রায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত : সিইসি

» ১ লাখ বাংলাদেশিকে নিয়োগ দেবে জাপান: আসিফ মাহমুদ

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

২০টি দিয়ে খামার শুরু করে এখন সেখানে ২৮০টি গরু :আগৈলঝাড়ার যুবক শামিম গরুর খামার করে এখন স্বাবলম্বী

অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে :একদিন খামার করার সিদ্ধান্ত নেন শামিম শিকদার। সেটাও ১৩ বছর আগের কথা। সে সময় তিনি ২০টি গাভি ও ষাঁড় কিনে খামার শুরু করেন। সেই খামারে এখন গরুর সংখ্যা ২৮০টি। এর সঙ্গে রয়েছে পুকুরে মাছ চাষ। সমন্বিত সেই খামার থেকে খরচ বাদে এখন তাঁর মাসে আয় প্রায় ৪ লাখ টাকা। তার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক বেকার যুবক খামার করে স্বাবলম্বী হচ্ছে।

শামিম শিকদার বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বাসাইল গ্রামের মো. সেকেন্দার আলী শিকদারে ছেলে। শামিম বাড়ির একর জমিতে গড়ে তুলেছেন সমন্বিত খামার। খামারের নাম দিয়েছেন বাসাইল রাইয়ান ডেইরি এন্ড ফ্যাটেনিং ফার্ম। তাঁর খামারে দেশি বিদেশি জাতের ৫০টি গাভী, ২৩০টি ষাঁড় এবং এক একরের দুটি পুকুরে মাছের খামার রয়েছে। ৪ একর জমিতে গরুর খাবারে জন্য করা হয় ঘাস চাষ। এসব দেখাশোনা করতে খামারে সারা বছর বেতনভুক্ত ১০ শ্রমিক কাজ করেন।

শামিম শিকদারের খামারে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে সবুজের সমারোহ। দুই পুকুরের মাঝখানে গরু রাখার দুটি শেড ও একটি দোতলা দালান। দুটি শেডে বিদেশি জাতের গাভী ও বাছুর এবং দালানের ১ম ও ২য় তলায় ষাঁড় রাখা হয়েছে। কোরবানিতে বিক্রর জন্য রাখা হয়েছে আকর্ষনিয় ষাঁড়্।

শামিম শিকদার জানান, আমি ঢাকাতে একটি বেসকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করতাম। চাকুরি করা আমার ভালো লাগেনি। গ্রামে আমার পিতা গরু পালন করতো। আমার পিতা অল্পস্বল্প গরু পালন করেন। তার ওই গরু পালনে কোন লস হয়না। আমি ভাবলাম গ্রামে গিয়ে আমি একটি বড় গরুর খামাড় তৈরি করবো। যাতে আমারও আয় হবে এবং বেকার কিছু যুবকের কর্মসংস্থান করতে পারব। আমি চাকুরি ছেড়ে দিয়ে ২০১২ সালে গ্রামে চলে আসি। আমি ওই সালেই ২০টি গরু নিয়ে এক একর জমির উপরে প্রথম একটি ঘরে খামার তৈরি করি। এরপরে ধীরে ধীরে আরো দুটি ঘর ও একটি দোতলা দালান তৈরি করি। ওই দালানের ১ম ও ২য় তলায় গরু পালন করি। বর্তমানে আমার খামারে গাভী ও ষাঁড় মিলে ২৮০ টি গরু আছে। এক একর জমির উপরে খামার ও গরুর খাবারে জন্য চার একর জমিতে ঘাস চাষ করি। আমার ইচ্ছা এই খামারটিতে সংখ্যায় একহাজার গরু পালন করা।

শামিম শিকদার বলেন, ‘খামারে কমবেশি দুই কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। ১০জন স্থায়ী কর্মচারী কাজ করছে। খরচ বাদে বছরে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা আয় হচ্ছে। এসি রুমে বসে চাকরি করে যে শান্তি পাইনি এখন রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে খামার করে তার চেয়ে শতগুণ বেশি তৃপ্তি পাচ্ছি। আমার ইচ্ছে খামারে কমপক্ষে ৫০ জন মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কাজ করছি। খামারের আয়ের টাকায় স্ত্রী, দুই সন্তানকে নিয়ে সুখে আছি। আমার খামার থেকে প্রতিদিন ৩শ’ লিটার দুধ পাই। আমি এই দুধ বাজারজাত করতে পারছিনা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের মাধ্যমে যদি এলাকায় আড়ং বা মিল্কভিটা থাকতো তাহলে নির্বিঘেœ আমার দুধ বিক্রি করে লাভবান হতাম। তাৎক্ষণিক বিক্রি বা ফ্রিজিং এর অভাবে এখন উৎপাদিত বেশির ভাগ দুধ নষ্ট হচ্ছে। আমার খামারে ষাট হাজার থেকে শুরু করে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূল্যের গরু আছে। দুধ ও গরু বিক্রির সুবিধা পেলে খামাড় করে লাভবান হওয়া যায়। দেশে নতুন নতুন খামার করতে মানুষ আগ্রহী হতো।

রাইয়ান ডেইরি এন্ড ফ্যাটেনিং ফার্মের ম্যানেজার রাকিবুল ইসলাম রনি বলেন, আমাদের এখানে ১০জন মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমাদের সেই ১০টি পরিবার এই ফার্মের কারণে ভালো আছি সুখে আছি। দেশে এমন আরও প্রতিষ্ঠান হলে বেকারত্ব দূর হতো। বর্তমানে দেশের বাইরে থেকে আর গরু না এলে খামারীরা লাভবান হবে এবং দেশে খামারের সংখ্যা বাড়বে।

স্থানীয় মেজবাহ শিকদার, মিঠু শিকদার, কালাম মোল্লা, মো. সাইফুল মোল্লা, সানি হাওলাদার জানান, খামার করে শামিম শিকদার শুধু নিজের ভাগ্যই বদল করেননি, অন্য যুবকদেরও পরামর্শ দিয়ে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন। অনেকেই শামিমের পরামর্শে খামার করে এখন সুখে সংসার চালাচ্ছেন। সমন্বিত খামার করে এলাকার যুবকদের চোখ খুলে দিয়েছেন শামিম। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উন্নত জাতের গরু পালন করে সফল হয়েছেন। এখন এলাকার অনেকেই তাঁর কাছ থেকে গরু পালন করার পদ্ধতি ও কৌশল শিখছেন।
আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ সরকার বলেন, বর্তমানে গরুর বাজারে বিদেশি কোন গরু নেই। দেশের খামারীদের গরু বাজারে বিক্রি হয়ে থাকে। দেশে নতুন নতুন খামার সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিয়ে থাকি। মানুষকে খাওয়াবেন, মানুষ বেইমানি করবে। কিন্তু পশুপাখি কখনো বেইমানি করেনা। তার ফিডব্যাক শামিম নিজে পেয়েছেন। তিনি সমন্বিত খামার গড়ে সফল হয়েছেন। তাকে দেখে অনেকেই খামার গড়তে উৎসাহিত হচ্ছেন। দুধ বিক্রির বিষয়ে আমি আড়ং, মিল্কভিটা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাথে এবং খামারীদের সমন্বয়ে একটি ব্যবস্থা নেবো।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com